ইজাজুল হক
মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদ
রাজধানী দোহার মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদ কাতারের জাতীয় মসজিদ। মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মীয় সংস্কারক শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের নামে এ মসজিদের নাম রাখা হয়। প্রায় দেড় শ বছরের পুরোনো মসজিদটি ২০০৬ সালে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ২০১১ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কাতার স্টেট মসজিদ নামেও এর পরিচিতি আছে।
১ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত সুপরিসর কমপ্লেক্সের মধ্যখানে ১২ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে মসজিদের মূল ভবন নির্মিত হয়। ৩০ হাজার মুসল্লি ধারণ করতে সক্ষম এ মসজিদে নারীদের জন্যও রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা।
মসজিদের রয়েছে ৯৩টি গম্বুজ; ৬৫টি গম্বুজ দিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের আয়তাকার বিশাল বারান্দা। বাকি ২৮টি বড় গম্বুজ মসজিদের কেন্দ্রীয় হলে। তিনটি প্রধান দরজাসহ মোট ২০টি প্রবেশপথ। পূর্ব দিকে বেলেপাথরে মোড়ানো বিশাল উঠোন। প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটারের আন্ডারগ্রাউন্ডসহ তিনতলার এ মসজিদে নামাজকক্ষ ছাড়া রয়েছে—অজুখানা, লাইব্রেরি, হিফজখানা, বিশ্রামাগার ইত্যাদি। প্রায় ১৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
কাতারের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে মসজিদটি নির্মিত। কমপ্লেক্সজুড়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আলোকসজ্জা যেকোনো দর্শকেরই মন জুড়িয়ে দেয়। মসজিদের ভেতরের অসাধারণ নকশা, ঝাড়বাতি ও নির্জন পরিবেশ মুসল্লিদের গায়ে স্বর্গীয় পরশ মেখে দেয়। অমুসলিম পর্যটকদের জন্য মসজিদ পরিদর্শনের সুব্যবস্থা রয়েছে।
এডুকেশন সিটি মসজিদ
কাতারের অন্যতম নান্দনিক মসজিদ দোহার এডুকেশন সিটি মসজিদ, যা মসজিদে যুল-মানারাতাইন নামেও পরিচিত। এডুকেশন সিটি কাতারের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য বিখ্যাত। মসজিদটি মূলত হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সঙ্গে সংযুক্ত। ঐশী আলো ও বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে অত্যাধুনিক স্থাপত্যে মসজিদটি নির্মিত।
পাঁচটি বড় স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে মসজিদটি ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্তম্ভের গায়েও কোরআনের ভাষ্যে লিখে দেওয়া হয়েছে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের কথা। মসজিদের অভিনব নকশার মিনার দুটি ৯০ মিটার ওপরে উঠে পবিত্র কাবাঘরের দিকে নুয়ে পড়েছে। এখানে প্রায় ৪ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্য রয়েছে নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা। মূল ভবনের চারপাশে রয়েছে শান্তির প্রতীক জয়তুনগাছের বাগান; যেখানে আছে আরও ৫৯ প্রকারের উদ্ভিদ।
মসজিদের নকশা করেছেন স্থপতি আলি মনজিরা ও তাঁর স্ত্রী অ্যাডা ইয়াভার্স ব্রাভো। মসজিদের মিনারসহ পুরো দেয়ালে লেপ্টে থাকা তাহা আল-হিতির আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো দর্শকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। মসজিদে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম, প্রতিযোগিতা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ ইংরেজি ও উর্দুতে সেবা পাওয়ার সুযোগ।
আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার
আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদের উঁচু মিনারটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং কাতারের সর্বোচ্চ মিনার। কাতারের বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত শেখ আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদের নামে মসজিদের নাম রাখা হয়। ২০০৮ সালে এ মসজিদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
কাতারের অন্যান্য মসজিদের মতো এ মসজিদেও বহুমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনারের নিয়মিত আয়োজন চলে। অমুসলিমদের ইসলাম সম্পর্কে জানার বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিদেশি দর্শকদের ইসলাম সম্পর্কে জানাতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এই সেন্টার। ছয় ভাষায় অনূদিত ইসলামের পরিচয়সংবলিত পুস্তক বিতরণের কাজও শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদ
রাজধানী দোহার মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদ কাতারের জাতীয় মসজিদ। মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মীয় সংস্কারক শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের নামে এ মসজিদের নাম রাখা হয়। প্রায় দেড় শ বছরের পুরোনো মসজিদটি ২০০৬ সালে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ২০১১ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কাতার স্টেট মসজিদ নামেও এর পরিচিতি আছে।
১ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত সুপরিসর কমপ্লেক্সের মধ্যখানে ১২ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে মসজিদের মূল ভবন নির্মিত হয়। ৩০ হাজার মুসল্লি ধারণ করতে সক্ষম এ মসজিদে নারীদের জন্যও রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা।
মসজিদের রয়েছে ৯৩টি গম্বুজ; ৬৫টি গম্বুজ দিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের আয়তাকার বিশাল বারান্দা। বাকি ২৮টি বড় গম্বুজ মসজিদের কেন্দ্রীয় হলে। তিনটি প্রধান দরজাসহ মোট ২০টি প্রবেশপথ। পূর্ব দিকে বেলেপাথরে মোড়ানো বিশাল উঠোন। প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটারের আন্ডারগ্রাউন্ডসহ তিনতলার এ মসজিদে নামাজকক্ষ ছাড়া রয়েছে—অজুখানা, লাইব্রেরি, হিফজখানা, বিশ্রামাগার ইত্যাদি। প্রায় ১৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
কাতারের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে মসজিদটি নির্মিত। কমপ্লেক্সজুড়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আলোকসজ্জা যেকোনো দর্শকেরই মন জুড়িয়ে দেয়। মসজিদের ভেতরের অসাধারণ নকশা, ঝাড়বাতি ও নির্জন পরিবেশ মুসল্লিদের গায়ে স্বর্গীয় পরশ মেখে দেয়। অমুসলিম পর্যটকদের জন্য মসজিদ পরিদর্শনের সুব্যবস্থা রয়েছে।
এডুকেশন সিটি মসজিদ
কাতারের অন্যতম নান্দনিক মসজিদ দোহার এডুকেশন সিটি মসজিদ, যা মসজিদে যুল-মানারাতাইন নামেও পরিচিত। এডুকেশন সিটি কাতারের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য বিখ্যাত। মসজিদটি মূলত হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সঙ্গে সংযুক্ত। ঐশী আলো ও বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে অত্যাধুনিক স্থাপত্যে মসজিদটি নির্মিত।
পাঁচটি বড় স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে মসজিদটি ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্তম্ভের গায়েও কোরআনের ভাষ্যে লিখে দেওয়া হয়েছে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের কথা। মসজিদের অভিনব নকশার মিনার দুটি ৯০ মিটার ওপরে উঠে পবিত্র কাবাঘরের দিকে নুয়ে পড়েছে। এখানে প্রায় ৪ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্য রয়েছে নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা। মূল ভবনের চারপাশে রয়েছে শান্তির প্রতীক জয়তুনগাছের বাগান; যেখানে আছে আরও ৫৯ প্রকারের উদ্ভিদ।
মসজিদের নকশা করেছেন স্থপতি আলি মনজিরা ও তাঁর স্ত্রী অ্যাডা ইয়াভার্স ব্রাভো। মসজিদের মিনারসহ পুরো দেয়ালে লেপ্টে থাকা তাহা আল-হিতির আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো দর্শকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। মসজিদে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম, প্রতিযোগিতা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ ইংরেজি ও উর্দুতে সেবা পাওয়ার সুযোগ।
আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার
আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদের উঁচু মিনারটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং কাতারের সর্বোচ্চ মিনার। কাতারের বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত শেখ আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল মাহমুদের নামে মসজিদের নাম রাখা হয়। ২০০৮ সালে এ মসজিদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
কাতারের অন্যান্য মসজিদের মতো এ মসজিদেও বহুমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনারের নিয়মিত আয়োজন চলে। অমুসলিমদের ইসলাম সম্পর্কে জানার বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিদেশি দর্শকদের ইসলাম সম্পর্কে জানাতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এই সেন্টার। ছয় ভাষায় অনূদিত ইসলামের পরিচয়সংবলিত পুস্তক বিতরণের কাজও শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে