অবরুদ্ধ দেশের সাংবাদিকতা
জাহীদ রেজা নূর
যুদ্ধের সময় অবরুদ্ধ নগরীতে সাংবাদিকতা করা ছিল কঠিন। তবে যারা পাকিস্তানি বাহিনীর তাঁবেদারি করেছে, তারা তখন কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েনি বরং পাকিস্তানি সরকারের সুনজরে ছিল।
পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভৌগোলিকভাবে ছিল আজব এক রাষ্ট্র। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর-পশ্চিম অংশে ও পূর্ব অংশে দুটি পৃথক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল। সেটা তো হয়ইনি, বরং হাজার মাইলের ব্যবধানে ভাষা, সংস্কৃতিতে হাজারো অমিল থাকা সত্ত্বেও একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠল পাকিস্তান। পাকিস্তান হওয়ার পর কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠিত হয়নি। ভারত ভাগের আগেই পাকিস্তানের যেসব অঞ্চলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরাই এলাকাভিত্তিক গণপরিষদের সদস্য হয়ে গেলেন। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি এরপর আমলাতন্ত্র ও সেনা আমলাতন্ত্রের সহায়তায় গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাল। এবং সবচেয়ে বড় যে অন্যায়টি করল, তা হলো বাংলাকে তারা শোষণ করতে লাগল। সেই শোষণের অবসানের জন্যই শুরু হয়েছিল স্বাধিকার আন্দোলন। সেই আন্দোলন একসময় স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হলো। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও জনগণের প্রত্যাশিত মুক্তি মেলেনি।
সেই যুগের সাংবাদিকেরা এই বাস্তবতা জানতেন। ফলে তাঁদের লেখায়, কার্যকলাপে শোষণ ও বঞ্চনার অবসানের কথা থাকত। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শুরু হলে কড়া সামরিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সব কথা লেখা যেত না। যাঁদের হাতে পৌঁছাত সকালের পত্রিকা, তাঁরা বোঝার চেষ্টা করতেন, কোনো ধরনের সাংকেতিক ভাষায় কোনো সংবাদ দেওয়া হচ্ছে কি না। ছিল সে রকম সংবাদ। সে কথাও আমরা আলোচনা করব।
একাত্তরের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্যাটার্নটি ছিল বিস্ময়কর। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ঢাকা থেকে অপহরণ করা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রথম টার্গেট ছিল সাংবাদিক। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে শুরু হয়েছিল অপহরণের পর্ব। আমরা রাও ফরমান আলীর বয়ান থেকে জেনেছি, সেদিন সকালে পিলখানায় সারি বাঁধা কাদা লেপা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। বুদ্ধিজীবীদের নিধন করার জন্যই এগুলো সেখানে অবস্থান করছিল। পাকিস্তানি সেনারা এই বুদ্ধিজীবীদের সবার চেহারা চিনত না। আলবদর বাহিনীর লোকেরা এই পাকিস্তানিদের সঙ্গে ছিল বুদ্ধিজীবীদের চিনিয়ে দেওয়ার জন্য। এদের প্রথম মাইক্রোবাসটি রাতের অন্ধকারে প্রথম এসে হাজির হয় সিরাজুদ্দীন হোসেনের চামেলীবাগের বাড়িতে। আজ শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৫৪তম অন্তর্ধান দিবস। ১১ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয় সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক এবং আ ন ম গোলাম মোস্তফাকে। ১২ ডিসেম্বর নিজামুদ্দীন আহমদকে। ১৩ ডিসেম্বর সেলিনা পারভীনকে। ১৪ ডিসেম্বর আবদুল মান্নান (লাড়ু ভাই) ও শহীদুল্লা কায়সারকে। ১৪ ডিসেম্বরে শহীদের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যুক্ত হন। ১৫ ডিসেম্বর প্রথিতযশা চিকিৎসকেরা।
যে শহীদ সাংবাদিকদের কথা বলা হলো, তাঁদের সবার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। অবরুদ্ধ নগরীতে কীভাবে তাঁদের কর্মতৎপরতা চালাতেন, তার কিছু কথা এখানে বলতে হবে।
নিজামুদ্দীন আহমদ ছিলেন পিপিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার। এ ছাড়া তিনি তখন বিবিসিতে নিয়মিত সংবাদ সরবরাহ করেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, দেশের সংবাদমাধ্যমে এখানে ঘটা নারকীয় ঘটনাগুলো প্রকাশ করা কঠিন। তাই আন্তর্জাতিক মাধ্যমে তিনি খবরগুলো পাঠাতেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার সংবাদগুলো যখন পাঠাতেন, তখন বোঝা যেত কতটা সাহসী ছিলেন তিনি।
ঢাকায় যখন কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এলেন, তখন নিজামুদ্দীন আহমদ এখানে সংঘটিত গণহত্যার সর্বশেষ খবর জানাতেন। মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পেও নিয়ে যেতেন তাঁদের।
তাঁকে কিন্তু পাকিস্তানিরা ঠিকই চিনেছিল। রাও ফরমান আলীর দপ্তরে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গণহত্যার খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমে না পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি তাঁর কাজ অবিচলিতভাবে করে গেছেন। নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে না থেকে তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে থাকতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তাঁকে একবার পশ্চিম পাকিস্তানে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে যান। এ কারণে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে।
আ ন ম গোলাম মোস্তফা কোন অপরাধ করেছিলেন? অবরুদ্ধ নগরীতে যখন সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত, কথা বলছেন নিচু স্বরে, তখনো তিনি উচ্চ স্বরে কথা বলতেন। স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশ করতেন। ঢাকায় থাকা নিরাপদ কি না, সেই ভাবনাও তাঁর মনে আসেনি একবারের জন্যও। তিনি ভেবেছেন, সাংবাদিকদের কোনো ক্ষতি করবে না সামরিক সরকার। নির্দ্বিধায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। দৈনিক পূর্বদেশে তাঁর যে লেখাগুলো ছাপা হতো, সেগুলো ছিল অগ্নিঝরা রচনা। বিশেষত তাঁর স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণেই সহজে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হন।
শহীদ হয়েছেন যে সাংবাদিকেরা, তাঁদের প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন তথ্য গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অথবা প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠাতেন। সিরাজুদ্দীন হোসেন ও শহীদুল্লা কায়সার সব সময়ই সবচেয়ে জরুরি সংবাদটি পাঠিয়ে দিয়েছেন নানাজনের হাতে।
পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত কিছু অসাধারণ শিরোনাম ও রিপোর্টের কথাও এই পর্যায়ে বলতে হবে।
জাহীদ রেজা নূর, উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
যুদ্ধের সময় অবরুদ্ধ নগরীতে সাংবাদিকতা করা ছিল কঠিন। তবে যারা পাকিস্তানি বাহিনীর তাঁবেদারি করেছে, তারা তখন কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েনি বরং পাকিস্তানি সরকারের সুনজরে ছিল।
পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভৌগোলিকভাবে ছিল আজব এক রাষ্ট্র। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর-পশ্চিম অংশে ও পূর্ব অংশে দুটি পৃথক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল। সেটা তো হয়ইনি, বরং হাজার মাইলের ব্যবধানে ভাষা, সংস্কৃতিতে হাজারো অমিল থাকা সত্ত্বেও একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠল পাকিস্তান। পাকিস্তান হওয়ার পর কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠিত হয়নি। ভারত ভাগের আগেই পাকিস্তানের যেসব অঞ্চলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরাই এলাকাভিত্তিক গণপরিষদের সদস্য হয়ে গেলেন। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি এরপর আমলাতন্ত্র ও সেনা আমলাতন্ত্রের সহায়তায় গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাল। এবং সবচেয়ে বড় যে অন্যায়টি করল, তা হলো বাংলাকে তারা শোষণ করতে লাগল। সেই শোষণের অবসানের জন্যই শুরু হয়েছিল স্বাধিকার আন্দোলন। সেই আন্দোলন একসময় স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হলো। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও জনগণের প্রত্যাশিত মুক্তি মেলেনি।
সেই যুগের সাংবাদিকেরা এই বাস্তবতা জানতেন। ফলে তাঁদের লেখায়, কার্যকলাপে শোষণ ও বঞ্চনার অবসানের কথা থাকত। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শুরু হলে কড়া সামরিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সব কথা লেখা যেত না। যাঁদের হাতে পৌঁছাত সকালের পত্রিকা, তাঁরা বোঝার চেষ্টা করতেন, কোনো ধরনের সাংকেতিক ভাষায় কোনো সংবাদ দেওয়া হচ্ছে কি না। ছিল সে রকম সংবাদ। সে কথাও আমরা আলোচনা করব।
একাত্তরের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্যাটার্নটি ছিল বিস্ময়কর। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ঢাকা থেকে অপহরণ করা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রথম টার্গেট ছিল সাংবাদিক। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে শুরু হয়েছিল অপহরণের পর্ব। আমরা রাও ফরমান আলীর বয়ান থেকে জেনেছি, সেদিন সকালে পিলখানায় সারি বাঁধা কাদা লেপা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। বুদ্ধিজীবীদের নিধন করার জন্যই এগুলো সেখানে অবস্থান করছিল। পাকিস্তানি সেনারা এই বুদ্ধিজীবীদের সবার চেহারা চিনত না। আলবদর বাহিনীর লোকেরা এই পাকিস্তানিদের সঙ্গে ছিল বুদ্ধিজীবীদের চিনিয়ে দেওয়ার জন্য। এদের প্রথম মাইক্রোবাসটি রাতের অন্ধকারে প্রথম এসে হাজির হয় সিরাজুদ্দীন হোসেনের চামেলীবাগের বাড়িতে। আজ শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৫৪তম অন্তর্ধান দিবস। ১১ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয় সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক এবং আ ন ম গোলাম মোস্তফাকে। ১২ ডিসেম্বর নিজামুদ্দীন আহমদকে। ১৩ ডিসেম্বর সেলিনা পারভীনকে। ১৪ ডিসেম্বর আবদুল মান্নান (লাড়ু ভাই) ও শহীদুল্লা কায়সারকে। ১৪ ডিসেম্বরে শহীদের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যুক্ত হন। ১৫ ডিসেম্বর প্রথিতযশা চিকিৎসকেরা।
যে শহীদ সাংবাদিকদের কথা বলা হলো, তাঁদের সবার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। অবরুদ্ধ নগরীতে কীভাবে তাঁদের কর্মতৎপরতা চালাতেন, তার কিছু কথা এখানে বলতে হবে।
নিজামুদ্দীন আহমদ ছিলেন পিপিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার। এ ছাড়া তিনি তখন বিবিসিতে নিয়মিত সংবাদ সরবরাহ করেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, দেশের সংবাদমাধ্যমে এখানে ঘটা নারকীয় ঘটনাগুলো প্রকাশ করা কঠিন। তাই আন্তর্জাতিক মাধ্যমে তিনি খবরগুলো পাঠাতেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার সংবাদগুলো যখন পাঠাতেন, তখন বোঝা যেত কতটা সাহসী ছিলেন তিনি।
ঢাকায় যখন কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এলেন, তখন নিজামুদ্দীন আহমদ এখানে সংঘটিত গণহত্যার সর্বশেষ খবর জানাতেন। মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পেও নিয়ে যেতেন তাঁদের।
তাঁকে কিন্তু পাকিস্তানিরা ঠিকই চিনেছিল। রাও ফরমান আলীর দপ্তরে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গণহত্যার খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমে না পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি তাঁর কাজ অবিচলিতভাবে করে গেছেন। নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে না থেকে তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে থাকতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তাঁকে একবার পশ্চিম পাকিস্তানে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে যান। এ কারণে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে।
আ ন ম গোলাম মোস্তফা কোন অপরাধ করেছিলেন? অবরুদ্ধ নগরীতে যখন সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত, কথা বলছেন নিচু স্বরে, তখনো তিনি উচ্চ স্বরে কথা বলতেন। স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশ করতেন। ঢাকায় থাকা নিরাপদ কি না, সেই ভাবনাও তাঁর মনে আসেনি একবারের জন্যও। তিনি ভেবেছেন, সাংবাদিকদের কোনো ক্ষতি করবে না সামরিক সরকার। নির্দ্বিধায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। দৈনিক পূর্বদেশে তাঁর যে লেখাগুলো ছাপা হতো, সেগুলো ছিল অগ্নিঝরা রচনা। বিশেষত তাঁর স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণেই সহজে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হন।
শহীদ হয়েছেন যে সাংবাদিকেরা, তাঁদের প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন তথ্য গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অথবা প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠাতেন। সিরাজুদ্দীন হোসেন ও শহীদুল্লা কায়সার সব সময়ই সবচেয়ে জরুরি সংবাদটি পাঠিয়ে দিয়েছেন নানাজনের হাতে।
পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত কিছু অসাধারণ শিরোনাম ও রিপোর্টের কথাও এই পর্যায়ে বলতে হবে।
জাহীদ রেজা নূর, উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আলতাফ পারভেজ লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনঃপাঠ, বার্মা: জাতিগত সংঘাতের সাত দশক, শ্রীলঙ্কার তামিল ইলম, গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা প্রভৃতি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই।
৮ ঘণ্টা আগেচন্দ্রালোকবিজয়ী লে. কর্নেল নিল আর্মস্টং, মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন ই অলড্রিন ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৬৯ সালের ২৭ অক্টোবর। ঢাকায় তাঁরা ছিলেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁরা এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেকোথায় যে কখন কী ঘটছে, তার সব খবর কি আর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়? গুরুত্ব আছে, এমন অনেক সংবাদ যেমন পত্রিকায় আসে, তেমনি অনেক সংবাদ বাদও পড়ে যায়। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর একটি বিয়োগান্ত ঘটনার খবর কিন্তু পত্রিকায় এসেছে এবং তা পড়ে সব পাঠকই শোকাহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে২০২৪-এর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, হাসিনাকে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির নানা অপচেষ্টায় সহায়তা করার ব্যাপারে ভারতের সরকার ও মিডিয়ার সরাসরি সায় রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শেখ হাসিনা উৎখাত হয়ে প্রাণভয়ে
১ দিন আগে