শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
সরকারি-বেসরকারি থেকে শুরু করে কমিউনিটি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি গ্রন্থাগার এখনো বেশ আছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। একটা সময় এগুলো পাঠকে সরগরম হয়ে উঠলেও দিন দিন কমছে। এমনকি বিদ্যালয়ের নিজস্ব লাইব্রেরিতেও পড়তে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য পণ্যের যেমন প্রসার প্রয়োজন, গ্রন্থাগারেরও প্রচার লাগবে। না হলে দিন দিন পাঠক হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
রংপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইলসহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন গ্রন্থাগারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বই থাকলেও পাঠকসংখ্যা ক্রমেই কমছে। কেউ কেউ বলছেন, করোনার কারণে গ্রন্থাগারে আসার প্রবণতা কমেছে। এটি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো পাঠক বলেছেন, পড়ার পর্যাপ্ত উপকরণ ও পরিবেশের অভাব আছে গ্রন্থাগারগুলোতে। শুধু তাই নয়, একাডেমিক পড়াশোনার চাপের কারণেও অনেক শিক্ষার্থী সৃজনশীল বই পড়ার সুযোগ পান না।
টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা ইভা বলেন, ‘কোচিংনির্ভরশীল পড়ালেখায় সৃজনশীল বই পড়া হয়ে ওঠে না। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক সূচির বাইরে কোচিংয়ের বই পড়তে দিন শেষ। সাহিত্য পাঠ করার অভ্যাস গড়ার জন্য সময় বের করা কঠিন।’
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬টি জেলার ১৪৪টি গ্রন্থাগার নিয়ে একটি গবেষণা করে সম্প্রতি। সেই গবেষণা শেষে গ্রন্থাগারে পাঠক বাড়ানোর জন্য সেবার মান বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা, মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসূচি গ্রহণ করে পাঠক সম্পৃক্ততা তৈরির সুপারিশ করা হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল পাঠে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য রয়েছে গ্রন্থাগার। তবে ঢাকার কিছু গ্রন্থাগারে সৃজনশীল পাঠের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আসা পাঠক বেশি দেখা গেছে। ঢাকার বেসরকারি একটি স্কুলের শিক্ষক সোহেল তানভীর বলেন, এখনকার ছাত্রছাত্রীদের লাইব্রেরি নিয়ে অতটা আগ্রহ নেই। আর বেশির ভাগ স্কুলের ছোট-বড় লাইব্রেরি আছে; কিন্তু সেগুলো সচল নয়।
বনশ্রীর ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের দিবা শাখার ইনচার্জ মনিরুল হাসান বলেন, ‘করোনার কারণে পাঠের প্রতি শিক্ষার্থীদের এমনিতেই অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে তাদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মো. জাবের হোসাইন বলেন, একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থাগারকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর মার্কেটিং করতে হবে। গ্রন্থাগারের আকর্ষণ বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। সময় বদলেছে। নতুন পাঠকের চাহিদা বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী লাইব্রেরির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি থেকে শুরু করে কমিউনিটি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি গ্রন্থাগার এখনো বেশ আছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। একটা সময় এগুলো পাঠকে সরগরম হয়ে উঠলেও দিন দিন কমছে। এমনকি বিদ্যালয়ের নিজস্ব লাইব্রেরিতেও পড়তে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য পণ্যের যেমন প্রসার প্রয়োজন, গ্রন্থাগারেরও প্রচার লাগবে। না হলে দিন দিন পাঠক হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
রংপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইলসহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন গ্রন্থাগারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বই থাকলেও পাঠকসংখ্যা ক্রমেই কমছে। কেউ কেউ বলছেন, করোনার কারণে গ্রন্থাগারে আসার প্রবণতা কমেছে। এটি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো পাঠক বলেছেন, পড়ার পর্যাপ্ত উপকরণ ও পরিবেশের অভাব আছে গ্রন্থাগারগুলোতে। শুধু তাই নয়, একাডেমিক পড়াশোনার চাপের কারণেও অনেক শিক্ষার্থী সৃজনশীল বই পড়ার সুযোগ পান না।
টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা ইভা বলেন, ‘কোচিংনির্ভরশীল পড়ালেখায় সৃজনশীল বই পড়া হয়ে ওঠে না। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক সূচির বাইরে কোচিংয়ের বই পড়তে দিন শেষ। সাহিত্য পাঠ করার অভ্যাস গড়ার জন্য সময় বের করা কঠিন।’
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬টি জেলার ১৪৪টি গ্রন্থাগার নিয়ে একটি গবেষণা করে সম্প্রতি। সেই গবেষণা শেষে গ্রন্থাগারে পাঠক বাড়ানোর জন্য সেবার মান বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা, মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসূচি গ্রহণ করে পাঠক সম্পৃক্ততা তৈরির সুপারিশ করা হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল পাঠে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য রয়েছে গ্রন্থাগার। তবে ঢাকার কিছু গ্রন্থাগারে সৃজনশীল পাঠের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আসা পাঠক বেশি দেখা গেছে। ঢাকার বেসরকারি একটি স্কুলের শিক্ষক সোহেল তানভীর বলেন, এখনকার ছাত্রছাত্রীদের লাইব্রেরি নিয়ে অতটা আগ্রহ নেই। আর বেশির ভাগ স্কুলের ছোট-বড় লাইব্রেরি আছে; কিন্তু সেগুলো সচল নয়।
বনশ্রীর ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের দিবা শাখার ইনচার্জ মনিরুল হাসান বলেন, ‘করোনার কারণে পাঠের প্রতি শিক্ষার্থীদের এমনিতেই অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে তাদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মো. জাবের হোসাইন বলেন, একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থাগারকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর মার্কেটিং করতে হবে। গ্রন্থাগারের আকর্ষণ বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। সময় বদলেছে। নতুন পাঠকের চাহিদা বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী লাইব্রেরির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪