Ajker Patrika

এসএসসির জীববিজ্ঞান

ফারহানা রহমান
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৪২
এসএসসির জীববিজ্ঞান

প্রিয় ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের ‘বারো অধ্যায়: জীবের বংশগতি ও বিবর্তন’ থেকে অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।

[গত সংখ্যার পর]

১। ডিএনএ টেস্ট করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ টেস্ট।

সঠিকভাবে অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এ ছাড়া বংশগত রোগের চিকিৎসায়, অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের পিতৃত্ব নির্ণয়ের জন্যও ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে।

২। কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝো?

উত্তর: বিটা থ্যালাসেমিয়াকে কুলির থ্যালাসেমিয়া বলে।

রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালসেমিয়া। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হলে, এই রোগ হয়ে থাকে।

৩। বিবর্তন বলতে কী বোঝো?

উত্তর: হাজার হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া চলে, তাকে বিবর্তন বলে।

পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব আছে তারা বিভিন্ন সময়ে এই ভূ-মণ্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। যাদের কিছু সংখ্যক বিলুপ্ত হয়েছে। আবার কোন জীব নিজের ধীর পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনো টিকে আছে। এ প্রক্রিয়াই হলো বিবর্তন।

৪। প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝো?

উত্তর: অনুকূল (বা অভিযোজনমূলক) প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, এই প্রক্রিয়াকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে বা বিবর্তনের ধারায় বেঁচে থাকার জন্য কোনো জীবে যেসব শারীরিক গঠন, আবাস ও অভ্যাসের পরিবর্তন করে, যার কারণে প্রকৃতি তাদের বেঁচে থাকার জন্য মনোনীত করে, এসব প্রক্রিয়াই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন।

এসব জীব প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে এবং তাদের অভিযোজিত গুণাবলি বংশপরম্পরায় তাদের সন্তান-সন্তানাদিতে সঞ্চারিত করে। ফলে তারাও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায়।

৫। রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ থ্যালাসেমিয়া।

লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন দ্বারা গঠিত। লোহিত রক্ত কোষে এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। সুতরাং লোহিত রক্ত কণিকায় প্রোটিনের জিন নষ্ট হওয়ার কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে।

৬। থ্যালাসেমিয়া কেন হয়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালাসেমিয়া।

লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন দ্বারা তৈরি হয়। যথা, α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন। লোহিত রক্ত কণিকার এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে থ্যালাসেমিয়া হয়। যখন α-গ্লোবিউলিন তৈরির জিন অনুপস্থিত থাকে কিংবা পরিবর্তিত হয়, তখন α- থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। আবার যখন β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হয়, তখন β-থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়।

৭। কোনো শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে DNA সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় DNA টেস্ট।

একটি শিশুর দেহে তার পিতার জিন সঞ্চারিত হয়। সুতরাং শিশুর DNA তার পিতার DNA এর অনুরূপ হবে। তাই একটি শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট করা প্রয়োজন।

ফারহানা রহমান
সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

পরপর সংঘর্ষে উড়ে গেল বাসের ছাদ, যাত্রীসহ ৫ কিমি নিয়ে গেলেন চালক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত