Ajker Patrika

বাজারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ঘোড়াউত্রা নদী

মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৪৯
বাজারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ঘোড়াউত্রা  নদী

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাটবাজারে পলিথিন, বিস্কুট ও চিপসের প্যাকেটসহ অপচনশীল প্লাস্টিক  বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ঘোড়াউত্রা নদী। কোথাও সরাসরি পানিতে, কোথাও খাল বা নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে এসব বর্জ্য। পরে সেখান থেকে পানিতে ভেসে খাল হয়ে এসব প্লাস্টিক বর্জ্য গিয়ে জমছে ঘোড়াউত্রা নদীর তলদেশে। এখানে নেই ময়লা সংরক্ষণাগার। প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর বর্জ্যের এমন অব্যবস্থাপনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিঠামইন সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ময়লা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার জন্য নির্ধারিত কোনো স্থান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নেই। এ কারণে যার যার ইচ্ছেমতো যত্রতত্র ফেলছে ময়লা। পচনশীল ময়লার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে বাতাস। অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানির সঙ্গে নেমে যাচ্ছে খাল ও নদীতে।

ঘোড়াউত্রা নদীর দক্ষিণ তীরে মিঠামইন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নদীপাড়ে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা। বাজারের ঘাগড়া-মহিষেরকান্দি ঘাট, থানা-কোর্টবিল্ডিং ঘাট এলাকায় নদীর তীরে খোলামেলা পড়ে আছে বিশাল ময়লা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ। এ ছাড়া ঘাগড়া, ঢাকী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবাধে ময়লা পড়ে রয়েছে।

ঘাটের পাশে খোলা আকাশের নিচে এভাবে ফেলা রাখা ময়লা ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী দোকানে থাকা ও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর। মাঝেমধ্যে কাক ও কুকুর ময়লার অংশবিশেষ টেনে নিয়ে যায় লোকালয়ে। এতে নষ্ট হচ্ছে বাজারের পরিবেশ। দুর্গন্ধে বিপাকে পড়তে হয় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীকে।

বাজারে আগত ক্রেতা ও হাওর সড়ক ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা ময়লার দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ময়লা সংরক্ষণাগার, শোধনাগার নির্মাণ ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানে ডাস্টবিন স্থাপন না করায় তাঁরা যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন। তবে, ময়লার দুর্গন্ধে নিজেদেরই দোকানে থাকতে সমস্যা হয়।

সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এখান দিয়ে যাতায়াতের সময় নাক ধরে রাখতে হয়। এমন নোংরা পরিবেশ পর্যটন এলাকায় মানা যায় না।’

পরিবেশভিত্তিক সংগঠন ‘হাওরাঞ্চলবাসী’ ঢাকা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান কামরুল হাসান বাবু বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ দূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য হাওরের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইকোসিস্টেম নষ্ট করছে এসব প্লাস্টিকের বর্জ্য। তা সত্ত্বেও হাওরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ময়লা ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণাগার নির্মাণের স্থানসহ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ময়লা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মিডিয়া ছুটায় দেব, চেনো আমাদের’—সাংবাদিককে হুমকি কুড়িগ্রামের এসপির

মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছাড়েন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা

সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতেই মডেল মেঘনা কারাগারে

মডেল মেঘনার পরিবারের মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করেছিল পুলিশ

বান্দরবান, মণিপুর, মিজোরাম ও রাখাইন নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে: বজলুর রশীদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত