জুরাছড়িতে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ

সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৮: ০৯
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১১: ৫৩

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। গত দুই মাসে বিভিন্ন স্থানে জ্বর, কাশিসহ শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানায়, গত জুলাইতে ২৬৫ জনের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। তবে জুনে ১২৩ জনের শনাক্ত হয়।

জানা গেছে, গত দুই মাসে উপজেলার দুর্গম মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া জুরাছড়ি ইউনিয়নের আমলা, থাচি, শালবাগান পাড়ায়; বনযোগীছড়া ইউনিয়নে বহেরাছড়ি, বালিশ পাড়া; মৈদং ইউনিয়নে আমতলা, ভুয়াতলীছড়া, বাদলহাটছড়া, কাটালতলী, জামেরছড়ি পাড়া; দুমদুম্যা ইউনিয়নে গবছড়ি, লাম্বাবাগছড়া, হরিণহাটছড়া, বড় ও ছোট করইদিয়া, ঘন্ডাছড়া, দুলুছড়ি, আদিয়াবছড়া, কান্দারাছড়া, এটছড়ি, কলাবনছড়া পাড়ায় ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া গেছে।

দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওয়ার্ড সদস্য লক্ষ্মী লাল চাকমা ও কালা চোখা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, তাঁদের এলাকায় সপ্তাহে সাত-আটজন করে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মী ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দুমদুম্যা মৌজার হেডম্যান সমূর পাংখোয়া বলেন, ‘দু-এক বছর ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কম হলেও এ বছর আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।’

বগাখালী পাড়ার শান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, নঙগা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন ধরে ম্যালেরিয়ায় ভুগছেন। সেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

বগাখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার অমর শান্তি চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যাচ্ছে।’

দুমদুম্যা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, ‘হঠাৎ করে এ বছর ঘরে ঘরে জ্বর ও কাশির প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কমিউনিটি ক্লিনিক ও ব্র্যাককর্মীরা স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অনন্যা চাকমা বলেন, ‘জুন-জুলাই মাসে দুর্গম পাহাড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। অক্টোবর পর্যন্ত কম-বেশি প্রাদুর্ভাব থাকতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত