রায়পুরে চাহিদা বেড়েছে ডাবের নারকেল-সংকটের আশঙ্কা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ০৩
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১১: ১৯

চাহিদা বাড়ায় ডাব কেনা-বেচায় সরগরম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। বাগানগুলো এখন ডাব ব্যবসায়ীদের পদচারণে সরব। উপজেলায় এত দিন একটি ডাব ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এখন গাছ থেকেই ৩৫-৪০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে ডাব বেশি বিক্রি হওয়ায় এবার নারকেলের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী।

এদিকে এক জোড়া ঝুনা নারকেল আগে ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা। ঈদের সময় এক জোড়া নারকেলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন নারকেল ব্যবসায়ীরা।

বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রমজান ও গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাবের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছ থেকেই প্রতিটি ডাব ৩৫-৪০ টাকায় কিনে নিচ্ছেন। নারকেল দীর্ঘদিন গাছে রেখে ঝুনা করলে লাভ কম, তাই ডাব বিক্রিতে ঝুঁকছেন বাগান মালিকেরা—এমনটাই মনে করছেন এখানকার ক্রেতা-বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, জেলায় ২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৫১০, কমলনগরে ৩৫০, রায়পুরে ৩৬৫ ও রামগতি উপজেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান আছে।

ডাব ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, ‘৪০ টাকায় কেনা ডাব বাগান থেকে স্থানীয় বাজারগুলোতে নিয়ে ৫০-৫৫ টাকায় ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া যায়। আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে কিনে পাইকারিভাবেও ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে ১০-১৫ টাকা লাভে ছেড়ে দিতে পারি। চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলে এখন ডাব বিক্রির ধুম পড়েছে।’

কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ডাবের ফলন ভালো হয়েছে। তীব্র গরমে ডাব বিক্রি বেড়েছে। তবে ডাবের কারণে নারকেলের বাম্পার ফলন কম হয়েছে। নারকেলসমৃদ্ধ এ জেলায় নারকেলভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে চাষিরা ন্যায্য দাম পাওয়ার পাশাপাশি বিপুল মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনামের নারকেলের প্রতি আগ্রহের কারণে নতুন চাষিরা ঝুঁকছেন সেদিকে। বড় গাছের চেয়ে ছোট গাছে ফলনের প্রতি নজর বেশি তাঁদের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত