তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিজয়ী ওহিদ মিয়া ও পরাজিত প্রার্থী আবুল মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ৭টার দিকে ওই ওয়ার্ডের দড়িগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সোহেল মিয়া (৩২), ফয়েজ হোসেন (১৭), শাহজালাল (২০), জাহাঙ্গীর মিয়া (৫০), মোসলেম উদ্দিন (৬০), আলিমন বেগম (৫০), ইব্রাহিম (৪০), শামীম (১৮), আয়শা আক্তার (২২) ও রুপিয়া খাতুন (৪৫)। তাঁরা তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সদস্য আবুল মিয়ার সমর্থক হক মিয়াকে (৬০) বিজয়ী সদস্য ওহিদ মিয়ার লোকজন ভোটের পর থেকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন। এ কারণে হক মিয়া ভোটের পর থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন না। গত শনিবার রাতে এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলে বিজয়ী ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মসজিদ থেকে বের হয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় হক মিয়ার বসতঘরসহ আশপাশের বাসাবাড়ি ও দোকানঘর ভাঙচুর এবং আসবাব লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে আবুল মিয়া বলেন, ‘ওহিদ মিয়া নির্বাচনে পাশ করেই আমার সমর্থক হক মিয়াকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধরে ওহিদ মিয়ার লোকজন গত শনিবার রাতে হক মিয়ার ওপর হামলা করে। তাঁর বসতঘর এবং আল আমিনের ইলেকট্রনিক্সের দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আমার বড় ভাইয়ের খড়ের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ওহিদ মিয়া বলেন, ‘আমি ঝগড়ার বিষয়ে কিছুই জানি না।’

ওহিদ মিয়ার সমর্থক সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, ‘আবুল মেম্বারের লোকজন আমাদের ঘরে এসে আমার শ্বশুরকে মারধর করেছে। আমার গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।’

তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে মারামারি করে পাঁচজন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’