সম্পাদকীয়
রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের নাবালক ছেলে অহিউল্লাহ। বয়স আট বা নয়। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। ২১ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি সারা ঢাকার রাস্তা ছিল জনতার দখলে। অহিউল্লাহ শহীদ হয় নবাবপুর রোডে।
অহিউল্লাহ দাঁড়িয়ে ছিল খোশমহল রেস্টুরেন্টের সামনে। তখন নবাবপুর রোড দিয়ে মিছিল যাচ্ছিল। সেই বিশাল মিছিল দেখার জন্য এগিয়ে এসেছিল সে। সাপ্তাহিক সৈনিকে একটি খবর বেরিয়েছিল ১৯৫৪ সালের শহীদ দিবস সংখ্যায়। গুলি লাগার পর অহিউল্লাহর পকেট থেকে নাকি একটি কাগজ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই কাগজে আঁকা ছিল প্রজাপতি আর জীবজন্তুর ছবি।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আজাদ পত্রিকায় অহিউল্লাহর নিহত হওয়ার খবর ছাপা হয়েছিল।
আজাদের প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘নবাবপুরের ঘটনা’। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘বেলা প্রায় এগারোটার সময় রথখোলা ও নিশাত সিনেমা হলের মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে একটি চলতি সামরিক ট্রাক হইতে অপেক্ষমাণ নিরীহ পথচারীদের উপর বেপরোয়াভাবে গুলি চালানো হয় বলিয়া জানা গিয়াছে। ফলে একজন যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত ও দুইজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে একটি বালককে বেয়নেট দ্বারা মাথায় আঘাত করা হয় বলিয়া জানা গিয়াছে। আরও প্রকাশ, সামরিক ট্রাকে করিয়া তাহাদের লইয়া যাওয়া হয়।’
আজাদের সংবাদে বেয়নেট চার্জে নিহত হওয়া বালকটিই অহিউল্লাহ কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে গুলিতে নিহত বলতে গিয়ে যদি আজাদ পত্রিকা বেয়নেট চার্জের কথা বলে থাকে, তাহলে এই বালকের অহিউল্লাহ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আহমেদ মওলা লিখছেন, ‘ক্ষিপ্ত পুলিশ ফুলার রোড দিয়ে ঢুকে মিছিলের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। …গুলি লাগে কিশোর অহিউল্লাহর বুকে। পিচঢালা কালো রাস্তার ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে যায় অহিউল্লাহ। পুলিশ দ্রুত তার রক্তমাখা লাশ সরিয়ে ফেলে। গুম করে ফেলে অহিউল্লাহর লাশ।’
সূত্র: আহমদ রফিক, ভাষা আন্দোলন ও ভাষাসংগ্রামীগণ, গণ প্রকাশনী, ২০১২, পৃষ্ঠা ২৬; এম আবদুল আলীম, ভাষা আন্দোলন–কোষ, কথাপ্রকাশ, ২০২০, পৃষ্ঠা ৩৭
রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের নাবালক ছেলে অহিউল্লাহ। বয়স আট বা নয়। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। ২১ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি সারা ঢাকার রাস্তা ছিল জনতার দখলে। অহিউল্লাহ শহীদ হয় নবাবপুর রোডে।
অহিউল্লাহ দাঁড়িয়ে ছিল খোশমহল রেস্টুরেন্টের সামনে। তখন নবাবপুর রোড দিয়ে মিছিল যাচ্ছিল। সেই বিশাল মিছিল দেখার জন্য এগিয়ে এসেছিল সে। সাপ্তাহিক সৈনিকে একটি খবর বেরিয়েছিল ১৯৫৪ সালের শহীদ দিবস সংখ্যায়। গুলি লাগার পর অহিউল্লাহর পকেট থেকে নাকি একটি কাগজ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই কাগজে আঁকা ছিল প্রজাপতি আর জীবজন্তুর ছবি।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আজাদ পত্রিকায় অহিউল্লাহর নিহত হওয়ার খবর ছাপা হয়েছিল।
আজাদের প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘নবাবপুরের ঘটনা’। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘বেলা প্রায় এগারোটার সময় রথখোলা ও নিশাত সিনেমা হলের মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে একটি চলতি সামরিক ট্রাক হইতে অপেক্ষমাণ নিরীহ পথচারীদের উপর বেপরোয়াভাবে গুলি চালানো হয় বলিয়া জানা গিয়াছে। ফলে একজন যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত ও দুইজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে একটি বালককে বেয়নেট দ্বারা মাথায় আঘাত করা হয় বলিয়া জানা গিয়াছে। আরও প্রকাশ, সামরিক ট্রাকে করিয়া তাহাদের লইয়া যাওয়া হয়।’
আজাদের সংবাদে বেয়নেট চার্জে নিহত হওয়া বালকটিই অহিউল্লাহ কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে গুলিতে নিহত বলতে গিয়ে যদি আজাদ পত্রিকা বেয়নেট চার্জের কথা বলে থাকে, তাহলে এই বালকের অহিউল্লাহ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আহমেদ মওলা লিখছেন, ‘ক্ষিপ্ত পুলিশ ফুলার রোড দিয়ে ঢুকে মিছিলের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। …গুলি লাগে কিশোর অহিউল্লাহর বুকে। পিচঢালা কালো রাস্তার ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে যায় অহিউল্লাহ। পুলিশ দ্রুত তার রক্তমাখা লাশ সরিয়ে ফেলে। গুম করে ফেলে অহিউল্লাহর লাশ।’
সূত্র: আহমদ রফিক, ভাষা আন্দোলন ও ভাষাসংগ্রামীগণ, গণ প্রকাশনী, ২০১২, পৃষ্ঠা ২৬; এম আবদুল আলীম, ভাষা আন্দোলন–কোষ, কথাপ্রকাশ, ২০২০, পৃষ্ঠা ৩৭
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪