আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চাম্পাতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৪টি ঘর এখন পানির নিচে। গত শনি ও রোববারের টানা দুদিনের ভারী বর্ষণে চিকলী নদীর পানি ওই ঘরগুলোর জানালা পর্যন্ত উঠেছে। সেখানকার দেড় শতাধিক মানুষ পাশের দুটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এলাকারবাসীরা জানান, তৎকালীন ইউএনও মেহেদী হাসান তিন বছর আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে চিকলী নদীর নিম্নাঞ্চলে সরকারি জায়গায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঘরগুলো নির্মাণ করে দেন। যে জায়গায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, দশ বছর আগে সেটি নদী ছিল। প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করতেই সেখানে মূলত ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিন দেখা গেছে, টানা দুদিনের বৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৪টি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা ঘরে থাকা কোনো জিনিসপত্র ছাড়াই পাশের দুটি বিদ্যালয় চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল হাকিম মিয়া (৭০)। তিনি স্ত্রীসহ তিন সন্তান নিয়ে ওই আশ্রয় প্রকল্পের ঘরে বাস করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘বাবা, চাউল ডাল যাবতীয় জিনিস ঘরে রেখে শুধু জীবন নিয়ে স্কুলোত এসেছি।’
আব্দুল হাকিম মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার ঘর করি দিল কিন্তু নদীর জায়গাত কেন? আর কি জায়গা ছিল না?’
ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করে আরেকজন শান্তি বালা (৪০)। তিনি স্বামীসহ তিন সন্তান নিয়ে সেখানে থাকেন।
শান্তি বালা বলেন, ‘নদীর পানি হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়েছে। আমি বাড়ির কোনো জিনিসপত্র ঘর থেকে বের করতে পারিনি। ঘরে সব রেখে জীবন নিয়ে বেঁচে এসেছি। এখন সেগুলো কি অবস্থা জানি না। মনে হচ্ছে নদীতে ভেসে গেছে।’
শান্তি বালা আরও বলেন, ‘সরকার থাকি প্রথম দিন সন্ধ্যায় মুড়ি পাইছি। এখন এক বেলা ভাত, আরেক বেলা খিচুড়ি পাচ্ছি। এসব খেয়ে সন্তান নিয়ে স্কুলে বেঁচে আছি।
ওই এলাকার হবিবুর রহমান বলেন, ‘নদীরপাশে প্রকল্প নেওয়ার উদ্দেশ্যই হলো প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করা। তাহলে কেন সেখানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলো?’
দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার আগেই সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নদীর মধ্যে ওই ঘরগুলো নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। সেখানকার মানুষকে স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা কষ্টে আছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
ওই ঘর নির্মাণের সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায়। নদীর ওপরে নিচু জায়গায় ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ওই জায়গায় ঘর নির্মাণের পক্ষে ছিলাম না। কিন্তু তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে ঘর নির্মাণ করেছেন।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তিন দিন পাঠদান বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন যত দিন পর্যন্ত প্রকল্পের বাসিন্দাদের এখানে আশ্রয়ের জন্য রাখবেন, তত দিন বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের আগে ওই স্থানে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। বর্তমান বন্যায় ঘরগুলোর অর্ধেক পানি উঠেছে। আমরা সেখানকার মানুষকে সরিয়ে পাশের চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয় ও চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল ডাল দিয়েছি। দুবেলা খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি, সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চাম্পাতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৪টি ঘর এখন পানির নিচে। গত শনি ও রোববারের টানা দুদিনের ভারী বর্ষণে চিকলী নদীর পানি ওই ঘরগুলোর জানালা পর্যন্ত উঠেছে। সেখানকার দেড় শতাধিক মানুষ পাশের দুটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এলাকারবাসীরা জানান, তৎকালীন ইউএনও মেহেদী হাসান তিন বছর আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে চিকলী নদীর নিম্নাঞ্চলে সরকারি জায়গায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঘরগুলো নির্মাণ করে দেন। যে জায়গায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, দশ বছর আগে সেটি নদী ছিল। প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করতেই সেখানে মূলত ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিন দেখা গেছে, টানা দুদিনের বৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৪টি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা ঘরে থাকা কোনো জিনিসপত্র ছাড়াই পাশের দুটি বিদ্যালয় চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল হাকিম মিয়া (৭০)। তিনি স্ত্রীসহ তিন সন্তান নিয়ে ওই আশ্রয় প্রকল্পের ঘরে বাস করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘বাবা, চাউল ডাল যাবতীয় জিনিস ঘরে রেখে শুধু জীবন নিয়ে স্কুলোত এসেছি।’
আব্দুল হাকিম মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার ঘর করি দিল কিন্তু নদীর জায়গাত কেন? আর কি জায়গা ছিল না?’
ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করে আরেকজন শান্তি বালা (৪০)। তিনি স্বামীসহ তিন সন্তান নিয়ে সেখানে থাকেন।
শান্তি বালা বলেন, ‘নদীর পানি হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়েছে। আমি বাড়ির কোনো জিনিসপত্র ঘর থেকে বের করতে পারিনি। ঘরে সব রেখে জীবন নিয়ে বেঁচে এসেছি। এখন সেগুলো কি অবস্থা জানি না। মনে হচ্ছে নদীতে ভেসে গেছে।’
শান্তি বালা আরও বলেন, ‘সরকার থাকি প্রথম দিন সন্ধ্যায় মুড়ি পাইছি। এখন এক বেলা ভাত, আরেক বেলা খিচুড়ি পাচ্ছি। এসব খেয়ে সন্তান নিয়ে স্কুলে বেঁচে আছি।
ওই এলাকার হবিবুর রহমান বলেন, ‘নদীরপাশে প্রকল্প নেওয়ার উদ্দেশ্যই হলো প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করা। তাহলে কেন সেখানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলো?’
দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার আগেই সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নদীর মধ্যে ওই ঘরগুলো নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। সেখানকার মানুষকে স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা কষ্টে আছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
ওই ঘর নির্মাণের সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায়। নদীর ওপরে নিচু জায়গায় ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ওই জায়গায় ঘর নির্মাণের পক্ষে ছিলাম না। কিন্তু তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে ঘর নির্মাণ করেছেন।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তিন দিন পাঠদান বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন যত দিন পর্যন্ত প্রকল্পের বাসিন্দাদের এখানে আশ্রয়ের জন্য রাখবেন, তত দিন বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের আগে ওই স্থানে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। বর্তমান বন্যায় ঘরগুলোর অর্ধেক পানি উঠেছে। আমরা সেখানকার মানুষকে সরিয়ে পাশের চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয় ও চম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল ডাল দিয়েছি। দুবেলা খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি, সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে