Ajker Patrika

সব হিসাবেই গরমিল

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১০: ১৭
সব হিসাবেই গরমিল

‘বিপিসির হিসাবে গরমিল’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় শুক্রবার একটি বিশ্লেষণ ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ২০১৪-১৫ থেকে 

২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত সাত বছরে মুনাফা করেছে মোট ৪২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই সাত বছরে বিপিসির ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা মুনাফার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দুই তথ্যের মধ্যে ব্যবধান ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।

কেন এই গরমিল, সমস্যা কোথায়, রাষ্ট্রীয় খাতের একটি বড় প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশে এই গরমিল মেনে নেওয়া যায় কি না—এসব যৌক্তিক প্রশ্ন মুলতবি রেখে বরং যে প্রশ্নটা করা যায়, সেটা হলো, আসলে আমাদের জীবনের কোন ক্ষেত্রে হিসাবের এমন গরমিল নেই? আমরা যেন কেমন একধরনের অস্বচ্ছতার জালে জড়িয়ে পড়েছি বা পড়ছি। স্বচ্ছতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কিন্তু যাঁদের জবাব দেওয়ার কথা, তাঁরা মুখ খোলেন না।

দেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করে যখন ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে গর্ব অনুভব করছি, ঠিক তখনই সংবাদপত্রে আবার এমন খবরও আমাদের পড়তে হচ্ছে যে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার এক যুগ পরেও তা বাস্তবায়িত হয় না। ২০১১ সালে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার ছয় বছর পর জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ওই মাঠ তৈরির কাজ শুরু হলেও আজও তা শেষ হয়নি। কারণ কী? সমস্যা কোথায়?

এমন আরও অনেক বিষয় আছে। যেমন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা বাদ দিলেও এই রাজধানী শহরে এমন কিছু রাস্তাঘাট আছে, যেগুলো মাসের পর মাস চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। কেন এগুলো মেরামত করে নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হয় না? এগুলো শত শত কোটি টাকার প্রজেক্ট নয় বলে? এগুলো থেকে ভাগ-বাঁটোয়ারার সুযোগ কম থাকে বলে?

আপনি ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা নদী কয়েক মিনিটে এখন অতিক্রম করে দ্রুততম সময়েই হয়তো দক্ষিণের কোনো জেলা শহরে পৌঁছে যাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ শহরের প্রবেশমুখের অবস্থা তো যাচ্ছে তাই। সড়কের ছালবাকল উঠে গেছে। গাড়ি চলে গোঁত্তা খেয়ে খেয়ে। মহাসড়কের স্বস্তি কয়েক মিনিটেই ভুলিয়ে দিয়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। এগুলো দেখার কেউ নেই?

বড় স্থাপনা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, আঙুল তুলে বলা যায়, দেখো, আমরা এটাও পারি। কিন্তু ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে অহংকার করা যায় না, কিন্তু মানুষ খুশি হয়, সেগুলো করতে বেশি অর্থও লাগে না অথচ তা করা হয় না।

কেন এই গরমিল? এই প্রশ্নের জবাব তো কাউকে না কাউকে দিতেই হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

বগুড়ায় ইফতারের পর ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

সেনাসদস্যকে এক গাড়ি ধাক্কা দেয়, আরেক গাড়ি পিষে যায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত