সম্পাদকীয়
বোঝা যাচ্ছে যে রিমালের ধকল কাটাতে পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি জেলাকে অনেক মূল্য দিতে হবে। মূলত ফসলি জমি ও মাছের ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এই রিমালে। রিমালকেন্দ্রিক যে খবরগুলো বের হয়েছে পত্রিকায়, তাতে দেখা যাচ্ছে যে মোবাইল ফোনের বহু টাওয়ারই এখন পর্যন্ত অচল হয়ে রয়েছে, বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা, সুন্দরবনে জোয়ারে
নিমজ্জিত প্রাণী ও পাখি কাটাচ্ছে এক ভয়াবহ সময়।
যে সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যে সুপেয় পানির আধার নষ্ট হওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। খাদ্যসংকট দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এ সময় যথাযথভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা খুব জরুরি। অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় স্বজনপ্রীতি হয় এবং কখনো কখনো দলপ্রীতির কারণে ভুক্তভোগী মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায় না। ত্রাণসামগ্রী যেন যথাযথ হাতে পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মূলত সরকারি লোকজনের। তাঁরা যদি সাধারণ মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে ভুক্তভোগী মানুষ কিছুটা হলেও এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে।
ফেসবুকে একটি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে, যেখানে একটি ছেলে তার বুকে কিছু কথা লিখে রেখেছে। তার কথার মোটামুটি অর্থ হলো—ত্রাণ বিতরণের চেয়ে বাঁধগুলো টেকসই করা জরুরি। কথাটা খুবই প্রাসঙ্গিক। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য বাঁধ যে কতটা প্রয়োজনীয়, সেটা নতুন করে বলার নয়। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের বিষয়টি নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে নেওয়া দরকার। একেকটা ঝড় আসবে, মানুষের দুর্দশা বাড়াবে, আর কিছুদিন বাদে নির্মাণ, সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে হইচই হবে।
তারপর? তারপর সবাই তা ভুলে যাবে—এই যেন হয়ে উঠেছে আমাদের ললাটলিখন। টেকসই বাঁধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেকটা বাঁচাতে পারে আমাদের। এটা যদি সংশ্লিষ্ট মহল মেনে চলে, তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হয়। রিমালের পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করার যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। যেসব এলাকায় রিমালের তাণ্ডব ঘটেছে, সেসব এলাকায় যে সব মানুষ ফসল ফলায়, মাছ ধরে, নানাভাবে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত হয়, তাদের জীবনে স্বস্তি আনার দায়িত্ব আমাদের সবার। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি তারা যেন অতি দ্রুত তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা দরকার।
আর হ্যাঁ, বহুভাবেই আমরা সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছি। কিন্তু এ ধরনের বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সুন্দরবন বুক দিয়ে যেভাবে আমাদের আগলে রাখে, সে কথাটাও মনে রাখা জরুরি। সুন্দরবন ধ্বংসের যেকোনো পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হলে প্রকৃতি তার রক্তচক্ষু দেখানো বন্ধ করতে পারে। সুসংহত প্রকৃতি অনেক ইতিবাচক করে তুলতে পারে আমাদের দেশ, আমাদের পৃথিবী।
বোঝা যাচ্ছে যে রিমালের ধকল কাটাতে পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি জেলাকে অনেক মূল্য দিতে হবে। মূলত ফসলি জমি ও মাছের ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এই রিমালে। রিমালকেন্দ্রিক যে খবরগুলো বের হয়েছে পত্রিকায়, তাতে দেখা যাচ্ছে যে মোবাইল ফোনের বহু টাওয়ারই এখন পর্যন্ত অচল হয়ে রয়েছে, বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা, সুন্দরবনে জোয়ারে
নিমজ্জিত প্রাণী ও পাখি কাটাচ্ছে এক ভয়াবহ সময়।
যে সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যে সুপেয় পানির আধার নষ্ট হওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। খাদ্যসংকট দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এ সময় যথাযথভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা খুব জরুরি। অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় স্বজনপ্রীতি হয় এবং কখনো কখনো দলপ্রীতির কারণে ভুক্তভোগী মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায় না। ত্রাণসামগ্রী যেন যথাযথ হাতে পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মূলত সরকারি লোকজনের। তাঁরা যদি সাধারণ মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে ভুক্তভোগী মানুষ কিছুটা হলেও এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে।
ফেসবুকে একটি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে, যেখানে একটি ছেলে তার বুকে কিছু কথা লিখে রেখেছে। তার কথার মোটামুটি অর্থ হলো—ত্রাণ বিতরণের চেয়ে বাঁধগুলো টেকসই করা জরুরি। কথাটা খুবই প্রাসঙ্গিক। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য বাঁধ যে কতটা প্রয়োজনীয়, সেটা নতুন করে বলার নয়। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের বিষয়টি নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে নেওয়া দরকার। একেকটা ঝড় আসবে, মানুষের দুর্দশা বাড়াবে, আর কিছুদিন বাদে নির্মাণ, সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে হইচই হবে।
তারপর? তারপর সবাই তা ভুলে যাবে—এই যেন হয়ে উঠেছে আমাদের ললাটলিখন। টেকসই বাঁধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেকটা বাঁচাতে পারে আমাদের। এটা যদি সংশ্লিষ্ট মহল মেনে চলে, তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হয়। রিমালের পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করার যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। যেসব এলাকায় রিমালের তাণ্ডব ঘটেছে, সেসব এলাকায় যে সব মানুষ ফসল ফলায়, মাছ ধরে, নানাভাবে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত হয়, তাদের জীবনে স্বস্তি আনার দায়িত্ব আমাদের সবার। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি তারা যেন অতি দ্রুত তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা দরকার।
আর হ্যাঁ, বহুভাবেই আমরা সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছি। কিন্তু এ ধরনের বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সুন্দরবন বুক দিয়ে যেভাবে আমাদের আগলে রাখে, সে কথাটাও মনে রাখা জরুরি। সুন্দরবন ধ্বংসের যেকোনো পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হলে প্রকৃতি তার রক্তচক্ষু দেখানো বন্ধ করতে পারে। সুসংহত প্রকৃতি অনেক ইতিবাচক করে তুলতে পারে আমাদের দেশ, আমাদের পৃথিবী।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪