সিলেট প্রতিনিধি
‘ঘরে-দোয়ারে, উন্দালে পানি। রাইন্দা খাওন যায় না। আইজ সাত দিন ধরি এই অবস্থা। আমরা ওখন বড় সমস্যার মাঝে আছি।’ গতকাল শুক্রবার এভাবেই নিজেদের পরিস্থিতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দী সুলতানপুরের রাবিয়া বেগম। এ সময় পাশে থাকা শেফালি বেগমও বলে ওঠেন, ‘আমরার ইকানো আইজ ৮-১০ দিন ধরি পানি। আমার জামাই প্রতিবন্ধী। ছেলেসন্তানও নাই। কুব (খুব) অসহায়ের মাঝে আছি। রান্নাবান্নাও করতে পারি না। কেউ কোনো সাহায্য দেয় না।’
শুধু বালাগঞ্জের রাবিয়া আর শেফালি নয়, বন্যার কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার সিলেটের কুশিয়ারাতীরবর্তী ছয় উপজেলার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবই পানির নিচে। অনেকেই সড়কের শুকনা অংশে আশ্রয় নিয়েছে। সড়কের একদিকে মানুষ, অন্যদিকে গবাদিপশু থাকছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। ফলে এখনো দুই জেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত অবস্থায় আছে। প্রায় ৯ দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসিদের। অন্যদিকে কুশিয়ারা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। নদীটিতে পানি বাড়ায় জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আখলিছ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে তিন দিন আগেও পানি ছিল না, কিন্তু এখন পানি বাড়ছে। বাজারে পানি ঢুকে অনেক দোকান তলিয়ে গেছে।’
ওসমানীনগরের সাদিপুর গ্রামের রহমত আলী বলেন, ‘ছয় দিন ধরে পানি বাড়তেছে। সবকিছু এখন পানির নিচে। আমরা খুব সমস্যায় আছি। খাওয়াদাওয়া বন্ধ।’
গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ এলাকার হারিছ আলী বলেন, ‘উপজেলার সর্বত্রই এখন পানির নিচে। নেই ত্রাণসহায়তা। আমরা খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে এবং কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শাহিদুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আশা করি পানি আর বাড়বে না।’
১৫ জুন থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। দুদিন পর থেকে তা ভয়ংকর রূপ নেয়। প্লাবিত হয় সিলেটের ৮০ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা। বন্যার কারণে ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির পর পাঁচ দিন ধরে ধীরে ধীরে পানি কমছে। তবে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কিছু এলাকা এখনো পানিবন্দী।
সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের রাজারগাঁওয়ের বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, পানি এক জায়গায় আটকে আছে। বাড়ছেও না, কমছেও না। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরের ভেতর পানি। উদ্বাস্তু হয়ে আর কত দিন থাকা যায়।
একই এলাকার রশীদ আলম বলেন, ‘পানি সহজে কমছে না, খাবার মিলছে না। জীবন অসহায় হয়ে পড়েছে।’
এদিকে সিটি এলাকায় পানি প্রায় কমে গেলেও এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিদের বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
‘ঘরে-দোয়ারে, উন্দালে পানি। রাইন্দা খাওন যায় না। আইজ সাত দিন ধরি এই অবস্থা। আমরা ওখন বড় সমস্যার মাঝে আছি।’ গতকাল শুক্রবার এভাবেই নিজেদের পরিস্থিতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দী সুলতানপুরের রাবিয়া বেগম। এ সময় পাশে থাকা শেফালি বেগমও বলে ওঠেন, ‘আমরার ইকানো আইজ ৮-১০ দিন ধরি পানি। আমার জামাই প্রতিবন্ধী। ছেলেসন্তানও নাই। কুব (খুব) অসহায়ের মাঝে আছি। রান্নাবান্নাও করতে পারি না। কেউ কোনো সাহায্য দেয় না।’
শুধু বালাগঞ্জের রাবিয়া আর শেফালি নয়, বন্যার কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার সিলেটের কুশিয়ারাতীরবর্তী ছয় উপজেলার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবই পানির নিচে। অনেকেই সড়কের শুকনা অংশে আশ্রয় নিয়েছে। সড়কের একদিকে মানুষ, অন্যদিকে গবাদিপশু থাকছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। ফলে এখনো দুই জেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত অবস্থায় আছে। প্রায় ৯ দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসিদের। অন্যদিকে কুশিয়ারা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। নদীটিতে পানি বাড়ায় জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আখলিছ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে তিন দিন আগেও পানি ছিল না, কিন্তু এখন পানি বাড়ছে। বাজারে পানি ঢুকে অনেক দোকান তলিয়ে গেছে।’
ওসমানীনগরের সাদিপুর গ্রামের রহমত আলী বলেন, ‘ছয় দিন ধরে পানি বাড়তেছে। সবকিছু এখন পানির নিচে। আমরা খুব সমস্যায় আছি। খাওয়াদাওয়া বন্ধ।’
গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ এলাকার হারিছ আলী বলেন, ‘উপজেলার সর্বত্রই এখন পানির নিচে। নেই ত্রাণসহায়তা। আমরা খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে এবং কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শাহিদুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আশা করি পানি আর বাড়বে না।’
১৫ জুন থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। দুদিন পর থেকে তা ভয়ংকর রূপ নেয়। প্লাবিত হয় সিলেটের ৮০ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা। বন্যার কারণে ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির পর পাঁচ দিন ধরে ধীরে ধীরে পানি কমছে। তবে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কিছু এলাকা এখনো পানিবন্দী।
সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের রাজারগাঁওয়ের বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, পানি এক জায়গায় আটকে আছে। বাড়ছেও না, কমছেও না। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরের ভেতর পানি। উদ্বাস্তু হয়ে আর কত দিন থাকা যায়।
একই এলাকার রশীদ আলম বলেন, ‘পানি সহজে কমছে না, খাবার মিলছে না। জীবন অসহায় হয়ে পড়েছে।’
এদিকে সিটি এলাকায় পানি প্রায় কমে গেলেও এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিদের বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪