শেখ আবু হাসান, খুলনা
দখল-দূষণে মৃতপ্রায় ময়ূর নদ খননে ২০২২ সালের ৭ জুন একটি প্রকল্প নেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সেই প্রকল্পের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং অ্যান্ড শহীদ এন্টারপ্রাইজ।
প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন। এরপর আরও দুই দফা বাড়ানো হয় সময়। নদের ৫ হাজার ৯০০ মিটার এলাকা খনন করার কথা থাকলেও তিন দফার মেয়াদে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ।
এদিকে নকশা ও দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী নদ খনন হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় ও পরিবেশ আন্দোলনকারীদের। তবে শর্ত অনুযায়ী খনন না করা এবং দুর্নীতি হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম ময়ূর নদ। গুরুত্বপূর্ণ ২২টির বেশি নালা গিয়ে পড়েছে নদে। এতে তলদেশে ময়লা
জমে একসময়ের খরস্রোতা নদটি এখন বদ্ধ জলাশয়। বিশেষ করে নগরীর গল্লামারী সেতু এলাকায় এটি প্রায় মরে গেছে। নদের প্রাণ ফেরাতে ২০১৪ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়েছিল। তখনও সুফল মেলেনি। পরে ২০২২ সালে সিটি করপোরেশন আবার নদটি খননের উদ্যোগ নেয়।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১৫ কিলোমিটার লম্বা ময়ূর নদের নগরীর বয়রা শ্মশানঘাট থেকে নারকেলবাড়িয়া খালের মুখ পর্যন্ত খনন করা হবে। বাকি অংশ তুলনামূলক স্বাভাবিক আছে।
এদিকে সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি কোম্পানিকে ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মেয়াদেও কাজ শেষ হয়নি। ফের ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। আর ২০ শতাংশের মতো কাজ করে ৬৩ লাখ টাকার বিল নিয়ে গেছেন ঠিকাদার। দ্বিতীয় দফা বিল পরিশোধের আবেদন করেছেন তাঁরা।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, নদের সীমানা নির্ধারণ করে এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন করা উচিত। দখলদারদের উচ্ছেদ করে সঠিকভাবে খনন করা না হলে পুরো টাকাই অপচয় হবে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. মাসুদ করিম বলেন, বর্ষার কারণে ছয় মাস কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া কৃষকেরা বাঁধ কেটে পানি তোলায় কাজে বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কাজ চলছে। নদের জায়গা অনেক মানুষ রেকর্ডের কাগজ দেখিয়ে মালিকানা দাবি করছেন। সে কারণে অনেক বাড়ি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে সীমানা চিহ্নিত করে খননের চেষ্টা করা হচ্ছে।
খননের পর ফের ভরাট সম্পর্কে তিনি বলেন, খননের পর পলি এসে ভরাট হচ্ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফের তা খনন করবে। কারণ বছরে চারবার রক্ষণাবেক্ষণ করবে এমন চুক্তি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. ফয়েজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. মসিউজ্জামান বলেন, নদের মোট ৫ হাজার ৯১০ মিটারের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ শতাংশের মতো খনন করা গেছে। বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনায় নদ ভরাট হয়ে নব্যতা হারিয়েছে। পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবেশও দূষণ হচ্ছে। খনন সম্পন্ন হলে পানির প্রবাহ বাড়বে; সঙ্গে দূষণের মাত্রাও কমে যাবে।
কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ময়ূর নদ খনন করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। শর্ত অনুযায়ী খনন করা না হলে এবং দুর্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নগরীর বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানি নালার মাধ্যমে নিয়মিত ময়ূর নদে ফেলা হচ্ছে। গল্লামারী বাজারের বর্জ্য, কেসিসির কেন্দ্রীয় কসাইখানার মলমূত্র, রক্ত ও দূষিত পানি ফেলায় এর পানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। খননের পর আমরা বুঝতে পারব, পানি প্রবাহ কেমন হবে এবং দূষণের মাত্রা কী অবস্থায় থাকবে।’
দখল-দূষণে মৃতপ্রায় ময়ূর নদ খননে ২০২২ সালের ৭ জুন একটি প্রকল্প নেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সেই প্রকল্পের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং অ্যান্ড শহীদ এন্টারপ্রাইজ।
প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন। এরপর আরও দুই দফা বাড়ানো হয় সময়। নদের ৫ হাজার ৯০০ মিটার এলাকা খনন করার কথা থাকলেও তিন দফার মেয়াদে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ শতাংশ।
এদিকে নকশা ও দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী নদ খনন হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় ও পরিবেশ আন্দোলনকারীদের। তবে শর্ত অনুযায়ী খনন না করা এবং দুর্নীতি হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম ময়ূর নদ। গুরুত্বপূর্ণ ২২টির বেশি নালা গিয়ে পড়েছে নদে। এতে তলদেশে ময়লা
জমে একসময়ের খরস্রোতা নদটি এখন বদ্ধ জলাশয়। বিশেষ করে নগরীর গল্লামারী সেতু এলাকায় এটি প্রায় মরে গেছে। নদের প্রাণ ফেরাতে ২০১৪ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়েছিল। তখনও সুফল মেলেনি। পরে ২০২২ সালে সিটি করপোরেশন আবার নদটি খননের উদ্যোগ নেয়।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১৫ কিলোমিটার লম্বা ময়ূর নদের নগরীর বয়রা শ্মশানঘাট থেকে নারকেলবাড়িয়া খালের মুখ পর্যন্ত খনন করা হবে। বাকি অংশ তুলনামূলক স্বাভাবিক আছে।
এদিকে সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি কোম্পানিকে ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মেয়াদেও কাজ শেষ হয়নি। ফের ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। আর ২০ শতাংশের মতো কাজ করে ৬৩ লাখ টাকার বিল নিয়ে গেছেন ঠিকাদার। দ্বিতীয় দফা বিল পরিশোধের আবেদন করেছেন তাঁরা।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, নদের সীমানা নির্ধারণ করে এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন করা উচিত। দখলদারদের উচ্ছেদ করে সঠিকভাবে খনন করা না হলে পুরো টাকাই অপচয় হবে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. মাসুদ করিম বলেন, বর্ষার কারণে ছয় মাস কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া কৃষকেরা বাঁধ কেটে পানি তোলায় কাজে বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কাজ চলছে। নদের জায়গা অনেক মানুষ রেকর্ডের কাগজ দেখিয়ে মালিকানা দাবি করছেন। সে কারণে অনেক বাড়ি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে সীমানা চিহ্নিত করে খননের চেষ্টা করা হচ্ছে।
খননের পর ফের ভরাট সম্পর্কে তিনি বলেন, খননের পর পলি এসে ভরাট হচ্ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফের তা খনন করবে। কারণ বছরে চারবার রক্ষণাবেক্ষণ করবে এমন চুক্তি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. ফয়েজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. মসিউজ্জামান বলেন, নদের মোট ৫ হাজার ৯১০ মিটারের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ শতাংশের মতো খনন করা গেছে। বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনায় নদ ভরাট হয়ে নব্যতা হারিয়েছে। পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবেশও দূষণ হচ্ছে। খনন সম্পন্ন হলে পানির প্রবাহ বাড়বে; সঙ্গে দূষণের মাত্রাও কমে যাবে।
কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ময়ূর নদ খনন করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। শর্ত অনুযায়ী খনন করা না হলে এবং দুর্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নগরীর বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানি নালার মাধ্যমে নিয়মিত ময়ূর নদে ফেলা হচ্ছে। গল্লামারী বাজারের বর্জ্য, কেসিসির কেন্দ্রীয় কসাইখানার মলমূত্র, রক্ত ও দূষিত পানি ফেলায় এর পানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। খননের পর আমরা বুঝতে পারব, পানি প্রবাহ কেমন হবে এবং দূষণের মাত্রা কী অবস্থায় থাকবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে