ফারহানা রহমান
প্রিয় ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের ‘বারো অধ্যায়: জীবের বংশগতি ও বিবর্তন’ থেকে অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
[গত সংখ্যার পর]
১। ডিএনএ টেস্ট করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ টেস্ট।
সঠিকভাবে অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এ ছাড়া বংশগত রোগের চিকিৎসায়, অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের পিতৃত্ব নির্ণয়ের জন্যও ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে।
২। কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝো?
উত্তর: বিটা থ্যালাসেমিয়াকে কুলির থ্যালাসেমিয়া বলে।
রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালসেমিয়া। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হলে, এই রোগ হয়ে থাকে।
৩। বিবর্তন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: হাজার হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া চলে, তাকে বিবর্তন বলে।
পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব আছে তারা বিভিন্ন সময়ে এই ভূ-মণ্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। যাদের কিছু সংখ্যক বিলুপ্ত হয়েছে। আবার কোন জীব নিজের ধীর পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনো টিকে আছে। এ প্রক্রিয়াই হলো বিবর্তন।
৪। প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অনুকূল (বা অভিযোজনমূলক) প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, এই প্রক্রিয়াকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে বা বিবর্তনের ধারায় বেঁচে থাকার জন্য কোনো জীবে যেসব শারীরিক গঠন, আবাস ও অভ্যাসের পরিবর্তন করে, যার কারণে প্রকৃতি তাদের বেঁচে থাকার জন্য মনোনীত করে, এসব প্রক্রিয়াই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন।
এসব জীব প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে এবং তাদের অভিযোজিত গুণাবলি বংশপরম্পরায় তাদের সন্তান-সন্তানাদিতে সঞ্চারিত করে। ফলে তারাও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায়।
৫। রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ থ্যালাসেমিয়া।
লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন দ্বারা গঠিত। লোহিত রক্ত কোষে এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। সুতরাং লোহিত রক্ত কণিকায় প্রোটিনের জিন নষ্ট হওয়ার কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে।
৬। থ্যালাসেমিয়া কেন হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালাসেমিয়া।
লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন দ্বারা তৈরি হয়। যথা, α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন। লোহিত রক্ত কণিকার এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে থ্যালাসেমিয়া হয়। যখন α-গ্লোবিউলিন তৈরির জিন অনুপস্থিত থাকে কিংবা পরিবর্তিত হয়, তখন α- থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। আবার যখন β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হয়, তখন β-থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়।
৭। কোনো শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে DNA সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় DNA টেস্ট।
একটি শিশুর দেহে তার পিতার জিন সঞ্চারিত হয়। সুতরাং শিশুর DNA তার পিতার DNA এর অনুরূপ হবে। তাই একটি শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট করা প্রয়োজন।
ফারহানা রহমান
সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা।
প্রিয় ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের ‘বারো অধ্যায়: জীবের বংশগতি ও বিবর্তন’ থেকে অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
[গত সংখ্যার পর]
১। ডিএনএ টেস্ট করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ টেস্ট।
সঠিকভাবে অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এ ছাড়া বংশগত রোগের চিকিৎসায়, অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের পিতৃত্ব নির্ণয়ের জন্যও ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে।
২। কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝো?
উত্তর: বিটা থ্যালাসেমিয়াকে কুলির থ্যালাসেমিয়া বলে।
রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালসেমিয়া। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হলে, এই রোগ হয়ে থাকে।
৩। বিবর্তন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: হাজার হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া চলে, তাকে বিবর্তন বলে।
পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব আছে তারা বিভিন্ন সময়ে এই ভূ-মণ্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। যাদের কিছু সংখ্যক বিলুপ্ত হয়েছে। আবার কোন জীব নিজের ধীর পরিবর্তন ঘটিয়ে এখনো টিকে আছে। এ প্রক্রিয়াই হলো বিবর্তন।
৪। প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অনুকূল (বা অভিযোজনমূলক) প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, এই প্রক্রিয়াকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে বা বিবর্তনের ধারায় বেঁচে থাকার জন্য কোনো জীবে যেসব শারীরিক গঠন, আবাস ও অভ্যাসের পরিবর্তন করে, যার কারণে প্রকৃতি তাদের বেঁচে থাকার জন্য মনোনীত করে, এসব প্রক্রিয়াই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন।
এসব জীব প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে এবং তাদের অভিযোজিত গুণাবলি বংশপরম্পরায় তাদের সন্তান-সন্তানাদিতে সঞ্চারিত করে। ফলে তারাও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায়।
৫। রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ থ্যালাসেমিয়া।
লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন দ্বারা গঠিত। লোহিত রক্ত কোষে এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। সুতরাং লোহিত রক্ত কণিকায় প্রোটিনের জিন নষ্ট হওয়ার কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে।
৬। থ্যালাসেমিয়া কেন হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থানজনিত রোগের নাম থ্যালাসেমিয়া।
লোহিত রক্ত কণিকা দুই ধরনের প্রোটিন দ্বারা তৈরি হয়। যথা, α-গ্লোবিউলিন ও β-গ্লোবিউলিন। লোহিত রক্ত কণিকার এ দুটি প্রোটিনের জিন নষ্ট হলে থ্যালাসেমিয়া হয়। যখন α-গ্লোবিউলিন তৈরির জিন অনুপস্থিত থাকে কিংবা পরিবর্তিত হয়, তখন α- থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। আবার যখন β-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হয়, তখন β-থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়।
৭। কোনো শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর: বিভিন্ন জৈবিক নমুনা থেকে DNA সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিকে বলা হয় DNA টেস্ট।
একটি শিশুর দেহে তার পিতার জিন সঞ্চারিত হয়। সুতরাং শিশুর DNA তার পিতার DNA এর অনুরূপ হবে। তাই একটি শিশুর পিতা নির্ণয় করতে DNA টেস্ট করা প্রয়োজন।
ফারহানা রহমান
সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪