নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী বছর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা আয়োজিত হবে না—এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল মেলা শুরুর প্রথম থেকেই। মেলার শেষ দিকে এসে সেই গুঞ্জন আরও বেশি চাউর। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও লেখক, প্রকাশকসহ মেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্যান থেকে মেলা সরে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার আঙিনাতে সংবাদ সম্মেলন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বইমেলা রাখার দাবিতে সোচ্চার হলেন প্রকাশকেরা।
মেলায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সমিতি। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা নানা সূত্রে জেনেছি, এই অঞ্চল থেকে একুশে বইমেলাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে, যাতে বাঙালির সংস্কৃতিচর্চার এই শক্তিশালী কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে দেওয়া যায়। আমরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাই। আমাদের একমাত্র দাবি, অমর একুশে বইমেলাকে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যাবে না।’
সমিতির সহসভাপতি অন্য প্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বইমেলাকে এখান থেকে স্থানান্তর করা যাবে না। কারণ, বইমেলার সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জড়িত। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই বইমেলা শুরু হয়েছিল। বইমেলা শুরু হওয়ার পরে বৃদ্ধি পেতে পেতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল একটি আনন্দমেলায় পরিণত হয়েছে। এটি শুধু বই বেচাকেনার মেলা নয়, বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এটাকে কোনোভাবেই স্থানান্তর করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, বইমেলা সরে যাবে, এমন নির্দেশনা প্রকাশকেরা কোথায় পেয়েছেন? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি থেকে জানানো হয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বইমেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মেলা অন্যত্র সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, পূর্ত মন্ত্রণালয় ২৯ ফেব্রুয়ারির পরেই মেলা তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।
১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা বই বিক্রি শুরু করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। ধীরে ধীরে এর কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১৪ সালে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এক দশক ধরে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরেই হচ্ছে বইমেলা।
গতকাল ছিল অমর একুশে বইমেলার ২৯তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। গতকাল নতুন বই এসেছে ১২৭টি। এ পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৩টি। মেলায় এসেছে মাছরাঙা প্রকাশনী থেকে কবি, নাট্যকার ও নির্মাতা শুভাশিস সিনহার দীর্ঘ কবিতার বই ‘কাহার বাতাস আসি লাগে’, পাঠক সমাবেশ থেকে ইকতিয়ার চৌধুরীর ‘মুনতাহা আমার পতাকা’, সৌম্য প্রকাশনী থেকে যতীন সরকারের ‘আমাদের চিন্তাচর্চার দিক্-দিগন্ত’।
গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন আলোকচিত্র শিল্পী নাসির আলী মামুন, পুঁথি গবেষক জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক মাহমুদুন নবী রনি এবং কবি রনি রেজা।
আজ মেলার বর্ধিত প্রথম দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় শিশুপ্রহর দিয়ে। শেষ হবে রাত ৯টায়। আগামীকাল শেষ হবে অমর একুশে বইমেলা।
আগামী বছর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা আয়োজিত হবে না—এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল মেলা শুরুর প্রথম থেকেই। মেলার শেষ দিকে এসে সেই গুঞ্জন আরও বেশি চাউর। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও লেখক, প্রকাশকসহ মেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্যান থেকে মেলা সরে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার আঙিনাতে সংবাদ সম্মেলন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বইমেলা রাখার দাবিতে সোচ্চার হলেন প্রকাশকেরা।
মেলায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সমিতি। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা নানা সূত্রে জেনেছি, এই অঞ্চল থেকে একুশে বইমেলাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে, যাতে বাঙালির সংস্কৃতিচর্চার এই শক্তিশালী কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে দেওয়া যায়। আমরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাই। আমাদের একমাত্র দাবি, অমর একুশে বইমেলাকে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যাবে না।’
সমিতির সহসভাপতি অন্য প্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বইমেলাকে এখান থেকে স্থানান্তর করা যাবে না। কারণ, বইমেলার সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জড়িত। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই বইমেলা শুরু হয়েছিল। বইমেলা শুরু হওয়ার পরে বৃদ্ধি পেতে পেতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল একটি আনন্দমেলায় পরিণত হয়েছে। এটি শুধু বই বেচাকেনার মেলা নয়, বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এটাকে কোনোভাবেই স্থানান্তর করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, বইমেলা সরে যাবে, এমন নির্দেশনা প্রকাশকেরা কোথায় পেয়েছেন? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি থেকে জানানো হয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বইমেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মেলা অন্যত্র সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, পূর্ত মন্ত্রণালয় ২৯ ফেব্রুয়ারির পরেই মেলা তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।
১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা বই বিক্রি শুরু করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। ধীরে ধীরে এর কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১৪ সালে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এক দশক ধরে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরেই হচ্ছে বইমেলা।
গতকাল ছিল অমর একুশে বইমেলার ২৯তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। গতকাল নতুন বই এসেছে ১২৭টি। এ পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৩টি। মেলায় এসেছে মাছরাঙা প্রকাশনী থেকে কবি, নাট্যকার ও নির্মাতা শুভাশিস সিনহার দীর্ঘ কবিতার বই ‘কাহার বাতাস আসি লাগে’, পাঠক সমাবেশ থেকে ইকতিয়ার চৌধুরীর ‘মুনতাহা আমার পতাকা’, সৌম্য প্রকাশনী থেকে যতীন সরকারের ‘আমাদের চিন্তাচর্চার দিক্-দিগন্ত’।
গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন আলোকচিত্র শিল্পী নাসির আলী মামুন, পুঁথি গবেষক জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক মাহমুদুন নবী রনি এবং কবি রনি রেজা।
আজ মেলার বর্ধিত প্রথম দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় শিশুপ্রহর দিয়ে। শেষ হবে রাত ৯টায়। আগামীকাল শেষ হবে অমর একুশে বইমেলা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪