চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ নেই

সালেহউদ্দিন আহমেদ
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ১১: ৩২
Thumbnail image

সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য বাজেটে অনেকগুলো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে সামনে অর্থনীতিতে তো আমরা এগোতে পারব না। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল।

তবে বাজেটের আকার কমিয়েছে, যা ভালো দিক। আবার কৃষিতে ভর্তুকি রাখা, সেটাও ভালো। কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি রাজস্ব ছাড় দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানোর মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে পদক্ষেপ দেখি না। বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়েও তেমন কিছু নেই।

এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলেও কেন বিদেশ থেকে ডলার দেশে বিনিয়োগ করবে? জ্বালানির জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। আবার কয়লা, এলপিজি এবং জ্বালানি আমদানির জন্য ডলারের জোগান আসবে কীভাবে? এজন্য বিকল্প জ্বালানির উৎস লাগবে। 

সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ এবং জ্বালানির মতো প্রধান তিনটি বিষয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি ছিল। এসব তো জোর করে করার বিষয় নয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণ। অথচ ব্যাংক খাতে এখন দুরবস্থা চলছে। আবার সেখান থেকে সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে কীভাবে? আবার বিদেশ থেকে আমদানি কমালে এনবিআর কর ও রাজস্ব আদায় করবে কীভাবে?

অন্যদিকে মাত্র ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা তো রাখা উচিত নয়। আবার কর একেবারে কম। অথচ ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ আয়ের করদাতাকে ৩০ শতাংশ দিতে হবে, এসব তো উচিত নয়। 

লেখক: সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত