ফ্রি হিট
সৌম্য সরকারের প্রতিভা ও সামর্থ্য নিয়ে কখনো সন্দেহ ছিল না কারও। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০ বছর কাটিয়ে দিলেও এখনো বাংলাদেশ দলে পাকাপোক্ত আসন নেই সৌম্যের। একটাই কারণ—তাঁর ধারাবাহিকতার অভাব।
০, ১, ২ ও ৩—এই ছিল আগের চার ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন ব্যর্থতায় উঠেছিল প্রশ্নও। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা উঠেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেন ‘ফিনিক্স পাখি’! ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দুঃসময় কাটিয়ে বারবার ফিরে এসে
৯, ১৫, ৫, ৬, ১, ২০, ৭ ও ২৩—ঘরের মাটিতে টেস্টে এ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর শেষ আট ইনিংস। তাঁর এমন ব্যাটিং দেখে শুধু একটি প্রশ্নই ঘুরছে মাথায়, ‘শান্ত ব্যাটিংয়ে অশান্ত হবেন কবে?’ বলছি না, বাংলাদেশ অধিনায়ককে লাল বলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে হবে। টেস্টের ধৈর্যশক্তিটা দেখাক তিনি, সেটিই চাওয়া।
বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল গতকাল পৌঁছে গেছে গুয়াহাটিতে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হলো, শক্তি দুর্বলতার জায়গা কোথায়—এসব বিশ্লেষণমূলক আলাপ-আলোচনা বেশি হওয়ার কথা। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের দ্বন্দ্ব নিয়ে এখন সংবাদ হচ্ছে নিয়মিত। এমন উত্তপ্ত পরিস্থি
১২.১২. ২০১২। ঐতিহাসিক এক দিনেই একলা থেকে দোকলা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অসংখ্য নারীর হৃদয় ভাঙা সেই বিয়েতে অন্য কেউ দাওয়াত না পেলেও ঠিকই দাওয়াত পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান। সাকিবের বিয়েতে সেদিন তামিমের হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় যেন জ্বলজ্বল করছিল ‘সত্যিকার বন্ধু’র প্রতিচ্ছবি।
২০০৯ সালের আগস্ট, জিম্বাবুয়ে সিরিজ। তামিমের ১৫৪ রানের সুবাদে আগের ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২১০ রান। কী বুঝে সেদিন হুট করে মুশফিক রহিমকে ওপেনিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল গতকাল সোমবার ভোরে পৌঁছেছে মাসকাটে। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ‘এ’ দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গতকালও ছিলেন চট্টগ্রামে। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আছেন নেপালে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
ন্যু ক্যাম্পের ঘাসও হয়তো জানে লিওনেল মেসির স্পর্শ কেমন! মেসি যখন তার বুকের ওপর দাঁড়িয়ে বিস্ময়কর সব রূপকথার জন্ম দিতেন, সেই ঘাসেরও কি গর্ব হতো না? এই কথাগুলো হয়তো আবেগ আর রূপকের। এর পেছনের যে বাস্তবতা, তা মোটেই রূপকথার চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।
বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
টাকা-পয়সাওয়ালা বেশির ভাগ ক্রিকেট ক্লাবের কর্মকর্তারা ফাস্ট বোলিংয়ের কথা বললেই প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চান। ক্রিকেটের অন্য বিষয়গুলোর মতো বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং ওই কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে, যাঁদের ওপর ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার নির্ভর করে। ফাস্ট বোলিং গত পাঁচ বছরে বড় আলোচনার বিষয় হলেও সম্প্রতি এটি নিয়ে এক
২৩ মার্চ ২০২১, নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বাংলাদেশ শেষ ৫৭ বলে ৯৩ রান তোলে, যেটির পেছনে বড় অবদান মোহাম্মদ মিঠুনের ১২৮ স্ট্রাইকরেটে ৫৭ বলে ৭৩ রানের। সেই ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন, সবাই একমত হবেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে দলীয় রান অন্তত ২৫-৩০ কম হয়েছে।
দেশের শহর, গ্রামগঞ্জ এখন ঘুমিয়ে পড়েছে কঠোর লকডাউনের মোড়কে। অদৃশ্য ভয়ংকর অণুজীবটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতিময় জীবনটা আবারও থমকে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাপিত জীবন আবারও আটকে গেছে চার দেয়ালের মাঝে। নিজেদের আটকে রাখলেও নানা মাধ্যম হয়ে ঠিকই ঘরে ঢুকে পড়ছে মন খারাপের সব খবর।
আজকের পত্রিকার জন্ম ২৭ জুন। সে সবারই জানা। না জানলেও জানিয়ে তো দিলামই। পত্রিকাটির পাঠক হিসেবে তাদের অনলাইন সংস্করণে ক্রীড়া বিভাগের পাঁচটি ভিন্ন সেকশনের মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে ‘ফ্রি হিট’।
মাঠে শুধু খেলোয়াড়েরাই খেলাটা জমিয়ে তোলেন না। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হুল্লোড় আর করতালি—সব মিলিয়েই হয় একটি জমজমাট খেলা। যেকোনো দল নিজেদের মাঠে খেললে নিঃস্বার্থ সমর্থন দিয়ে অনুপ্রাণিত করতে থাকে স্বাগতিক দর্শকেরা। এ কারণেই তো দর্শকদের বলা হয় ‘দ্বাদশ খেলোয়াড়’।