
এখন আর তেমন মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না, যাঁদের কাছে গেলে মনে হয়, তাঁরা ছায়া দিচ্ছেন মাথার ওপরে; যাঁরা যেকোনো বিষয়েই কথা বলার মতো গভীরতা রাখেন। কামাল লোহানী ছিলেন তেমনই একজন মানুষ।

১৮ জুন বিকেলে ঢাকার বাইরে ছিলাম। ঠিক ৪টা ৪২ মিনিটে মোবাইলটা বেজে উঠল। তরুণ কবি কাজী শোয়েব শাবাব ওপাশ থেকে ভেজা গলায় বললেন, ‘অসীমদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’ ফোনটা কান থেকে নামিয়ে কেমন আনমনা হয়ে পড়লাম। অসীমদা, কবি অসীম সাহা অসুস্থ ছিলেন জানি, কিন্তু তাঁর এই বিদায়ের খবর

শৈশবে পুকুরে সাঁতার কাটতে ছিল যাঁর ভয়, চড়ুইছানার উড়তে গিয়ে পড়ে যাওয়া দেখে কৈশোরে যাঁর প্রাণ কেঁদে উঠত হু হু করে; দুখু মিয়া নামের সেই কোমলমতি ছেলেকে অল্পদিনের মধ্যেই কী করে বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের নেশায় পেয়েছিল, তার ব্যাখ্যা পাওয়া সত্যিই কঠিন।

আগামী সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ১১টা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ সিপিবি অফিসে রাখা হবে। এরপর শোভাযাত্রা করে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুর ১২টা থেকে ১টা দেশবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে