রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা পৌর শহরে সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে মহাসড়কে দুটি গতিরোধক স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে কোনো প্রকার রং বা চিহ্নিত করার কোনো সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। ফলে গতিরোধকই উল্টো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এখানে অন্তত ১০টি দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুরাকাটা-বরগুনা-বরইতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই লেনের ওই অংশে জেব্রা ক্রসিং থাকার পরও নতুন করে দুটি স্পিড ব্রেকার তৈরি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে এমন স্থান ছাড়া মহাসড়কে গতিরোধক নির্মাণের বিধান না থাকলেও এমপির অনুরোধে গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
এ সড়কের শহরের অংশটি বরগুনা সদর রোড নামে পরিচিত। এই সড়কের পশ্চিম দিকে পাশাপাশি অবস্থিত বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ ও বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বাসভবন ও কার্যালয়। গত মঙ্গলবার সড়ক ও জনপথের পক্ষ থেকে এমপি শম্ভুর বাসার সামনের দুই লেনের সড়কের উভয় লেনে দুটি গতিরোধক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মো. নিশাত নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘এমপির বাসা, তাই এখানে না লাগলেও দুইটা স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখতেই হবে। অথচ এতে যে বিপদ বাড়ছে, সে খবর কে রাখে। দুই দিন আগে রিকশা থেকে পড়ে এক মেয়ের দাঁত ভেঙে গেছে। গতকাল এক বৃদ্ধ ডিমের গাড়িসহ পড়ে গেছে। তার সব ডিম ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়া হয়েছে। পরে ফেসবুকে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে সেখানে পাথরের গুঁড়া দিয়ে গেছে সংশ্লিষ্টরা, যা স্লিপ কেটে গাড়ি ও চালকদের বিপদ আরও বাড়িয়েছে। তাই এই মরণফাঁদ স্পিড ব্রেকারগুলো ভেঙে ফেলার দাবি সাধারণ চালকদের।’
গত বুধবার রাতে দুর্ঘটনার শিকার হন সদরের ডালভাঙা গ্রামের বৃদ্ধ রিকশাচালক মুজিবুর রহমান। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। মুজিবুরের শ্যালক শুক্কুর মিয়া জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর ভগ্নিপতি না দেখে এমপির অফিসের সামনে স্পিড ব্রেকারের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা ভেঙে ফেলেছেন। খবর পেয়ে তাঁকে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বরিশালে স্থানান্তর করেন।
ওই এলাকার চায়ের দোকানি বারেক বলেন, ‘স্পিড ব্রেকারগুলো দেওয়ার পর থেকে অনেক চালক না জেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে রাতে বেশি দুর্ঘটনা হয়। শব্দ পেয়ে আমরা দৌড়ে গিয়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করি। প্রতিদিন ৩-৪টা ঘটনা ঘটেই।’
এ বিষয়ে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু জানান, এখানে স্পিড ব্রেকার দুটি দেওয়ার আগেও কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে রং করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বরগুনা সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা যাবে না, এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে এমপি সাহেব ফোন করে অনুরোধ করার পর আমরা স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করে দিয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যেই রং করা হবে।’
বরগুনা পৌর শহরে সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে মহাসড়কে দুটি গতিরোধক স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে কোনো প্রকার রং বা চিহ্নিত করার কোনো সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। ফলে গতিরোধকই উল্টো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এখানে অন্তত ১০টি দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুরাকাটা-বরগুনা-বরইতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই লেনের ওই অংশে জেব্রা ক্রসিং থাকার পরও নতুন করে দুটি স্পিড ব্রেকার তৈরি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে এমন স্থান ছাড়া মহাসড়কে গতিরোধক নির্মাণের বিধান না থাকলেও এমপির অনুরোধে গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
এ সড়কের শহরের অংশটি বরগুনা সদর রোড নামে পরিচিত। এই সড়কের পশ্চিম দিকে পাশাপাশি অবস্থিত বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ ও বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বাসভবন ও কার্যালয়। গত মঙ্গলবার সড়ক ও জনপথের পক্ষ থেকে এমপি শম্ভুর বাসার সামনের দুই লেনের সড়কের উভয় লেনে দুটি গতিরোধক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মো. নিশাত নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘এমপির বাসা, তাই এখানে না লাগলেও দুইটা স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখতেই হবে। অথচ এতে যে বিপদ বাড়ছে, সে খবর কে রাখে। দুই দিন আগে রিকশা থেকে পড়ে এক মেয়ের দাঁত ভেঙে গেছে। গতকাল এক বৃদ্ধ ডিমের গাড়িসহ পড়ে গেছে। তার সব ডিম ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়া হয়েছে। পরে ফেসবুকে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে সেখানে পাথরের গুঁড়া দিয়ে গেছে সংশ্লিষ্টরা, যা স্লিপ কেটে গাড়ি ও চালকদের বিপদ আরও বাড়িয়েছে। তাই এই মরণফাঁদ স্পিড ব্রেকারগুলো ভেঙে ফেলার দাবি সাধারণ চালকদের।’
গত বুধবার রাতে দুর্ঘটনার শিকার হন সদরের ডালভাঙা গ্রামের বৃদ্ধ রিকশাচালক মুজিবুর রহমান। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। মুজিবুরের শ্যালক শুক্কুর মিয়া জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর ভগ্নিপতি না দেখে এমপির অফিসের সামনে স্পিড ব্রেকারের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা ভেঙে ফেলেছেন। খবর পেয়ে তাঁকে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বরিশালে স্থানান্তর করেন।
ওই এলাকার চায়ের দোকানি বারেক বলেন, ‘স্পিড ব্রেকারগুলো দেওয়ার পর থেকে অনেক চালক না জেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে রাতে বেশি দুর্ঘটনা হয়। শব্দ পেয়ে আমরা দৌড়ে গিয়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করি। প্রতিদিন ৩-৪টা ঘটনা ঘটেই।’
এ বিষয়ে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু জানান, এখানে স্পিড ব্রেকার দুটি দেওয়ার আগেও কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে রং করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বরগুনা সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা যাবে না, এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে এমপি সাহেব ফোন করে অনুরোধ করার পর আমরা স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করে দিয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যেই রং করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪