নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি মাসটা শুরুই হলো আন্দোলন দিয়ে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক-সঙ্গে চলছে দুই আন্দোলন। সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর শিক্ষার্থীরা চাইছেন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-অবরোধ করছেন।
দুই আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা। এরপরও এখন পর্যন্ত কোনো নড়চড় নেই সরকারের উচ্চ মহলে। ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আর আন্দোলনরত শিক্ষকনেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গত বৃহস্পতিবার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলে পরে তা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নতুন করে বৈঠকের কোনো ঘোষণাও হয়নি।
অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলমান দুই আন্দোলনের সমস্যা সমাধানে তারা তাকিয়ে আছে সরকারের শীর্ষ মহলের দিকে। কারণ, এসব সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে এখনো কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কাউকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কোটা কিংবা প্রত্যয় স্কিম নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনোটির সমাধানই তাঁদের হাতে নেই। তাঁরা অপেক্ষায় আছেন সরকারের শীর্ষ মহলের সিদ্ধান্তের।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আগেই সমাধান প্রয়োজন। আর এ ক্ষেত্রে আলোচনাই একমাত্র পথ।
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি আন্দোলনের দাবিদাওয়াই যৌক্তিক। এগুলোর সমাধান সরকারের পলিসিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের ভেতরের শক্তি বিষয়গুলোকে জিইয়ে রেখে অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তাই দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
এই অধ্যাপক আরও বলেন, দেশে এখন অনেক সমস্যা। যেমন ব্যাংকে টাকা নেই, বেনজীর-মতিউরের দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি। অথচ এই দুই আন্দোলনের কারণে এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আন্দোলন নিয়ে কালক্ষেপণের এটিও একটি কারণ হতে পারে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, সংকটটা অতি দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। তা না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। আর যেকোনো সংকটই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর বাইরে সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিও তাঁদের।
জানতে চাইলে গতকাল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবির বিষয়ে অনড়। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী রোববারও আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব।’
অধ্যাপক আখতারুল আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকটি অনিবার্য কারণে হয়নি। এরপর নতুন করে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।
গত মাসের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র হাইকোর্টে অবৈধ ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে গত কয়েক দিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধও করছেন তাঁরা। আজ শনিবার বেলা তিনটায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় ছাত্র আন্দোলন হয়। পরে ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের বিষয়ে দলীয় অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে এখনো কোনো দিকনির্দেশনা শীর্ষ পর্যায় থেকে আমাদের দেওয়া হয়নি। কী বললে কী হয়, এ জন্য আপাতত কথা বলা থেকে বিরত আছি।’
অবশ্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলন আদালতের বিষয়। সরকার ও আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। আর শিক্ষকদের সঙ্গে বসা, তাঁদের কথা শোনা ও আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি (কোটা) এখন আদালতের বিষয়। তাঁদের সিদ্ধান্তের আগে কোনো কিছু বলা যায় না। কোনো কিছু যদি আদালতে বিচারাধীন থাকে, তা নিয়ে নির্বাহী বিভাগের কিছুই বলার থাকে না। তাই এ নিয়ে সবারই ধৈর্য ধরা উচিত।’
চলতি মাসটা শুরুই হলো আন্দোলন দিয়ে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক-সঙ্গে চলছে দুই আন্দোলন। সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর শিক্ষার্থীরা চাইছেন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-অবরোধ করছেন।
দুই আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা। এরপরও এখন পর্যন্ত কোনো নড়চড় নেই সরকারের উচ্চ মহলে। ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আর আন্দোলনরত শিক্ষকনেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গত বৃহস্পতিবার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলে পরে তা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নতুন করে বৈঠকের কোনো ঘোষণাও হয়নি।
অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলমান দুই আন্দোলনের সমস্যা সমাধানে তারা তাকিয়ে আছে সরকারের শীর্ষ মহলের দিকে। কারণ, এসব সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে এখনো কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কাউকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কোটা কিংবা প্রত্যয় স্কিম নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনোটির সমাধানই তাঁদের হাতে নেই। তাঁরা অপেক্ষায় আছেন সরকারের শীর্ষ মহলের সিদ্ধান্তের।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আগেই সমাধান প্রয়োজন। আর এ ক্ষেত্রে আলোচনাই একমাত্র পথ।
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি আন্দোলনের দাবিদাওয়াই যৌক্তিক। এগুলোর সমাধান সরকারের পলিসিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের ভেতরের শক্তি বিষয়গুলোকে জিইয়ে রেখে অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তাই দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
এই অধ্যাপক আরও বলেন, দেশে এখন অনেক সমস্যা। যেমন ব্যাংকে টাকা নেই, বেনজীর-মতিউরের দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি। অথচ এই দুই আন্দোলনের কারণে এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আন্দোলন নিয়ে কালক্ষেপণের এটিও একটি কারণ হতে পারে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, সংকটটা অতি দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। তা না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। আর যেকোনো সংকটই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর বাইরে সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিও তাঁদের।
জানতে চাইলে গতকাল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবির বিষয়ে অনড়। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী রোববারও আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব।’
অধ্যাপক আখতারুল আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকটি অনিবার্য কারণে হয়নি। এরপর নতুন করে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।
গত মাসের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র হাইকোর্টে অবৈধ ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে গত কয়েক দিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধও করছেন তাঁরা। আজ শনিবার বেলা তিনটায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় ছাত্র আন্দোলন হয়। পরে ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের বিষয়ে দলীয় অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে এখনো কোনো দিকনির্দেশনা শীর্ষ পর্যায় থেকে আমাদের দেওয়া হয়নি। কী বললে কী হয়, এ জন্য আপাতত কথা বলা থেকে বিরত আছি।’
অবশ্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলন আদালতের বিষয়। সরকার ও আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। আর শিক্ষকদের সঙ্গে বসা, তাঁদের কথা শোনা ও আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি (কোটা) এখন আদালতের বিষয়। তাঁদের সিদ্ধান্তের আগে কোনো কিছু বলা যায় না। কোনো কিছু যদি আদালতে বিচারাধীন থাকে, তা নিয়ে নির্বাহী বিভাগের কিছুই বলার থাকে না। তাই এ নিয়ে সবারই ধৈর্য ধরা উচিত।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে