নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে সকাল নয়টা থেকে রাজধানীর মালিবাগে ওএমএসের দোকানে লাইনে দাঁড়ান মমতাজ আক্তার খানম। পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর পাঁচ কেজি চাল নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। চাল নিলেন, আটা পেলেন না? হঠাৎ এমন প্রশ্নে থমকে দাঁড়ান লাঠিতে ভর দিয়ে চলা এই নারী। বললেন, ‘আটা নাকি নাই।’
আটা কি আসলেই নেই? এবারের প্রশ্নটি ছিল ওই দোকানে ওএমএসের পণ্য বিতরণকারী মো. সুজনের কাছে। তিনি জানালেন, বস্তায় অল্প কিছু আটা আছে।
এরপর মমতাজকে ডেকে সেখান থেকে পাঁচ কেজি আটা দিলেন সুজন।
মমতাজ আক্তার গত বৃহস্পতিবার একবার লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা পেলেও সে সুযোগ হয়নি বৃদ্ধ জাহেদা খাতুনের। সেদিন সকাল ছয়টায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পণ্য পেতে দেরি হওয়ায় বেলা ১১টার দিকে লাইন ছেড়ে বাসায় চলে যান তরকারি গরম করতে। দুপুর ১২টায় ফিরে এসে আগের লাইনে ঢুকতে পারেননি। পরে অবশ্য বেলা দুইটার দিকে পণ্য নিয়েছেন তিনি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএসের পণ্য কেনা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে শহরাঞ্চলে। যেসব এলাকায় নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস বেশি, সেখানে বড় হচ্ছে ক্রেতার লাইন। সস্তায় চাল-আটা নিতে শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও লাইনে দাঁড়ান অনেকে।
রাজধানীর হাতিরঝিলের মীরবাগে ওএমএসের দোকানের বিক্রেতা কাজী জুলহাস বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। দুপুর ১২টার পর ভিড় কমেছে। এখন সপ্তাহে দুদিন দেড় হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা দেওয়া হচ্ছে। চাল ও আটার পরিমাণ দৈনিক ৫০০ কেজি করে বাড়ানোর পর থেকে এ এলাকায় সবাই পণ্য পাচ্ছেন। আগে পণ্য না পেয়ে অনেককে ফিরে যেতে হতো।
এলাকাভেদে ওএমএসের দোকানে চাপ কিছুটা কম থাকলেও ট্রাকে ভিড় সবচেয়ে বেশি। রামপুরা বাজারের কাছে মূল সড়কে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। ট্রাকের বিক্রেতা মো. দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, সপ্তাহে দুদিন দৈনিক ২ হাজার কেজি চাল ও ১৫ শ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানের চেয়ে ট্রাকের বরাদ্দ বেশি হওয়ার পরও পণ্য সরবরাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। মূল সড়কে যেখানে নিম্নবিত্ত মানুষের আনাগোনা বেশি, সেখানে ওএমএসের ট্রাকগুলোতে পণ্য সরবরাহ রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতা মো. দেলোয়ার বলেন, এই লাইন ঠিক রাখতে একজনকে সব সময় থাকতে হয়। তারপরও সমস্যা হয়। পুরুষের চেয়ে নারীর লাইন দীর্ঘ হওয়ায় তাঁদের ভোগান্তি আরও বেশি।
খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ,বণ্টন ও বিপণন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে ১ মার্চ থেকে মহানগর ও জেলাগুলোতে আটার পরিমাণ ডিলারপ্রতি ৫০০ কেজি করে বাড়ানো হয়েছে। আর এ বছর ওএমএসের মোট সরবরাহ আড়াই লাখ টন থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে সরকার ওএমএসের আওতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ওএমএসের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ সরবরাহ করে যাচ্ছে ট্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গতকাল মালিবাগের শান্তিনগর ও পশ্চিম রামপুরায় টিসিবির পণ্য বিক্রির দোকানে গিয়ে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য পাননি ক্রেতারা।
সিবির মিডিয়া মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চিনি সমস্যার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য এখনো সরবরাহ করা যায়নি। তবে ৯ মার্চ থেকে ফেব্রুয়ারির পণ্য সরবরাহ শুরু হবে। তখন ছোলা, বুট এবং খেজুরও সরবরাহ করা হতে পারে।
নিম্নবিত্ত মানুষের সুবিধার্থে টিসিবির কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন এক কোটি কার্ডের পণ্য সরবরাহ করাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটি ঠিকমতো সরবরাহের চেষ্টা চলছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চাইলে কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।’
স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে সকাল নয়টা থেকে রাজধানীর মালিবাগে ওএমএসের দোকানে লাইনে দাঁড়ান মমতাজ আক্তার খানম। পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর পাঁচ কেজি চাল নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। চাল নিলেন, আটা পেলেন না? হঠাৎ এমন প্রশ্নে থমকে দাঁড়ান লাঠিতে ভর দিয়ে চলা এই নারী। বললেন, ‘আটা নাকি নাই।’
আটা কি আসলেই নেই? এবারের প্রশ্নটি ছিল ওই দোকানে ওএমএসের পণ্য বিতরণকারী মো. সুজনের কাছে। তিনি জানালেন, বস্তায় অল্প কিছু আটা আছে।
এরপর মমতাজকে ডেকে সেখান থেকে পাঁচ কেজি আটা দিলেন সুজন।
মমতাজ আক্তার গত বৃহস্পতিবার একবার লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা পেলেও সে সুযোগ হয়নি বৃদ্ধ জাহেদা খাতুনের। সেদিন সকাল ছয়টায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পণ্য পেতে দেরি হওয়ায় বেলা ১১টার দিকে লাইন ছেড়ে বাসায় চলে যান তরকারি গরম করতে। দুপুর ১২টায় ফিরে এসে আগের লাইনে ঢুকতে পারেননি। পরে অবশ্য বেলা দুইটার দিকে পণ্য নিয়েছেন তিনি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএসের পণ্য কেনা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে শহরাঞ্চলে। যেসব এলাকায় নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস বেশি, সেখানে বড় হচ্ছে ক্রেতার লাইন। সস্তায় চাল-আটা নিতে শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও লাইনে দাঁড়ান অনেকে।
রাজধানীর হাতিরঝিলের মীরবাগে ওএমএসের দোকানের বিক্রেতা কাজী জুলহাস বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। দুপুর ১২টার পর ভিড় কমেছে। এখন সপ্তাহে দুদিন দেড় হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা দেওয়া হচ্ছে। চাল ও আটার পরিমাণ দৈনিক ৫০০ কেজি করে বাড়ানোর পর থেকে এ এলাকায় সবাই পণ্য পাচ্ছেন। আগে পণ্য না পেয়ে অনেককে ফিরে যেতে হতো।
এলাকাভেদে ওএমএসের দোকানে চাপ কিছুটা কম থাকলেও ট্রাকে ভিড় সবচেয়ে বেশি। রামপুরা বাজারের কাছে মূল সড়কে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। ট্রাকের বিক্রেতা মো. দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, সপ্তাহে দুদিন দৈনিক ২ হাজার কেজি চাল ও ১৫ শ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানের চেয়ে ট্রাকের বরাদ্দ বেশি হওয়ার পরও পণ্য সরবরাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। মূল সড়কে যেখানে নিম্নবিত্ত মানুষের আনাগোনা বেশি, সেখানে ওএমএসের ট্রাকগুলোতে পণ্য সরবরাহ রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতা মো. দেলোয়ার বলেন, এই লাইন ঠিক রাখতে একজনকে সব সময় থাকতে হয়। তারপরও সমস্যা হয়। পুরুষের চেয়ে নারীর লাইন দীর্ঘ হওয়ায় তাঁদের ভোগান্তি আরও বেশি।
খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ,বণ্টন ও বিপণন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে ১ মার্চ থেকে মহানগর ও জেলাগুলোতে আটার পরিমাণ ডিলারপ্রতি ৫০০ কেজি করে বাড়ানো হয়েছে। আর এ বছর ওএমএসের মোট সরবরাহ আড়াই লাখ টন থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে সরকার ওএমএসের আওতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ওএমএসের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ সরবরাহ করে যাচ্ছে ট্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গতকাল মালিবাগের শান্তিনগর ও পশ্চিম রামপুরায় টিসিবির পণ্য বিক্রির দোকানে গিয়ে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য পাননি ক্রেতারা।
সিবির মিডিয়া মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চিনি সমস্যার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য এখনো সরবরাহ করা যায়নি। তবে ৯ মার্চ থেকে ফেব্রুয়ারির পণ্য সরবরাহ শুরু হবে। তখন ছোলা, বুট এবং খেজুরও সরবরাহ করা হতে পারে।
নিম্নবিত্ত মানুষের সুবিধার্থে টিসিবির কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন এক কোটি কার্ডের পণ্য সরবরাহ করাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটি ঠিকমতো সরবরাহের চেষ্টা চলছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চাইলে কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে