আয়নাল হোসেন ও রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমির আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগে। গত সোমবার মিটফোর্ড এলাকায় দেখা হলে আমির আলী জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর স্ত্রীকে অ্যাটোরভাসটাটিন ১০ ও অ্যামডোকল ৫ ওষুধ খেতে হয় নিয়মিত। এ জন্য আগে ৩০ দিনের ওষুধ একসঙ্গে কিনতেন। কিন্তু বাজারে নিত্যপণ্যের সঙ্গে ওষুধের দামও অস্বাভাবিক বাড়ায় এখন ১৫ দিনের ওষুধ কিনছেন।
ওষুধ উৎপাদনকারী, খুচরা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, তিন মাস ধরে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ওষুধের দাম বাড়ছে। একটি চালান শেষ না হতেই পরবর্তী চালানের দাম বেড়ে যাচ্ছে। হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। তবে উৎপাদনকারীরা বলছেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় কাঁচামালের দামে প্রভাব পড়ছে। এতে ওষুধের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
ওষুধ শিল্পমালিকদের দাবি, বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডলারের দামও। এর প্রভাব পড়েছে ওষুধের কাঁচামালের ওপর।
দফায় দফায় ওষুধের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৮০ টাকার ডলার কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আবার অনেক সময় ফার্মেসির প্রতিনিধিও সুযোগ বুঝে বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি করেন।
জানা যায়, প্রতিটি অ্যাজিথ্রোমাইসিন (৫০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগেও ছিল ৩৫ টাকা। কোম্পানিভেদে এখন তা ৪০-৪৫ টাকা। লিভোফ্লোক্সাসিন (৫০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম ছিল ১৫ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা।
সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত ফেক্সোফিনাডিন ট্যাবলেটের দাম ৮ থেকে হয়েছে ১২ টাকা। প্রতিটি মন্টিলুকাস্ট (১০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগে ছিল ১৫ টাকা। বর্তমানে ১৮ টাকা। হৃদ্রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অ্যামডোলপিন ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫ টাকা। বর্তমানে ৬ টাকা। স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নিউরো-বি (ভিটামিন বি১, বি৬ ও বি১২) ৩০টি ট্যাবলেটের দাম ছিল ২৪০ টাকা। এখন হয়েছে ৩০০ টাকা। প্রতি কৌটা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ট্যাবলেটের দাম ছিল ১৯০ টাকা। বর্তমানে তা ২৪০ টাকা।
বনশ্রী এলাকার একাধিক ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, এক্মি ল্যাবরেটরিজের মোনাস-১০ (জেনেরিক নাম মন্টিলুকাস্ট) ওষুধটির দাম ছিল ১৫ টাকা। কয়েক দফায় বেড়ে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা হয়েছে। হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রসোভাসটাটিন ট্যাবলেট সেবন করেন। এই জেনেরিকের রেনাটা কোম্পানির রোলিপ-১০ ট্যাবলেটটির দাম ছিল ২০ টাকা, এখন হয়েছে ২৪ টাকা।
এক কোম্পানি বাড়ালে অন্যরাও বাড়ায়
ফার্মেসির কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, বহুল ব্যবহৃত কোনো না কোনো ওষুধের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের বাদানুবাদ।
মিটফোর্ড এলাকার মেসার্স এমএস মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মী আরিফ হোসেন জানান, তিন মাস ধরে প্রতিদিন কোনো না কোনো কোম্পানি ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। একটি কোম্পানি বাড়ালে অন্যরা তাদের অনুসরণ করে। এভাবেই দাম বেড়ে চলেছে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স আলিফ-লাম মিম মডেল ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি পলাশ চন্দ্র দাস জানান, ওষুধের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে বেশি ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। কোম্পানিগুলো দাম বাড়ালে তাঁদেরও বেশি দামে বিক্রি না করে উপায় থাকে না।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জাকির হোসেন রনি বলেন, ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধিদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ওষুধের দাম যাতে দফায় দফায় না বাড়ে সে জন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটিকে ভূমিকা নিতে হবে।
দাম ঠিক করে কোম্পানি, গেজেট সরকারের
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, তারা ১১৭টি ওষুধের মূল্য (ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ) নির্ধারণ করতে পারে। বাকি প্রায় ১ হাজার ২০০ জেনেরিকের ১৫ হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ নির্দেশক মূল্যে বিক্রি হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের তেমন কিছুই করার থাকে না।
অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি, বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিচ্ছে অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আবেদন করে। সেই সঙ্গে যাবতীয় হিসাব দাখিল করে। তাদের দাম যৌক্তিক হলে তখন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব নিজ নিজ কোম্পানির।
দাম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জেনেরিকের ওষুধ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ১১৭টির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করে। বাকিগুলোর দাম (নির্দেশক মূল্য) বাড়াতে হলে ঔষধ প্রশাসন থেকে গেজেট প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একটি মূল্য প্রস্তাব করে, ঔষধ প্রশাসন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে অথবা বিকল্প প্রস্তাব করে। যেহেতু গেজেট প্রকাশের ক্ষমতা প্রশাসনের হাতে, তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও তাদের আছে।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের আরও উপায় আছে। সরকারি ওষুধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস কো. লি.-এর মাধ্যমে সব ওষুধ উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সব ওষুধ কেন্দ্রীয়ভাবে কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ওষুধের দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়াতেই ওষুধের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। কোম্পানির হাতে দাম বাড়ানোর সুযোগ না দিয়ে সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণের দাবি করেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিঞ্জিরা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমির আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগে। গত সোমবার মিটফোর্ড এলাকায় দেখা হলে আমির আলী জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর স্ত্রীকে অ্যাটোরভাসটাটিন ১০ ও অ্যামডোকল ৫ ওষুধ খেতে হয় নিয়মিত। এ জন্য আগে ৩০ দিনের ওষুধ একসঙ্গে কিনতেন। কিন্তু বাজারে নিত্যপণ্যের সঙ্গে ওষুধের দামও অস্বাভাবিক বাড়ায় এখন ১৫ দিনের ওষুধ কিনছেন।
ওষুধ উৎপাদনকারী, খুচরা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, তিন মাস ধরে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ওষুধের দাম বাড়ছে। একটি চালান শেষ না হতেই পরবর্তী চালানের দাম বেড়ে যাচ্ছে। হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। তবে উৎপাদনকারীরা বলছেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় কাঁচামালের দামে প্রভাব পড়ছে। এতে ওষুধের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
ওষুধ শিল্পমালিকদের দাবি, বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডলারের দামও। এর প্রভাব পড়েছে ওষুধের কাঁচামালের ওপর।
দফায় দফায় ওষুধের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৮০ টাকার ডলার কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আবার অনেক সময় ফার্মেসির প্রতিনিধিও সুযোগ বুঝে বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি করেন।
জানা যায়, প্রতিটি অ্যাজিথ্রোমাইসিন (৫০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগেও ছিল ৩৫ টাকা। কোম্পানিভেদে এখন তা ৪০-৪৫ টাকা। লিভোফ্লোক্সাসিন (৫০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম ছিল ১৫ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা।
সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত ফেক্সোফিনাডিন ট্যাবলেটের দাম ৮ থেকে হয়েছে ১২ টাকা। প্রতিটি মন্টিলুকাস্ট (১০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগে ছিল ১৫ টাকা। বর্তমানে ১৮ টাকা। হৃদ্রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অ্যামডোলপিন ট্যাবলেটের দাম তিন মাস আগে ছিল ৫ টাকা। বর্তমানে ৬ টাকা। স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নিউরো-বি (ভিটামিন বি১, বি৬ ও বি১২) ৩০টি ট্যাবলেটের দাম ছিল ২৪০ টাকা। এখন হয়েছে ৩০০ টাকা। প্রতি কৌটা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ট্যাবলেটের দাম ছিল ১৯০ টাকা। বর্তমানে তা ২৪০ টাকা।
বনশ্রী এলাকার একাধিক ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, এক্মি ল্যাবরেটরিজের মোনাস-১০ (জেনেরিক নাম মন্টিলুকাস্ট) ওষুধটির দাম ছিল ১৫ টাকা। কয়েক দফায় বেড়ে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা হয়েছে। হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রসোভাসটাটিন ট্যাবলেট সেবন করেন। এই জেনেরিকের রেনাটা কোম্পানির রোলিপ-১০ ট্যাবলেটটির দাম ছিল ২০ টাকা, এখন হয়েছে ২৪ টাকা।
এক কোম্পানি বাড়ালে অন্যরাও বাড়ায়
ফার্মেসির কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, বহুল ব্যবহৃত কোনো না কোনো ওষুধের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের বাদানুবাদ।
মিটফোর্ড এলাকার মেসার্স এমএস মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মী আরিফ হোসেন জানান, তিন মাস ধরে প্রতিদিন কোনো না কোনো কোম্পানি ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। একটি কোম্পানি বাড়ালে অন্যরা তাদের অনুসরণ করে। এভাবেই দাম বেড়ে চলেছে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স আলিফ-লাম মিম মডেল ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি পলাশ চন্দ্র দাস জানান, ওষুধের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে বেশি ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। কোম্পানিগুলো দাম বাড়ালে তাঁদেরও বেশি দামে বিক্রি না করে উপায় থাকে না।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জাকির হোসেন রনি বলেন, ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধিদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ওষুধের দাম যাতে দফায় দফায় না বাড়ে সে জন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটিকে ভূমিকা নিতে হবে।
দাম ঠিক করে কোম্পানি, গেজেট সরকারের
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, তারা ১১৭টি ওষুধের মূল্য (ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ) নির্ধারণ করতে পারে। বাকি প্রায় ১ হাজার ২০০ জেনেরিকের ১৫ হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ নির্দেশক মূল্যে বিক্রি হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের তেমন কিছুই করার থাকে না।
অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি, বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিচ্ছে অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আবেদন করে। সেই সঙ্গে যাবতীয় হিসাব দাখিল করে। তাদের দাম যৌক্তিক হলে তখন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব নিজ নিজ কোম্পানির।
দাম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জেনেরিকের ওষুধ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ১১৭টির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করে। বাকিগুলোর দাম (নির্দেশক মূল্য) বাড়াতে হলে ঔষধ প্রশাসন থেকে গেজেট প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একটি মূল্য প্রস্তাব করে, ঔষধ প্রশাসন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে অথবা বিকল্প প্রস্তাব করে। যেহেতু গেজেট প্রকাশের ক্ষমতা প্রশাসনের হাতে, তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও তাদের আছে।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের আরও উপায় আছে। সরকারি ওষুধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস কো. লি.-এর মাধ্যমে সব ওষুধ উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সব ওষুধ কেন্দ্রীয়ভাবে কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ওষুধের দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়াতেই ওষুধের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। কোম্পানির হাতে দাম বাড়ানোর সুযোগ না দিয়ে সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণের দাবি করেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪