হুট করে প্রযোজনায় আসিনি

Thumbnail image

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান। গতকাল অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক বুঝে পেয়েছেন মনোজ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

এখন কোন পর্যায়ে আছে সেয়ানা সিনেমার কাজ? 
গবেষণা ও চিত্রনাট্য ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছে। তাড়াহুড়া করতে চাইছি না। ধীরেসুস্থে পরিকল্পনামাফিক এগোতে চাই। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করেছি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে শুটিং শুরু করব।

সেয়ানা সিনেমার গল্প কী নিয়ে? 
ইংরেজ আমলের বিপ্লবী উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ‘সেয়ানা’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি। গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৪৭ সালের আগের সময় থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত। সেই সময়ের নিম্নবর্গীয় পকেটমারদের জীবন, তৎকালীন রাজনীতি, অর্থনৈতিক অবস্থা ও দেশভাগের প্রভাব উঠে আসবে সিনেমার গল্পে। 

সরকারি অনুদানের সিনেমা নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবেন?
মন্ত্রণালয় থেকে সিনেমা বানানোর জন্য যে সময় দেওয়া থাকে, এর মধ্যে শেষ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। গবেষণা, শুটিং লোকেশন নির্বাচন, শিল্পী বাছাই, শুটিং, পোস্ট প্রোডাকশন—সব মিলিয়ে অনেক কাজ থাকে। যাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তাঁরা এই বিষয়গুলো জানেন। সেই জায়গা থেকে এক বছরের সময়সীমা কোনো সিনেমার ক্ষেত্রে ঠিক আছে, আবার কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন। আমাদের সিনেমাটি পিরিয়ডিক্যাল, তাই একটু বেশি সময় লাগতে পারে। আমরা অবশ্যই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই এগোব।

পুরোনো সময়ের চিত্র এখন এসে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এটা নিয়ে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?
এই বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। চিত্রনাট্যের ফাইনাল ড্রাফট তৈরি হওয়ার পর শুটিং লোকেশন চূড়ান্ত করব। সব লোকেশন হয়তো পাওয়া যাবে না। তাই কিছু সেট নির্মাণ করে শুটিং করার ভাবনা আছে। 

অনেক অভিনয়শিল্পী প্রযোজনায় আসেন। তবে নিয়মিত থাকেন না। আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটা হবে? 
আমি কিন্তু হুট করে সিনেমা প্রযোজনায় চলে আসিনি। তিন বছর ধরে প্রযোজনার সঙ্গে জড়িত। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে। আমরা নিয়মিত টেলিভিশন নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও বিজ্ঞাপনের কাজ করছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও আমাদের কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। একটি ফিচার ফিল্ম করেছি। ভবিষ্যতে কী হবে, এটা তো বলতে পারব না। এখন শিক্ষকতা করছি, অভিনয় করছি, প্রযোজনা করছি, সামনে হয়তো না-ও করতে পারি। তবে আমি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি। সরকারি অনুদান পাওয়াটা আমার জন্য অনুপ্রেরণার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত