ফিচার ডেস্ক
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে খাবার গ্রহণের গুরুত্বের বিষয়টি সবার জানা। তবে এটা জানতে হবে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও খাবারের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন থেকে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় এমন কিছু খাবারের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে, যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। এর সঙ্গে কিছু পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
খাবার মানসিক স্বাস্থ্যকে যেভাবে প্রভাবিত করে
অন্ত্রের সঙ্গে মস্তিষ্কের গভীর সম্পর্ক আছে। সে কারণে আমরা যে খাবার খাই, তা মস্তিষ্কের ওপরও প্রভাব ফেলে। আমাদের অন্ত্রে অনেক ছোট জীবাণু থাকে, যা ঘুম, ক্ষুধা, মেজাজ ও অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানোর মতো বিভিন্ন কাজ করে। এ কারণে অন্ত্রকে ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ বলা হয়। এটিকে গাট-ব্রেন অ্যাক্সিসও বলা হয়।
বিষণ্নতা
গবেষণায় দেখা গেছে, ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য ও ডাল বেশি খাওয়া এবং মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়ার মাধ্যমে বিষণ্নতার লক্ষণ ১০ শতাংশ কম হতে পারে। এ ছাড়া ফল, শাকসবজি, মাছ, বাদাম, ডাল, জলপাই তেল, দুধজাত খাবার বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ ও রাগ নিয়ন্ত্রণ
অ্যালকোহল, ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত চিনি মানসিক চাপ ও রাগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, রাগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ তেলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং ফলমূল কম খাওয়া। আপনার মানসিক চাপ কিংবা রাগের মাত্রা বেড়ে গেলে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত চিনি খাওয়া কমিয়ে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে আঁশসমৃদ্ধ ফলমূল ও সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দিতে পারেন।
মানসিক সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় হচ্ছে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ফলমূল, শাকসবজি বেশি খাওয়ার সঙ্গে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমানো
এবং জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ানোর সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় খুব বড় পরিবর্তন আনতে হবে না। কিছু নিয়ম মেনে চললেই হয়ে যায়। সেগুলো হলো—
নিয়মিত খাবার খান: খালি পেটে বেশি সময় না কাটালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি ক্লান্তি ও বদমেজাজের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পানি পান করুন: হালকা ডিহাইড্রেশনও আপনার মেজাজ, শক্তির স্তর এবং মনোযোগে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত পানি পান করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার চেষ্টা করুন: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর চর্বির প্রয়োজন হয়। এ জন্য অলিভ অয়েল, রেপসিড অয়েল, বাদাম, বীজ, তৈলাক্ত মাছ, অ্যাভোকাডো, দুধ ও ডিম খেতে পারেন।
খাবারের সঙ্গে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন: প্রোটিনে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই খাবারের সঙ্গে কিছু প্রোটিন যোগ করা ভালো।
ক্যাফেইন সম্পর্কে সচেতন থাকুন: ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এটি বেশি খেলে কারও কারও মেজাজ খিটখিটে হতে পারে এবং কেউ কেউ উদ্বিগ্ন অনুভব করতে পারেন।
সূত্র: হেলথ লাইন
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে খাবার গ্রহণের গুরুত্বের বিষয়টি সবার জানা। তবে এটা জানতে হবে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও খাবারের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন থেকে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় এমন কিছু খাবারের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে, যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। এর সঙ্গে কিছু পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
খাবার মানসিক স্বাস্থ্যকে যেভাবে প্রভাবিত করে
অন্ত্রের সঙ্গে মস্তিষ্কের গভীর সম্পর্ক আছে। সে কারণে আমরা যে খাবার খাই, তা মস্তিষ্কের ওপরও প্রভাব ফেলে। আমাদের অন্ত্রে অনেক ছোট জীবাণু থাকে, যা ঘুম, ক্ষুধা, মেজাজ ও অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানোর মতো বিভিন্ন কাজ করে। এ কারণে অন্ত্রকে ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ বলা হয়। এটিকে গাট-ব্রেন অ্যাক্সিসও বলা হয়।
বিষণ্নতা
গবেষণায় দেখা গেছে, ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য ও ডাল বেশি খাওয়া এবং মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়ার মাধ্যমে বিষণ্নতার লক্ষণ ১০ শতাংশ কম হতে পারে। এ ছাড়া ফল, শাকসবজি, মাছ, বাদাম, ডাল, জলপাই তেল, দুধজাত খাবার বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ ও রাগ নিয়ন্ত্রণ
অ্যালকোহল, ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত চিনি মানসিক চাপ ও রাগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, রাগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ তেলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং ফলমূল কম খাওয়া। আপনার মানসিক চাপ কিংবা রাগের মাত্রা বেড়ে গেলে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত চিনি খাওয়া কমিয়ে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে আঁশসমৃদ্ধ ফলমূল ও সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দিতে পারেন।
মানসিক সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় হচ্ছে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ফলমূল, শাকসবজি বেশি খাওয়ার সঙ্গে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমানো
এবং জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ানোর সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় খুব বড় পরিবর্তন আনতে হবে না। কিছু নিয়ম মেনে চললেই হয়ে যায়। সেগুলো হলো—
নিয়মিত খাবার খান: খালি পেটে বেশি সময় না কাটালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি ক্লান্তি ও বদমেজাজের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পানি পান করুন: হালকা ডিহাইড্রেশনও আপনার মেজাজ, শক্তির স্তর এবং মনোযোগে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত পানি পান করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার চেষ্টা করুন: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর চর্বির প্রয়োজন হয়। এ জন্য অলিভ অয়েল, রেপসিড অয়েল, বাদাম, বীজ, তৈলাক্ত মাছ, অ্যাভোকাডো, দুধ ও ডিম খেতে পারেন।
খাবারের সঙ্গে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন: প্রোটিনে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই খাবারের সঙ্গে কিছু প্রোটিন যোগ করা ভালো।
ক্যাফেইন সম্পর্কে সচেতন থাকুন: ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এটি বেশি খেলে কারও কারও মেজাজ খিটখিটে হতে পারে এবং কেউ কেউ উদ্বিগ্ন অনুভব করতে পারেন।
সূত্র: হেলথ লাইন
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৬ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৬ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৬ ঘণ্টা আগে