ইসরায়েলে কিছু অস্ত্রের রপ্তানি স্থগিত করল যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জামের জন্য অন্তত ৩০টি রপ্তানি লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। গাজায় সামরিক অভিযানের সময় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলেছে কি-না তা পর্যালোচনার পর এমন ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি। 

সোমবার একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৩৫০টি রপ্তানি লাইসেন্সের মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থগিত করা ৩০টি লাইসেন্সের মধ্যে সামরিক বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য উপাদান রয়েছে, যেগুলো স্থল লক্ষ্যবস্তুকে সহজ করে তুলে। 

ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন—সরকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, ইসরায়েলে রপ্তানি করা আইটেমগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহার করা হতে পারে, এমন একটি স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের এই মূল্যায়ন কৌশলগত রপ্তানি লাইসেন্সিং মানদণ্ডের মধ্যে তিনটি পৃথক বিভাগের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো হলো—মানবিক ব্যবস্থা ও অ্যাকসেস, বন্দীদের চিকিৎসা এবং সামরিক অভিযান পরিচালনা। 

গাজায় মৃতের সংখ্যা এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চাপের মধ্যে ছিল যুক্তরাজ্য। সমালোচকেরা বলে আসছিলেন, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি ব্রিটেনকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে জড়িত করতে পারে। এ অবস্থায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলছে কি-না তা জানার জন্য একটি পর্যালোচনা শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি। 

জানা গেছে, যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ নয়। ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬৫.৬ শতাংশ অস্ত্র রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে জার্মানির অবস্থায়। ইসরায়েলে তৃতীয় সর্বোচ্চ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হলো ইতালি। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনায় মূলত আমদানি করা বিমান, বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ওপরই নির্ভর করে ইসরায়েল। 

গাজায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ উঠলেও ইসরায়েল তা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের বাহিনী বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে কাজ করে। হামাসই বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত