আজাদুল আদনান, ঢাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন (৬৫) প্রায় তিন দশক ধরে ভুগছেন ডায়াবেটিসে। পাশাপাশি রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের সমস্যা। ওষুধ ও ইনসুলিন ছাড়া একমুহূর্তের জন্যও সুস্থতাবোধ করেন না। প্রতিদিন তাঁর খরচ হয় ৩০০ টাকার বেশি। মাসে দুটি ইনসুলিন নিতে খরচ হয় ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৮ নভেম্বর দেখা হয় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, একসময় মুদিদোকান করতেন। এখন একমাত্র ছেলের আয়ের ওপর নির্ভরশীল তিনি। ছেলের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়।
জানতে চাইলে তাঁর ছেলে সোহাগ হাসান বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি। কিন্তু বাবার চিকিৎসায় মাসে খরচ প্রায় ১৪ হাজার টাকা। নিয়মিত চিকিৎসা না করালে অবস্থা গুরুতর হয়। তাই ধার-দেনা করে হলেও চিকিৎসা করাচ্ছি।’
পাশেই বসা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন (৫৮)। ২০০৮ সালে ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় তাঁর। মাসে তিনটি ইনসুলিন নিতে হয় তাঁকে। এতে প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। সঙ্গে আছে আরও নানা ওষুধ। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয় প্রতি মাসে।
ইলিয়াস বলেন, কিছুদিন হলো উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু হয়েছে। কিন্তু সামান্য কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও ইনসুলিন দেওয়া হয় না। তাই বেশি টাকা খরচ করেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন ৮৪ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি বলে ধারণা চিকিৎসকদের। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দেড় কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের ২০২১ সালের প্রতিবেদন বলছে,ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৬১ শতাংশই জানেন না, তাঁরা এতে ভুগছেন। কিশোর-তরুণদের নিয়ে করা ওই গবেষণায় দেখা যায়, ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ২১ শতাংশের বেশি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ অত্যন্ত কম হওয়ায় উচ্চমূল্যেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে অনেকে চিকিৎসা শুরু করেও অর্থাভাবে নিয়মিত তা পারছেন না।
এমন বাস্তবতায় আজ সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো, ‘ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় ডায়াবেটিস শিক্ষা’।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহজাদা সেলিম বলেন, অবকাঠামো থাকলেও পদ না থাকায় চিকিৎসার পরিধি বাড়ছে না। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসার জন্য সারা দেশে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট আছেন মাত্র ৩০০ জন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় এলেও নিয়মিত চিকিৎসা নেন মাত্র ১০-১৫ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ চিকিৎসা খরচ। নিয়মিত চিকিৎসা না করানোয় ইনসুলিন নেওয়ার পরও ৮৫ ভাগের বেশি রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই।
শাহজাদা সেলিম আরও বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলো যেখানে রোগীপ্রতি ১৫ থেকে ২২ হাজার ডলার খরচ করছে, সেখানে আমরা খরচ করছি মাত্র ৭৭ ডলার। এমনকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়েও আমরা পিছিয়ে আছি। এর কারণ, পুরো স্বাস্থ্য খাতেই বরাদ্দ কম।’
গত বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) শাখার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মাত্র ১৪ শতাংশের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অপ্রাপ্ত ৬৩ ভাগ রোগী বেসরকারি সুবিধা থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ নেন। এ হার সরকারিতে ২৭ ভাগ, আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৯৫ ভাগই চিকিৎসা নেন বেসরকারিতে, সরকারিতে ১ ভাগের সামান্য বেশি।
এনসিডিসি বলছে, ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় ৬টি মেডিকেল, ১৫টি জেলা সদর হাসপাতালসহ ২০০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডি কর্নার রয়েছে। সেখানে তিন ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে পান রোগীরা। তবে এসব সেন্টারে উচ্চ ডায়াবেটিস রোগীর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন দেওয়া হয় না।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘সরকারিভাবে সারা দেশে ২০০টি এনসিডি কর্নারে চিকিৎসা চালু রয়েছে। এসব সেন্টারে গ্লুকোজ পরিমাপ ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইনসুলিন ছাড়া উপায় নেই হাসপাতালে ভর্তি এমন রোগীদের বছরে ১০০ কোটি টাকার ইনসুলিন বিনা মূল্যে দিচ্ছে সরকার। আমরা প্রান্তিক অঞ্চলে সেবাগুলো পৌঁছাতে চাই। এ ক্ষেত্রে জনবলসংকট সবচেয়ে বড় সমস্যা।’
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগী হিসেবে বেসরকারিভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিক সমিতি। রাজধানী ছাড়াও ৬১ জেলায় ৪৬৫টি সেন্টারে ৪৫ লাখের বেশি নিবন্ধিত রোগীকে সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, একদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ডায়াবেটিস বাড়ছে, অন্যদিকে চিকিৎসায় অপ্রতুলতা। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকির কারণে এখনো এগোতে পারছে না সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন (৬৫) প্রায় তিন দশক ধরে ভুগছেন ডায়াবেটিসে। পাশাপাশি রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের সমস্যা। ওষুধ ও ইনসুলিন ছাড়া একমুহূর্তের জন্যও সুস্থতাবোধ করেন না। প্রতিদিন তাঁর খরচ হয় ৩০০ টাকার বেশি। মাসে দুটি ইনসুলিন নিতে খরচ হয় ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৮ নভেম্বর দেখা হয় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, একসময় মুদিদোকান করতেন। এখন একমাত্র ছেলের আয়ের ওপর নির্ভরশীল তিনি। ছেলের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়।
জানতে চাইলে তাঁর ছেলে সোহাগ হাসান বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি। কিন্তু বাবার চিকিৎসায় মাসে খরচ প্রায় ১৪ হাজার টাকা। নিয়মিত চিকিৎসা না করালে অবস্থা গুরুতর হয়। তাই ধার-দেনা করে হলেও চিকিৎসা করাচ্ছি।’
পাশেই বসা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন (৫৮)। ২০০৮ সালে ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় তাঁর। মাসে তিনটি ইনসুলিন নিতে হয় তাঁকে। এতে প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। সঙ্গে আছে আরও নানা ওষুধ। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয় প্রতি মাসে।
ইলিয়াস বলেন, কিছুদিন হলো উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু হয়েছে। কিন্তু সামান্য কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও ইনসুলিন দেওয়া হয় না। তাই বেশি টাকা খরচ করেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন ৮৪ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি বলে ধারণা চিকিৎসকদের। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দেড় কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের ২০২১ সালের প্রতিবেদন বলছে,ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৬১ শতাংশই জানেন না, তাঁরা এতে ভুগছেন। কিশোর-তরুণদের নিয়ে করা ওই গবেষণায় দেখা যায়, ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ২১ শতাংশের বেশি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ অত্যন্ত কম হওয়ায় উচ্চমূল্যেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে অনেকে চিকিৎসা শুরু করেও অর্থাভাবে নিয়মিত তা পারছেন না।
এমন বাস্তবতায় আজ সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো, ‘ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় ডায়াবেটিস শিক্ষা’।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহজাদা সেলিম বলেন, অবকাঠামো থাকলেও পদ না থাকায় চিকিৎসার পরিধি বাড়ছে না। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসার জন্য সারা দেশে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট আছেন মাত্র ৩০০ জন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় এলেও নিয়মিত চিকিৎসা নেন মাত্র ১০-১৫ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ চিকিৎসা খরচ। নিয়মিত চিকিৎসা না করানোয় ইনসুলিন নেওয়ার পরও ৮৫ ভাগের বেশি রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই।
শাহজাদা সেলিম আরও বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলো যেখানে রোগীপ্রতি ১৫ থেকে ২২ হাজার ডলার খরচ করছে, সেখানে আমরা খরচ করছি মাত্র ৭৭ ডলার। এমনকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়েও আমরা পিছিয়ে আছি। এর কারণ, পুরো স্বাস্থ্য খাতেই বরাদ্দ কম।’
গত বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) শাখার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মাত্র ১৪ শতাংশের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অপ্রাপ্ত ৬৩ ভাগ রোগী বেসরকারি সুবিধা থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ নেন। এ হার সরকারিতে ২৭ ভাগ, আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৯৫ ভাগই চিকিৎসা নেন বেসরকারিতে, সরকারিতে ১ ভাগের সামান্য বেশি।
এনসিডিসি বলছে, ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় ৬টি মেডিকেল, ১৫টি জেলা সদর হাসপাতালসহ ২০০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডি কর্নার রয়েছে। সেখানে তিন ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে পান রোগীরা। তবে এসব সেন্টারে উচ্চ ডায়াবেটিস রোগীর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন দেওয়া হয় না।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘সরকারিভাবে সারা দেশে ২০০টি এনসিডি কর্নারে চিকিৎসা চালু রয়েছে। এসব সেন্টারে গ্লুকোজ পরিমাপ ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইনসুলিন ছাড়া উপায় নেই হাসপাতালে ভর্তি এমন রোগীদের বছরে ১০০ কোটি টাকার ইনসুলিন বিনা মূল্যে দিচ্ছে সরকার। আমরা প্রান্তিক অঞ্চলে সেবাগুলো পৌঁছাতে চাই। এ ক্ষেত্রে জনবলসংকট সবচেয়ে বড় সমস্যা।’
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগী হিসেবে বেসরকারিভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিক সমিতি। রাজধানী ছাড়াও ৬১ জেলায় ৪৬৫টি সেন্টারে ৪৫ লাখের বেশি নিবন্ধিত রোগীকে সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, একদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ডায়াবেটিস বাড়ছে, অন্যদিকে চিকিৎসায় অপ্রতুলতা। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকির কারণে এখনো এগোতে পারছে না সরকার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে