নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দফায় দফায় বাড়ছে জেট ফুয়েলের দাম। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, দেশে গত দেড় বছরে দেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৪ বার। এভাবে বারবার জ্বালানির দাম বাড়ার প্রভাব সরাসরি পড়ছে আকাশপথের যাত্রীদের ওপর। অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে টিকিটের দাম বাড়াতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। যেখানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম ছিল কমবেশি ৪ হাজার ৪০০ টাকা, এখন তা ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে জেট ফুয়েলের দাম বাড়তে শুরু করেছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। ওই মাসে প্রতি লিটারের দাম ছিল ৪৬ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৮ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা। এরপর ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা এবং এপ্রিলে ৬১ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে আবার ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩ টাকা। একইভাবে জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে দুই দফায় ৪ টাকা কমানো হয়েছিল দাম। কিন্তু পরের দুই মাস ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ টাকায় দিয়ে ঠেকে দাম।
সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল লিটারে ১৩ টাকা বেড়ে দাম পৌঁছায় ১০০ টাকায়। এভাবে ১৮ মাসের ব্যবধানে দেশে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। আর এই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে এক দফায় ১৫ টাকা করে বেড়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় দেশেও ফের দাম বাড়ানোর আলোচনা চলছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়া নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উড়োজাহাজ চালাতে যে খরচ, তার একটি বড় অংশ হয় জ্বালানির পেছনে। ফলে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম বাড়বে। আর ভাড়া বেড়ে গেলে দেশের ভেতরে বিমানে ওড়ার যাত্রী কমে যাবে। এয়ারলাইনসগুলো কি জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ভাড়া সমন্বয় করতে পারে? সেটি কি সম্ভব? জেট ফুয়েলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ভাড়া বাড়ালে এয়ারলাইনসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’ দেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে সুরক্ষিত রাখতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের এই কর্মকর্তা।
বেসরকারি আরেক এয়ারলাইনস নভোএয়ারের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাহ উল ইসলাম জানান, জেট ফুয়েলের দাম বাড়ায় নভোএয়ারের এয়ার টিকিটেরও দাম সামান্য বেড়েছে। এ মাসেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর ও কক্সবাজার রুটে প্রতি টিকিটে ৫০০ টাকা করে এবং যশোর ও বরিশাল রুটে ৩০০ টাকা করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার প্রভাবটা শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ওপর পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ টি এম নজরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে এভাবে দাম বাড়ার ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে দেশের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যগুলোতে। টিকিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে এর প্রভাবটা শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ঘাড়েই পড়বে। এ ছাড়া দেশি এয়ারলাইনসগুলোর বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সচিব মো. লাল হোসেন বলেন, ‘সরকার জেট ফুয়েলে কোনো ভর্তুকি দেয় না। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে দামের সমন্বয় করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে দেশেও বাড়ানো হয়, কমলে দেশেও কমানো হয়।’
দফায় দফায় বাড়ছে জেট ফুয়েলের দাম। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, দেশে গত দেড় বছরে দেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৪ বার। এভাবে বারবার জ্বালানির দাম বাড়ার প্রভাব সরাসরি পড়ছে আকাশপথের যাত্রীদের ওপর। অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে টিকিটের দাম বাড়াতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। যেখানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম ছিল কমবেশি ৪ হাজার ৪০০ টাকা, এখন তা ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে জেট ফুয়েলের দাম বাড়তে শুরু করেছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। ওই মাসে প্রতি লিটারের দাম ছিল ৪৬ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৮ টাকা। পরের মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা। এরপর ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা এবং এপ্রিলে ৬১ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে আবার ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩ টাকা। একইভাবে জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে দুই দফায় ৪ টাকা কমানো হয়েছিল দাম। কিন্তু পরের দুই মাস ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ টাকায় দিয়ে ঠেকে দাম।
সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল লিটারে ১৩ টাকা বেড়ে দাম পৌঁছায় ১০০ টাকায়। এভাবে ১৮ মাসের ব্যবধানে দেশে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। আর এই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে এক দফায় ১৫ টাকা করে বেড়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় দেশেও ফের দাম বাড়ানোর আলোচনা চলছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়া নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উড়োজাহাজ চালাতে যে খরচ, তার একটি বড় অংশ হয় জ্বালানির পেছনে। ফলে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম বাড়বে। আর ভাড়া বেড়ে গেলে দেশের ভেতরে বিমানে ওড়ার যাত্রী কমে যাবে। এয়ারলাইনসগুলো কি জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ভাড়া সমন্বয় করতে পারে? সেটি কি সম্ভব? জেট ফুয়েলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ভাড়া বাড়ালে এয়ারলাইনসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’ দেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে সুরক্ষিত রাখতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের এই কর্মকর্তা।
বেসরকারি আরেক এয়ারলাইনস নভোএয়ারের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাহ উল ইসলাম জানান, জেট ফুয়েলের দাম বাড়ায় নভোএয়ারের এয়ার টিকিটেরও দাম সামান্য বেড়েছে। এ মাসেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর ও কক্সবাজার রুটে প্রতি টিকিটে ৫০০ টাকা করে এবং যশোর ও বরিশাল রুটে ৩০০ টাকা করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার প্রভাবটা শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ওপর পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ টি এম নজরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে এভাবে দাম বাড়ার ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে দেশের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যগুলোতে। টিকিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে এর প্রভাবটা শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ঘাড়েই পড়বে। এ ছাড়া দেশি এয়ারলাইনসগুলোর বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সচিব মো. লাল হোসেন বলেন, ‘সরকার জেট ফুয়েলে কোনো ভর্তুকি দেয় না। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে দামের সমন্বয় করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে দেশেও বাড়ানো হয়, কমলে দেশেও কমানো হয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে