সম্পাদকীয়
তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। তিনিই প্রথম সংবাদপত্রে নতুনত্ব, আধুনিকতা ও যুগোপযোগী ধারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে ‘সাপ্তাহিক জনতা’র মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন ‘দৈনিক সংবাদ’-এ। ১৯৬১ সালে তিনি এ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এ। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ‘দৈনিক পাকিস্তান’ থেকে বদলে যাওয়া ‘দৈনিক বাংলা’র প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তোয়াব খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত তোয়াব খানের ‘পিন্ডির প্রলাপ’ অনুষ্ঠান ছিল মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’র শুরু থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ‘দৈনিক বাংলা’র সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে মাইলফলক রচিত হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। রঙিন পত্রিকা প্রকাশের কৃতিত্ব তাঁরই। সম্পাদক হিসেবে তিনি ছিলেন নিভৃতচারী। ডান বা বাম কোনো দিকে কখনো ঝুঁকে পড়েননি তিনি। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন ঠিকই, কিন্তু কখনোই তা সাংবাদিকতা পেশাকে ছাড়িয়ে যায়নি। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে এই শিক্ষাটা নেওয়া জরুরি যে রাজনীতির প্রতি পক্ষপাত ও সহজাত দুর্বলতা থাকলেও কীভাবে তাকে আড়ালে রাখতে হয় এবং নিজের পেশাকে রাখতে হয় সবকিছুর ওপরে।
২০২২ সালের ১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন তোয়াব খান।
তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। তিনিই প্রথম সংবাদপত্রে নতুনত্ব, আধুনিকতা ও যুগোপযোগী ধারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে ‘সাপ্তাহিক জনতা’র মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন ‘দৈনিক সংবাদ’-এ। ১৯৬১ সালে তিনি এ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এ। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ‘দৈনিক পাকিস্তান’ থেকে বদলে যাওয়া ‘দৈনিক বাংলা’র প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তোয়াব খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত তোয়াব খানের ‘পিন্ডির প্রলাপ’ অনুষ্ঠান ছিল মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’র শুরু থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ‘দৈনিক বাংলা’র সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে মাইলফলক রচিত হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। রঙিন পত্রিকা প্রকাশের কৃতিত্ব তাঁরই। সম্পাদক হিসেবে তিনি ছিলেন নিভৃতচারী। ডান বা বাম কোনো দিকে কখনো ঝুঁকে পড়েননি তিনি। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন ঠিকই, কিন্তু কখনোই তা সাংবাদিকতা পেশাকে ছাড়িয়ে যায়নি। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে এই শিক্ষাটা নেওয়া জরুরি যে রাজনীতির প্রতি পক্ষপাত ও সহজাত দুর্বলতা থাকলেও কীভাবে তাকে আড়ালে রাখতে হয় এবং নিজের পেশাকে রাখতে হয় সবকিছুর ওপরে।
২০২২ সালের ১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন তোয়াব খান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে