ওমাইর আহমদ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, ভারতীয় আমেরিকানরা একটি আদর্শ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। এমনকি একটি গোষ্ঠী হিসেবে, এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যেও দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য তাদের একটি আদর্শ সংখ্যালঘু বলে দেখা হয়। ঠিক বা ভুল যা-ই হোক না কেন, ভারতীয় আমেরিকানরা স্পষ্টতই আলাদা। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, দারিদ্র্যের সংখ্যায় সর্বনিম্ন হওয়া এবং এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যেও সর্বোচ্চ গড় আয়ের গর্ব রয়েছে তাদের ঝুলিতে।
এর কারণই হলো, আমরা আমাদের নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্তদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাই। কিন্তু তারপরও সংখ্যাগুলো লক্ষণীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে—সরকার থেকে আমলাতন্ত্র এবং শিক্ষকমণ্ডলী সব ক্ষেত্রেই তারা দাপটের সঙ্গে আছে। তাই ভারতীয় আমেরিকানরা জনসংখ্যার দিক দিয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের গোনার মধ্যে ধরতেই হয়।
এটা লক্ষণীয় যে এশিয়ান আমেরিকান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হেরিটেজে মাসের শুরুতে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়া, চীন ও জাপানের সঙ্গে এক কাতারে ফেলে দিয়েছেন এবং ফেলেছেন ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ হিসেবে উল্লেখ করে। এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বাইডেন যে তালিকার বিষয়টি উল্লেখ করলেন, সেখানে ভারত ও জাপান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র। আসলে বাইডেনের এই রাষ্ট্র চরিত্রায়ণ নিয়ে একটি প্রকাশনাও প্রশ্ন তোলেনি; বরং দ্য গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে যে ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
একটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মুখ থেকে ভারতের ব্যাপারে এ ধরনের কঠোর নেতিবাচক ভাষা শোনা যায় না। এমনকি ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে (গৃহকর্মীকে অত্যাচারে অভিযুক্ত) নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব যখন চরমসীমায় পৌঁছায়, তখনো মার্কিন সরকার ভারতীয় সমাজ বা দেশ হিসেবে ভারত সম্পর্কে কোনো ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করেনি; বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন দূতাবাসের পোস্টের নিচে দু-একটি নেতিবাচক মন্তব্য দেখা গেছে। যাঁরা এই মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা আগেই ভারত থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
সেই সময়ে, ২০১৩ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ বা ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকার একাধিক কেলেঙ্কারি, অদক্ষতা, মন্থর অর্থনীতি এবং ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে থাকার অভিযোগে বিপর্যস্ত ছিল। তবুও ড. মনমোহন সিং ও ভারত বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সম্মানিত ছিল। তখন কেউ ভারতকে ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ বা এ ধরনের মন্তব্য কখনোই করেনি। আজ বিজেপি মুসলিম বিরোধিতার মধ্য দিয়ে ধর্মান্ধতার জিগির তুলে নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের এসব কথাবার্তায় কেউ এতটুকু আশ্চর্য হচ্ছে না। তাই কেউ বাইডেনকে ভুল বলে উল্লেখ করছে না।
ভারত সরকারের পক্ষে একমাত্র প্রতিক্রিয়া এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে। তা-ও দুর্বল প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের এমন লোকদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া উচিত, যাদের ভারতে আসার প্রয়োজন আছে, যারা ভারতে আসতে চায় বলে দাবি করে।’ তিনি কেবল সেটুকুই তুলে ধরেছেন, যেটুকু বাইডেন বলেছিলেন। আসলে ভারত ‘উন্মুক্ত’ এ শব্দটি থেকে ‘উন্মুক্ত করা উচিত’ এই শব্দাবলি বহু দূরের বিষয়।
এ নিয়ে খুব কমই বিতর্কের অবকাশ আছে যে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি হলো রোহিঙ্গা। তবু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ভারতের আচরণ ভয়ংকর। আরও খারাপ বলার আগে বোঝা দরকার ‘ভারতে আসার দাবি’ আসলে কাদের রয়েছে। জয়শঙ্করের উত্তর এই প্রশ্নকে উসকে দিয়েছে যে কে এই ধরনের দাবিগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে? কিসের ভিত্তিতে হবে? যদি রক্ত ও জমিনের ভাষায় না হয়, তাহলে তা ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ দিকেই চালিত করবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জয়শঙ্কর বাইডেনের নাম বলতে অস্বীকার করেছেন। বাইডেনের বক্তব্য প্রত্যাহার বা ক্ষমা চাওয়ার দাবির ধারেকাছেও যাননি। দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়নি। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুতর আলোচনার জন্য নিম্নপদস্থ কোনো মার্কিন কূটনীতিককেও ডেকে পাঠায়নি। অবশ্যই এটা ভারত সরকারের বিচক্ষণতা। কেউ কেউ অবশ্য এটাকে কাপুরুষতাও বলতে পারে। এটাকে নিউইয়র্কের শিখ নেতা পান্নুনের হত্যাচেষ্টা-সম্পর্কিত ঘটনায় নতুন বিষয় উদ্ঘাটন দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সদস্যদের মাথায় যখন এ ধরনের খড়্গ ঝুলতে থাকে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কানাডায় একজন শিখ নেতাকে হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্য একজন শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ভারতের ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ ভাবমূর্তিকে শুধু তুলে ধরে না, তাকে ঘাতকের জায়গায়ও এনে দাঁড় করায়।
কিন্তু ভারত সরকারই যদি নীরব থাকে, তাহলে ভারতীয় আমেরিকানদের কী হবে? সেই ধনী, শিক্ষিত, উচ্চপদস্থ লোকেরা যারা ভারতের একটু নরম-শরম মনোভাবের কেন্দ্রে ছিল? রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আমলা, গুগলের সিইও এবং মাইক্রোসফটের চেয়ারপারসন—আমরা শুধু শুনতে পাই তাদের সবার এক আশ্চর্যজনক নীরবতা।
তাদের নিয়ে ভারত ও ভারতীয়রা যতটা গর্ব করে বলে মনে হয়, ভারত যা হয়ে উঠেছে তাতে তারা আর ভারতকে নিয়ে ততটা গর্ব করতে পারে না। ২০১৫ সালে, নরেন্দ্র মোদি তাঁর এই মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন যে আগেকার লোকেরা ভারতীয় হতে লজ্জিত ছিল এবং এখানে জন্মে যে কী পাপ করেছে তা ভাবত। এখন তাঁর ক্ষমতার বিপর্যয়কর ১০ বছরে তিনি আসলে ভারতীয় আমেরিকানদের নিজের মাতৃভূমি ভারতের সমর্থনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ব্যাপারে লজ্জিতই করতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে।
ওমাইর আহমদ, ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক
(ভারতের অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, ভারতীয় আমেরিকানরা একটি আদর্শ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। এমনকি একটি গোষ্ঠী হিসেবে, এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যেও দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য তাদের একটি আদর্শ সংখ্যালঘু বলে দেখা হয়। ঠিক বা ভুল যা-ই হোক না কেন, ভারতীয় আমেরিকানরা স্পষ্টতই আলাদা। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, দারিদ্র্যের সংখ্যায় সর্বনিম্ন হওয়া এবং এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যেও সর্বোচ্চ গড় আয়ের গর্ব রয়েছে তাদের ঝুলিতে।
এর কারণই হলো, আমরা আমাদের নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্তদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাই। কিন্তু তারপরও সংখ্যাগুলো লক্ষণীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে—সরকার থেকে আমলাতন্ত্র এবং শিক্ষকমণ্ডলী সব ক্ষেত্রেই তারা দাপটের সঙ্গে আছে। তাই ভারতীয় আমেরিকানরা জনসংখ্যার দিক দিয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের গোনার মধ্যে ধরতেই হয়।
এটা লক্ষণীয় যে এশিয়ান আমেরিকান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হেরিটেজে মাসের শুরুতে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়া, চীন ও জাপানের সঙ্গে এক কাতারে ফেলে দিয়েছেন এবং ফেলেছেন ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ হিসেবে উল্লেখ করে। এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বাইডেন যে তালিকার বিষয়টি উল্লেখ করলেন, সেখানে ভারত ও জাপান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র। আসলে বাইডেনের এই রাষ্ট্র চরিত্রায়ণ নিয়ে একটি প্রকাশনাও প্রশ্ন তোলেনি; বরং দ্য গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে যে ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
একটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মুখ থেকে ভারতের ব্যাপারে এ ধরনের কঠোর নেতিবাচক ভাষা শোনা যায় না। এমনকি ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে (গৃহকর্মীকে অত্যাচারে অভিযুক্ত) নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব যখন চরমসীমায় পৌঁছায়, তখনো মার্কিন সরকার ভারতীয় সমাজ বা দেশ হিসেবে ভারত সম্পর্কে কোনো ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করেনি; বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন দূতাবাসের পোস্টের নিচে দু-একটি নেতিবাচক মন্তব্য দেখা গেছে। যাঁরা এই মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা আগেই ভারত থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
সেই সময়ে, ২০১৩ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ বা ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকার একাধিক কেলেঙ্কারি, অদক্ষতা, মন্থর অর্থনীতি এবং ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে থাকার অভিযোগে বিপর্যস্ত ছিল। তবুও ড. মনমোহন সিং ও ভারত বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সম্মানিত ছিল। তখন কেউ ভারতকে ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ বা এ ধরনের মন্তব্য কখনোই করেনি। আজ বিজেপি মুসলিম বিরোধিতার মধ্য দিয়ে ধর্মান্ধতার জিগির তুলে নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের এসব কথাবার্তায় কেউ এতটুকু আশ্চর্য হচ্ছে না। তাই কেউ বাইডেনকে ভুল বলে উল্লেখ করছে না।
ভারত সরকারের পক্ষে একমাত্র প্রতিক্রিয়া এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে। তা-ও দুর্বল প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের এমন লোকদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া উচিত, যাদের ভারতে আসার প্রয়োজন আছে, যারা ভারতে আসতে চায় বলে দাবি করে।’ তিনি কেবল সেটুকুই তুলে ধরেছেন, যেটুকু বাইডেন বলেছিলেন। আসলে ভারত ‘উন্মুক্ত’ এ শব্দটি থেকে ‘উন্মুক্ত করা উচিত’ এই শব্দাবলি বহু দূরের বিষয়।
এ নিয়ে খুব কমই বিতর্কের অবকাশ আছে যে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি হলো রোহিঙ্গা। তবু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ভারতের আচরণ ভয়ংকর। আরও খারাপ বলার আগে বোঝা দরকার ‘ভারতে আসার দাবি’ আসলে কাদের রয়েছে। জয়শঙ্করের উত্তর এই প্রশ্নকে উসকে দিয়েছে যে কে এই ধরনের দাবিগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে? কিসের ভিত্তিতে হবে? যদি রক্ত ও জমিনের ভাষায় না হয়, তাহলে তা ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ দিকেই চালিত করবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জয়শঙ্কর বাইডেনের নাম বলতে অস্বীকার করেছেন। বাইডেনের বক্তব্য প্রত্যাহার বা ক্ষমা চাওয়ার দাবির ধারেকাছেও যাননি। দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়নি। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুতর আলোচনার জন্য নিম্নপদস্থ কোনো মার্কিন কূটনীতিককেও ডেকে পাঠায়নি। অবশ্যই এটা ভারত সরকারের বিচক্ষণতা। কেউ কেউ অবশ্য এটাকে কাপুরুষতাও বলতে পারে। এটাকে নিউইয়র্কের শিখ নেতা পান্নুনের হত্যাচেষ্টা-সম্পর্কিত ঘটনায় নতুন বিষয় উদ্ঘাটন দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সদস্যদের মাথায় যখন এ ধরনের খড়্গ ঝুলতে থাকে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কানাডায় একজন শিখ নেতাকে হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্য একজন শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ভারতের ‘বিদেশিবিদ্বেষী’ ভাবমূর্তিকে শুধু তুলে ধরে না, তাকে ঘাতকের জায়গায়ও এনে দাঁড় করায়।
কিন্তু ভারত সরকারই যদি নীরব থাকে, তাহলে ভারতীয় আমেরিকানদের কী হবে? সেই ধনী, শিক্ষিত, উচ্চপদস্থ লোকেরা যারা ভারতের একটু নরম-শরম মনোভাবের কেন্দ্রে ছিল? রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আমলা, গুগলের সিইও এবং মাইক্রোসফটের চেয়ারপারসন—আমরা শুধু শুনতে পাই তাদের সবার এক আশ্চর্যজনক নীরবতা।
তাদের নিয়ে ভারত ও ভারতীয়রা যতটা গর্ব করে বলে মনে হয়, ভারত যা হয়ে উঠেছে তাতে তারা আর ভারতকে নিয়ে ততটা গর্ব করতে পারে না। ২০১৫ সালে, নরেন্দ্র মোদি তাঁর এই মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন যে আগেকার লোকেরা ভারতীয় হতে লজ্জিত ছিল এবং এখানে জন্মে যে কী পাপ করেছে তা ভাবত। এখন তাঁর ক্ষমতার বিপর্যয়কর ১০ বছরে তিনি আসলে ভারতীয় আমেরিকানদের নিজের মাতৃভূমি ভারতের সমর্থনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ব্যাপারে লজ্জিতই করতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে।
ওমাইর আহমদ, ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক
(ভারতের অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে