Ajker Patrika

জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ১৩
জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জন্মনিবন্ধন সনদ বিতরণের বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা।

আমিরগঞ্জ ইউপি সূত্রে জানা গেছে, জন্ম সনদের জন্য ৫০ টাকা ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধনের ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিক আইডি ও প্রোফাইল তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে সরকার। এ সব তথ্যের জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন ইউপি ভবনে আসছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

গত মঙ্গলবার আমিরগঞ্জ ইউপিতে গেলে দেখা যায়, সনদ নিতে এসেছেন কয়েকজন অভিভাবক। এ সময় কথা হয় তাদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, প্রতিটি জন্ম নিবন্ধন সনদ ও সনদ সংশোধনের জন্য ৫০ ও ১০০ টাকার বদলে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত এই টাকা না দিলে মিলছে না জন্ম নিবন্ধন সনদ।

হাসনাবাদ গ্রামের শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে ৫০০ টাকা চাওয়ায় আমি সনদ আনতে পারিনি।’

ভাটি বদরপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়া বলেন, ‘আমি ৩টি জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়েছি। এর জন্য আমাকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাজমুল ফোন ধরেননি। তাই তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ইউপি সচিব সোহেল মিয়া বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এত টাকা নেওয়ার কথা না। দোতলায় যাদের কাছে আবেদন করা হয়, তাঁরা নিচ্ছেন কী না, তা যাচাই করে দেখতে হবে।

আমিরগঞ্জ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। আগে সামান্য কিছু টাকা বেশি নেওয়া হতো বলে শুনেছি। আগের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে এ নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার তাঁদের চাপ দিয়েছি বেশি টাকা না নেওয়ার জন্য।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যেন দালালের খপ্পরে না পড়েন তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সঙ্গে কথা যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত