ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রোজা রেখে ট্রল, হাসিঠাট্টা ও গল্প-আড্ডাবাজিতে সময় কাটানো যাবে কি? এমনটি করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই। রমজান মাসের রোজা ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত। এটি ইসলামের মৌলিক পাঁচ খুঁটির একটি। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইসলামের ভিত্তি হলো পাঁচটি বস্তুর ওপর। এক. এ কথার সাক্ষ্য
ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা জরুরি নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু
কেউ রমজান মাস পেয়েও শরিয়তসম্মত কারণে রোজা রাখতে সক্ষম না হলে তাঁর জন্য রোজা না রাখার সুযোগ আছে। যেমন—অতিশয় বৃদ্ধ অথবা এমন অসুস্থ, যাঁর আরোগ্যলাভের আশা নেই, তাঁর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক নয়। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি প্রতিদিনের রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া প্রদান করবেন।
নবী (সা.) বলেছেন, ‘অনেক রোজাদার এমন আছে, যাদের রোজা থেকে উপোস থাকা ছাড়া কিছুই অর্জিত হয় না। আর অনেক রাত জেগে ইবাদতকারী এমন আছে, যাদের রাত জাগা ছাড়া কিছুই অর্জিত হয় না।’ (মিশকাত: ১১৭)
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস তথা রমজান মাস পাবে তারা যেন রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা: ৮৪) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, সব মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। তবে এ বিধানটি ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, বুদ্ধিমান হওয়া এবং বাড়িতে থ
রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গ
যুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা বিষয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধানও দিয়েছেন বিজ্ঞ আলিম ও ফকিহগণ। এখানে রোজাবিষয়ক কিছু আধুনিক মাসায়েল আলোচনা করা হলো:
প্রশ্ন: রোজার নিয়ত করা কি জরুরি? এর সঠিক পদ্ধতি কী? এটি কি মুখে উচ্চারণ করে আরবিতে করতে হয়? প্রতিটি রোজার জন্য কি আলাদা নিয়ত করতে হবে? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানতে চাই।
রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। আত্মশুদ্ধির জন্য রোজা হলো নিয়ামক। রোজার রয়েছে অকল্পনীয় ফজিলত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি ভালো কাজের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ বলেন, রোজা এর ব্যতিক্রম। কারণ রোজা আমার জন্য, আর আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ২৭৬৩)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
রমজান মাসে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। যাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ, তাদের জন্য উচিত, যথাযথ হক আদায় করে রোজা রাখার চেষ্টা করা। রোজা যেন কোনোভাবে মাকরুহ না হয়ে যায়—এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। রমজান মাসে অন্য সব ব্যস্ততা ও ঝামেলা এড়িয়ে যত বেশি সম্ভব, নিজেকে ইবাদতে জড়িয়ে রাখা কাম্য। তবে কখনো-কখনো কি
রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
পবিত্র আশুরার দিনে রোজা রাখা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) মদিনায় যাওয়ার পর দেখলেন, ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা রেখেছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এই দিন ফেরাউনের নির্যাতন থেকে আল্লাহ মুসা (আ.)-কে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে সদলবলে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। এই ঘটনার কৃতজ্ঞতা
অনেককে দেখা যায়, কেবল দুজন মানুষ সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে নেন। পরিবার, সমাজ কিংবা আশেপাশের কোনো মানুষকে বিয়ের কথা জানানো প্রয়োজন মনে করেন না। বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তান জন্ম নেওয়ার পর বিয়ের খবর জানাতেও দেখা যায় অনেককে। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা কী? বিয়ের কথা গোপন রাখা কি শরিয়তসম্মত?
ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
কোরবানিদাতা কোরবানির পশু থেকে যে মাংস পান, সাধারণত তা থেকে কিছু অংশ গরিব-মিসকিনদের দিয়ে দেন, কিছু অংশ নিজেরা খান আর কিছু অংশ সংরক্ষণ করে রাখেন।