সালেহউদ্দিন আহমেদ
সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য বাজেটে অনেকগুলো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে সামনে অর্থনীতিতে তো আমরা এগোতে পারব না। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল।
তবে বাজেটের আকার কমিয়েছে, যা ভালো দিক। আবার কৃষিতে ভর্তুকি রাখা, সেটাও ভালো। কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি রাজস্ব ছাড় দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানোর মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে পদক্ষেপ দেখি না। বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়েও তেমন কিছু নেই।
এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলেও কেন বিদেশ থেকে ডলার দেশে বিনিয়োগ করবে? জ্বালানির জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। আবার কয়লা, এলপিজি এবং জ্বালানি আমদানির জন্য ডলারের জোগান আসবে কীভাবে? এজন্য বিকল্প জ্বালানির উৎস লাগবে।
সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ এবং জ্বালানির মতো প্রধান তিনটি বিষয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি ছিল। এসব তো জোর করে করার বিষয় নয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণ। অথচ ব্যাংক খাতে এখন দুরবস্থা চলছে। আবার সেখান থেকে সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে কীভাবে? আবার বিদেশ থেকে আমদানি কমালে এনবিআর কর ও রাজস্ব আদায় করবে কীভাবে?
অন্যদিকে মাত্র ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা তো রাখা উচিত নয়। আবার কর একেবারে কম। অথচ ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ আয়ের করদাতাকে ৩০ শতাংশ দিতে হবে, এসব তো উচিত নয়।
লেখক: সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক
সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য বাজেটে অনেকগুলো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে সামনে অর্থনীতিতে তো আমরা এগোতে পারব না। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল।
তবে বাজেটের আকার কমিয়েছে, যা ভালো দিক। আবার কৃষিতে ভর্তুকি রাখা, সেটাও ভালো। কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি রাজস্ব ছাড় দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানোর মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে পদক্ষেপ দেখি না। বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়েও তেমন কিছু নেই।
এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলেও কেন বিদেশ থেকে ডলার দেশে বিনিয়োগ করবে? জ্বালানির জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। আবার কয়লা, এলপিজি এবং জ্বালানি আমদানির জন্য ডলারের জোগান আসবে কীভাবে? এজন্য বিকল্প জ্বালানির উৎস লাগবে।
সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ এবং জ্বালানির মতো প্রধান তিনটি বিষয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি ছিল। এসব তো জোর করে করার বিষয় নয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণ। অথচ ব্যাংক খাতে এখন দুরবস্থা চলছে। আবার সেখান থেকে সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে কীভাবে? আবার বিদেশ থেকে আমদানি কমালে এনবিআর কর ও রাজস্ব আদায় করবে কীভাবে?
অন্যদিকে মাত্র ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা তো রাখা উচিত নয়। আবার কর একেবারে কম। অথচ ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ আয়ের করদাতাকে ৩০ শতাংশ দিতে হবে, এসব তো উচিত নয়।
লেখক: সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪