ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
ঈদের পরে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাটা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। রক্তে চিনির পরিমাণ খালি পেটে ৬ থেকে ৮ এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ৮ থেকে ১০ থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধারণা করা যায়।
ঈদে দাওয়াত এবং অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার জন্য ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ থেকে বিপদের আশঙ্কা আছে প্রবলভাবে। ডায়াবেটিস অনেক বেড়ে গেলে স্ট্রোকেরও আশঙ্কা থাকে।
ডায়াবেটিস যেন না বাড়ে, এ জন্য সরাসরি চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যদি খেতেই হয়, তাহলে ইনসুলিনের পরিমাণ ও ওষুধের ডোজ বাড়াতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
⊲ ডায়াবেটিস রোগীদের একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খাওয়া প্রয়োজন। খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেবিল থেকে উঠে যাওয়া। খাবার টেবিলে গল্প করতে থাকলে অন্যদের অনুরোধে কিংবা নিজের ইচ্ছায় বেশি খাওয়া হয়ে যাবে।
তাই খাওয়া শেষ হলেই টেবিল থেকে উঠে পড়ুন।
⊲ রাতের খাবার যথাসম্ভব আগে খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে খাবার খেয়ে ঘরের মধ্যে ১০ মিনিট পায়চারি করুন। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
⊲ ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবার কমবেশি সবাই খেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এখন কম মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে চাইলে প্রয়োজনে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দিয়ে সেমাই, পায়েস রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে মিষ্টির স্বাদ পাবেন কিন্তু ব্লাড সুগার বাড়বে না।
⊲ ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তিন দিন পর পর গ্লুকোমিটার মেশিন দিয়ে চার বেলা রক্তে চিনির পরিমাণ পরীক্ষা করে খাতায় লিখে রাখা। সকালে খালি পেটে, সকালের খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, দুপুরের খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, রাতে খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর রক্তে চিনির পরিমাণ মেপে নিতে পারেন।
⊲ যেহেতু রমজানে ও ঈদে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিনি দিয়ে শরবত, মিষ্টি ফল, যেমন খেজুর, মাল্টা, কলা খাওয়া হয়ে যায়, তাই রমজানের পর ডায়াবেটিস রোগীদের রুটিন পরীক্ষাগুলো করে ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শাকসবজি ও সবুজ ফল বেশি করে খাবেন। এ-জাতীয় খাবার ক্ষুধা কমাবে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়াবে না। শাক ও সবজিতে যেমন আঁশ বেশি থাকে, তেমনি ক্যালরি বা শর্করা কম থাকে। বিকেলের নাশতায় সবুজ ফল, যেমন সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।
⊲ যাঁদের কিডনির রোগ আছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রোটিনজাতীয় খাবার (যেমন মাছ, মাংস, ডাল) পরিমিত পরিমাণে খাবেন। এ ছাড়া পানি নির্ধারিত পরিমাণে খাবেন।
⊲ যাঁদের আলসারের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ভাজাপোড়া, তেল-চর্বি কম খাবেন।
⊲ যাঁদের পাইলস বা এনাল ফিসার আছে, তাঁদের শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। লাল মাংস কম খাবেন। পর্যাপ্ত পানি ও ইসবগুলের ভুসি খাবেন।
⊲ তিন মাস পর ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে রুটিন চেকআপ করাতে হবে।
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ঈদের পরে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাটা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। রক্তে চিনির পরিমাণ খালি পেটে ৬ থেকে ৮ এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ৮ থেকে ১০ থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধারণা করা যায়।
ঈদে দাওয়াত এবং অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার জন্য ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ থেকে বিপদের আশঙ্কা আছে প্রবলভাবে। ডায়াবেটিস অনেক বেড়ে গেলে স্ট্রোকেরও আশঙ্কা থাকে।
ডায়াবেটিস যেন না বাড়ে, এ জন্য সরাসরি চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যদি খেতেই হয়, তাহলে ইনসুলিনের পরিমাণ ও ওষুধের ডোজ বাড়াতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
⊲ ডায়াবেটিস রোগীদের একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খাওয়া প্রয়োজন। খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেবিল থেকে উঠে যাওয়া। খাবার টেবিলে গল্প করতে থাকলে অন্যদের অনুরোধে কিংবা নিজের ইচ্ছায় বেশি খাওয়া হয়ে যাবে।
তাই খাওয়া শেষ হলেই টেবিল থেকে উঠে পড়ুন।
⊲ রাতের খাবার যথাসম্ভব আগে খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে খাবার খেয়ে ঘরের মধ্যে ১০ মিনিট পায়চারি করুন। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
⊲ ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবার কমবেশি সবাই খেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এখন কম মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে চাইলে প্রয়োজনে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দিয়ে সেমাই, পায়েস রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে মিষ্টির স্বাদ পাবেন কিন্তু ব্লাড সুগার বাড়বে না।
⊲ ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তিন দিন পর পর গ্লুকোমিটার মেশিন দিয়ে চার বেলা রক্তে চিনির পরিমাণ পরীক্ষা করে খাতায় লিখে রাখা। সকালে খালি পেটে, সকালের খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, দুপুরের খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, রাতে খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর রক্তে চিনির পরিমাণ মেপে নিতে পারেন।
⊲ যেহেতু রমজানে ও ঈদে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিনি দিয়ে শরবত, মিষ্টি ফল, যেমন খেজুর, মাল্টা, কলা খাওয়া হয়ে যায়, তাই রমজানের পর ডায়াবেটিস রোগীদের রুটিন পরীক্ষাগুলো করে ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শাকসবজি ও সবুজ ফল বেশি করে খাবেন। এ-জাতীয় খাবার ক্ষুধা কমাবে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়াবে না। শাক ও সবজিতে যেমন আঁশ বেশি থাকে, তেমনি ক্যালরি বা শর্করা কম থাকে। বিকেলের নাশতায় সবুজ ফল, যেমন সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।
⊲ যাঁদের কিডনির রোগ আছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রোটিনজাতীয় খাবার (যেমন মাছ, মাংস, ডাল) পরিমিত পরিমাণে খাবেন। এ ছাড়া পানি নির্ধারিত পরিমাণে খাবেন।
⊲ যাঁদের আলসারের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ভাজাপোড়া, তেল-চর্বি কম খাবেন।
⊲ যাঁদের পাইলস বা এনাল ফিসার আছে, তাঁদের শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। লাল মাংস কম খাবেন। পর্যাপ্ত পানি ও ইসবগুলের ভুসি খাবেন।
⊲ তিন মাস পর ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে রুটিন চেকআপ করাতে হবে।
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে