Ajker Patrika

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল মিয়ানমারের জান্তা সরকার

অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মারা গেছে। ছবি: এএফপি
মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মারা গেছে। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এমআরটিভির তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতি ২ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মারা গেছে এবং শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয়। এর পর থেকে যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটিকে বিপর্যস্ত করে রেখেছে। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর এই সংঘাত শুরু হয়।

অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সংঘাত দেশটির স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে দুর্বল করে দিয়েছে, যা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অপ্রতুল। এ ছাড়া দেশটির বিশাল অংশ সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ অঞ্চলগুলো এখন বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী ও মিলিশিয়া গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমআরটিভি আরও জানিয়েছে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) চেয়ারম্যান মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ৩ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সাধারণত টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার ফলে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর নড়াচড়ার ফলে এর সীমানা বরাবর বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে চাপ সৃষ্টি হয় এবং এর থেকে ভূমিকম্প হয়। মিয়ানমার দুটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি করে তুলেছে।

গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয় শহরের কাছে। যেকোনো অঞ্চলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অত্যন্ত শক্তিশালী বিবেচিত হয়। মিয়ানমারের এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার বা ৬ মাইল। তুলনামূলক অগভীর হওয়ায় এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। ভূমিকম্পের ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটার শক রেকর্ড করা হয়। এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত