Ajker Patrika

নবান্নের অনুষঙ্গ মাছের মেলা

জয়পুরহাট ও নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫৩
নবান্নের অনুষঙ্গ মাছের মেলা

ভোরের কুয়াশা তখনো কাটেনি। হালকা কুয়াশার চাদর ভেদ করে বইছে হিমেল হাওয়া। এমন সময়েও মানুষের হইচই শোনা যাচ্ছে। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কটির পূর্ব পাশে মানুষের জটলা দেখা গেল। সেখানে পাঁচশিরা মাছের আড়তে ভিড় করেছে সবাই। এগিয়ে যেতেই কারণ জানা গেল, মাছের মেলা বসেছে এখানে। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে গতকাল শনিবার জমে ওঠে এক দিনের মাছের মেলা। এদিন বগুড়ার নন্দীগ্রামেও আয়োজন করা হয় মাছের মেলার।

পাঁচশিরার মেলায় প্রবেশ করতেই প্রায় অর্ধশত দোকান চোখে পড়ে। সবগুলোয় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বড় বড় মাছ। সিলভারকার্প, ব্রিগেড, রুই, কাতলা,  গ্রাসকার্প, পাঙাশ নানা নামের মাছ। কোনো কোনো ব্যবসায়ী তো রংবেরঙের কাগজ দিয়ে সাজিয়েছে নিজেদের দোকান। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে চলছে ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক। আর পছন্দের মাছ খুঁজে পেতেই ক্রেতারা মেতেছেন দর-কষাকষিতে। বাজেটের মধ্যে এলেই কিনছেন মাছ।

কয়েকজন ক্রেতা জানালেন, মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রাম-মহল্লায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দূরদূরান্ত থেকে নিমন্ত্রণ করা হয় আত্মীয়-স্বজনদের। দিনটির জন্যই অপেক্ষায় থাকেন কালাই উপজেলার বাসিন্দারা।

থুপসাড়া মহল্লা থেকে সপরিবারে মাছ কিনতে এসেছেন শাহনাজ পারভীন শিউলি। তিনি বলেন, ‘বড় বড় মাছ দেখতে এবং পছন্দের মাছ কিনতে মেলায় এসেছি।’

অন্যদিকে, ৭৫০ টাকা কেজিতে সাড়ে ৮ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ কিনেছেন খোসালপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন মণ্ডল। তিনি বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার বড় আকারের মাছের আমদানি (জোগান) এবং দাম দুই-ই কম। এবার ১২ কেজির চেয়ে বড় মাছ চোখে পড়েনি।’

বিষয়টি স্বীকার করেন মাছ বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, মেলার জন্য চেষ্টা করেছেন বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে। 
কালাই পৌরসভার এ পাঁচশিরা মাছের আড়ত ও বাজারে প্রায় দুই যুগ ধরে নবান্ন উৎসবের সময় আয়োজন করা হয় এক দিনের মাছের মেলা। এখন এটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন কালাই পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মোস্তা হাসান। তিনি বলেন, এদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জমজমাট থাকে মেলা। আশপাশের লোকজন মাছ কিনতে এ মেলায় আসেন।

মেলায় কেনা-বেচা যেমনই হোক। এটিকে উৎসব মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনটিই জানান কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন।

ইউএনও জান্নাত আরা তিথি বলেন, এ মেলায় কেউ যাতে বিষযুক্ত মাছ বিক্রি করতে না পারে, সেদিকে তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই দৃশ্য দেখা যায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা এবং ওমরপুর বাজারেও। সেখানে গতকাল বসে মাছের মেলা। বিশাল আকৃতির মাছের সমাহার দেখা যায় মেলাটিতে। কোনো কোনো মাছ বিক্রেতা বিশাল মাছের মাথা ওপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করছেন। তবে এবার মাছের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ক্রেতা।

জগন্নাথ শীল নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘মাছের দাম বেশিই। আমি কাতলা মাছ ৫৫০ টাকা ও বিগ্রেড ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত