আজাদুল আদনান, ঢাকা
চাঁদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন আতিকুর রহমান। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে বসে। দীর্ঘ চার বছরের বেশি ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ মিলে মাসে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয় করতে হয় তাঁকে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এখনো শহরে ডায়াবেটিসের রোগী বেশি হলেও গ্রামে আধুনিক জীবনের ছোঁয়া লাগায় উদ্বেগজনক হারে সেখানেও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আক্রান্তদের অর্ধেকেরই কোনো লক্ষণ না থাকায় ঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না। এটা খুবই দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের প্রধান ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। শহরের মানুষের সঙ্গে তাদের মাঝেও কায়িক পরিশ্রমের হার প্রতিনিয়ত কমছে। আগে প্যাডেলের মাধ্যমে রিকশা-ভ্যান চললেও সেগুলো এখন অটো হয়েছে। এতে উদ্বেগজনকভাবে গ্রামেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস বাড়ছে।
ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত গবেষক। গবেষণায় ১৮ বছরের বেশি বয়সী সাড়ে ১৪ হাজার নারী-পুরুষের রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করা হয়।
এতে দেখা যায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ১৩ জন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা নেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো ৬২ ভাগই সচেতন নন। আক্রান্তের মধ্যে উচ্চশিক্ষিতদের হারও তুলনামূলক বেশি।
২০১৮ সালে দেশের সব উপজেলায় ডায়াবেটিস নিয়ে জরিপ চালিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে দেখা যায়, শহর ও গ্রামের মানুষের মাঝে আক্রান্তের পার্থক্য খুব একটা নেই। শিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও পাওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে ধূমপান, অস্বাভাবিক জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের হার কম তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে বসবাস করে। রোগীর ধরন অনুযায়ী ৯৫ ভাগই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৬৫ ভাগ মারা যান হৃদ্রোগে।
ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের সমন্বয়ক ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলছেন, ৪২৬টি উপজেলায় এক লাখ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও জানেন না। তিনি বলেন, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের ৪০ শতাংশের ওজন স্বাভাবিক। কায়িক পরিশ্রম কম হওয়া, অতিরিক্ত ওজন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, কম হাঁটা-চলা ও গ্রামে যানবাহন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় রোগী বাড়ছে।
ডায়াবেটিসের কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে ভয়ংকর প্রভাব ফেলে জানিয়ে বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, সাধারণ রোগীর তুলনায় ডায়াবেটিসের রোগীকে দ্বিগুণ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়। তাদের চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ রোগীর তুলনায় ৬ গুণ বেশি। এ ছাড়া শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।
এমন অবস্থা নিয়েই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচিতে পালিত হবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়।’
আরও পড়ুন:
চাঁদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন আতিকুর রহমান। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে বসে। দীর্ঘ চার বছরের বেশি ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ মিলে মাসে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয় করতে হয় তাঁকে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এখনো শহরে ডায়াবেটিসের রোগী বেশি হলেও গ্রামে আধুনিক জীবনের ছোঁয়া লাগায় উদ্বেগজনক হারে সেখানেও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আক্রান্তদের অর্ধেকেরই কোনো লক্ষণ না থাকায় ঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না। এটা খুবই দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের প্রধান ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। শহরের মানুষের সঙ্গে তাদের মাঝেও কায়িক পরিশ্রমের হার প্রতিনিয়ত কমছে। আগে প্যাডেলের মাধ্যমে রিকশা-ভ্যান চললেও সেগুলো এখন অটো হয়েছে। এতে উদ্বেগজনকভাবে গ্রামেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস বাড়ছে।
ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত গবেষক। গবেষণায় ১৮ বছরের বেশি বয়সী সাড়ে ১৪ হাজার নারী-পুরুষের রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করা হয়।
এতে দেখা যায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ১৩ জন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা নেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো ৬২ ভাগই সচেতন নন। আক্রান্তের মধ্যে উচ্চশিক্ষিতদের হারও তুলনামূলক বেশি।
২০১৮ সালে দেশের সব উপজেলায় ডায়াবেটিস নিয়ে জরিপ চালিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে দেখা যায়, শহর ও গ্রামের মানুষের মাঝে আক্রান্তের পার্থক্য খুব একটা নেই। শিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও পাওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে ধূমপান, অস্বাভাবিক জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের হার কম তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে বসবাস করে। রোগীর ধরন অনুযায়ী ৯৫ ভাগই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৬৫ ভাগ মারা যান হৃদ্রোগে।
ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের সমন্বয়ক ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলছেন, ৪২৬টি উপজেলায় এক লাখ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও জানেন না। তিনি বলেন, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের ৪০ শতাংশের ওজন স্বাভাবিক। কায়িক পরিশ্রম কম হওয়া, অতিরিক্ত ওজন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, কম হাঁটা-চলা ও গ্রামে যানবাহন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় রোগী বাড়ছে।
ডায়াবেটিসের কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে ভয়ংকর প্রভাব ফেলে জানিয়ে বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, সাধারণ রোগীর তুলনায় ডায়াবেটিসের রোগীকে দ্বিগুণ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়। তাদের চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ রোগীর তুলনায় ৬ গুণ বেশি। এ ছাড়া শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।
এমন অবস্থা নিয়েই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচিতে পালিত হবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়।’
আরও পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪