সম্পাদকীয়
কাঁচাবাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনলে ক্রেতাদের চোখেমুখে পানি ছিটানোর প্রয়োজন হয়। প্রতিটি সবজির দাম কেবল বাড়ছে আর বাড়ছে। একমাত্র কাঁচা পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজির কেজি ১০০ টাকার নিচে নেই।
শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘নিম্নমধ্যবিত্তদের সংসার আর চলছে না ভাই’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে: রাজধানীর রামপুরা এলাকার মেরাদিয়া বাজারে সকাল সকাল কাঁচাবাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আজিজুর রহমান। বাজার করতে এসে গলদঘর্ম অবস্থা। বললেন, ‘বাজার করতে এসে শুধু পেঁপে কিনেছি। পেঁপে ছাড়া সব তরকারির দাম ১০০ টাকার ওপরে। আমাদের নিম্নমধ্যবিত্তদের সংসার আর চলছে না ভাই। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।’
কেন কাঁচাবাজার এত ঊর্ধ্বমুখী? খুচরা বিক্রেতা মো. সজিব মিয়া বলেছেন, ‘বাজার তো বাড়তি। আমগোই বেশি দামে কারওয়ান বাজারতোন আনতে অয়। ওরা বলে, মাল আহে না, পইচ্যা গেছে। ১০০ টাকায় কিন্যা ১২০ টাকায় বেচি। হের মইদ্যে আবার ক্যারিং খরচ আছে।’
বাজারে আসা পোশাকশ্রমিক মরিয়ম খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকপাতা কিনি। যা বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতি মাসে ধারদেনা হয়। বাজারে এখন কেনার মতো কোনো তরকারি আর নাই। কয়দিন পর না খাইয়া থাকতে অইব।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর মানুষ আশাবাদী হয়েছিল এই ভেবে যে, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ায় অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং বাজারের আগুনও নিভবে। কিন্তু হায়, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়!
কোনো কোনো বাজারে এখন গোটা ইলিশের পরিবর্তে মাছের পিস করে বিক্রি শুরু করেছেন দোকানিরা। আর দাম শুনলে মাথায় হাত পড়ছে ক্রেতাদের। দেখা গেছে ১০০ গ্রাম ওজনের এক টুকরা ইলিশের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। অর্থাৎ ২ হাজার টাকা কেজি!
শুধু কি মাছ? চড়চড়িয়ে বাড়ছে সবজির দাম। দেশের উৎপাদনপর্যায়ে কৃষকেরা তেমন দাম না পেলেও ভোক্তাপর্যায়ে দাম দিতে হচ্ছে চড়া। কৃষকপর্যায় থেকে ভোক্তাপর্যায়ে সবজির দামের পার্থক্য কেজিতে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। মুনাফা ও পরিবহন খরচ বাদ দিলে ভোক্তাদের গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।
কিছুই কি করার নেই? কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন মনে করেন, ‘কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কৃষক যেমন ন্যায্য দাম পান না, তেমনি ভোক্তাদেরও বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত হাতবদল এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় এসব হচ্ছে। এ ছাড়া দাদন ব্যবস্থার কারণে অনেক কৃষক আগেভাগে তাঁদের পণ্য কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।’
নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে। সবজির ক্ষেত্রেও এই কমার প্রবণতা দেখে স্বস্তি পেতে চান দেশের মানুষ।
কাঁচাবাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনলে ক্রেতাদের চোখেমুখে পানি ছিটানোর প্রয়োজন হয়। প্রতিটি সবজির দাম কেবল বাড়ছে আর বাড়ছে। একমাত্র কাঁচা পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজির কেজি ১০০ টাকার নিচে নেই।
শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘নিম্নমধ্যবিত্তদের সংসার আর চলছে না ভাই’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে: রাজধানীর রামপুরা এলাকার মেরাদিয়া বাজারে সকাল সকাল কাঁচাবাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আজিজুর রহমান। বাজার করতে এসে গলদঘর্ম অবস্থা। বললেন, ‘বাজার করতে এসে শুধু পেঁপে কিনেছি। পেঁপে ছাড়া সব তরকারির দাম ১০০ টাকার ওপরে। আমাদের নিম্নমধ্যবিত্তদের সংসার আর চলছে না ভাই। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।’
কেন কাঁচাবাজার এত ঊর্ধ্বমুখী? খুচরা বিক্রেতা মো. সজিব মিয়া বলেছেন, ‘বাজার তো বাড়তি। আমগোই বেশি দামে কারওয়ান বাজারতোন আনতে অয়। ওরা বলে, মাল আহে না, পইচ্যা গেছে। ১০০ টাকায় কিন্যা ১২০ টাকায় বেচি। হের মইদ্যে আবার ক্যারিং খরচ আছে।’
বাজারে আসা পোশাকশ্রমিক মরিয়ম খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকপাতা কিনি। যা বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতি মাসে ধারদেনা হয়। বাজারে এখন কেনার মতো কোনো তরকারি আর নাই। কয়দিন পর না খাইয়া থাকতে অইব।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর মানুষ আশাবাদী হয়েছিল এই ভেবে যে, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ায় অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং বাজারের আগুনও নিভবে। কিন্তু হায়, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়!
কোনো কোনো বাজারে এখন গোটা ইলিশের পরিবর্তে মাছের পিস করে বিক্রি শুরু করেছেন দোকানিরা। আর দাম শুনলে মাথায় হাত পড়ছে ক্রেতাদের। দেখা গেছে ১০০ গ্রাম ওজনের এক টুকরা ইলিশের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। অর্থাৎ ২ হাজার টাকা কেজি!
শুধু কি মাছ? চড়চড়িয়ে বাড়ছে সবজির দাম। দেশের উৎপাদনপর্যায়ে কৃষকেরা তেমন দাম না পেলেও ভোক্তাপর্যায়ে দাম দিতে হচ্ছে চড়া। কৃষকপর্যায় থেকে ভোক্তাপর্যায়ে সবজির দামের পার্থক্য কেজিতে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। মুনাফা ও পরিবহন খরচ বাদ দিলে ভোক্তাদের গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।
কিছুই কি করার নেই? কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন মনে করেন, ‘কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কৃষক যেমন ন্যায্য দাম পান না, তেমনি ভোক্তাদেরও বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত হাতবদল এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় এসব হচ্ছে। এ ছাড়া দাদন ব্যবস্থার কারণে অনেক কৃষক আগেভাগে তাঁদের পণ্য কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।’
নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে। সবজির ক্ষেত্রেও এই কমার প্রবণতা দেখে স্বস্তি পেতে চান দেশের মানুষ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে