নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার রাতে উপজেলার কালাদরাপ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে এই হামলার প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি আমিন উল্যা বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর (মোটরসাইকেল প্রতীক) সমর্থকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে নুরু পাটোয়ারীহাটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল আমিনের সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থীর ভাই মাকসুদুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকের এক প্রচারকর্মীকে মারধর করেন। সন্ধ্যায় হাজি আমিন উল্যা বাজারে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে অন্তত ১২ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ইউপির একাধিক ভোটার জানান, নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন হাজি আমিন উল্যা বাজারে থাকা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে সমর্থক ছায়েদ, স্বপন, আলা উদ্দিন, মিলন, দুলাল ও কাশেমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ওই বাজারে থাকা নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপায়।’
নুরুল আমিন আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার বাড়ির গেটে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ও বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। আগেও নৌকার প্রার্থীর লোকজন একাধিক স্থানে আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করে এবং প্রচারে বাধা দেয়। সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে প্রশাসনকে এসব কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান জানাই।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘মোটরসাইকেল প্রতীকের লোকজন আমার অফিসে ভাঙচুর করে। নিজেদের বাড়িতে নিজেরা হামলা করে আমার ওপর দায় চাপাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো কর্মী জড়িত নই।’
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাছ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল মনছুর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও উভয় পক্ষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউপির ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।
নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার রাতে উপজেলার কালাদরাপ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে এই হামলার প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি আমিন উল্যা বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর (মোটরসাইকেল প্রতীক) সমর্থকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে নুরু পাটোয়ারীহাটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল আমিনের সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থীর ভাই মাকসুদুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকের এক প্রচারকর্মীকে মারধর করেন। সন্ধ্যায় হাজি আমিন উল্যা বাজারে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে অন্তত ১২ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ইউপির একাধিক ভোটার জানান, নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন হাজি আমিন উল্যা বাজারে থাকা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে সমর্থক ছায়েদ, স্বপন, আলা উদ্দিন, মিলন, দুলাল ও কাশেমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ওই বাজারে থাকা নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপায়।’
নুরুল আমিন আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার বাড়ির গেটে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ও বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। আগেও নৌকার প্রার্থীর লোকজন একাধিক স্থানে আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করে এবং প্রচারে বাধা দেয়। সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে প্রশাসনকে এসব কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান জানাই।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘মোটরসাইকেল প্রতীকের লোকজন আমার অফিসে ভাঙচুর করে। নিজেদের বাড়িতে নিজেরা হামলা করে আমার ওপর দায় চাপাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো কর্মী জড়িত নই।’
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাছ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল মনছুর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও উভয় পক্ষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউপির ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে