শাইখ সিরাজ
গত ডিসেম্বরের কথা। আমরা যাচ্ছিলাম টাঙ্গাইলের মধুপুরের গারোবাজারে। আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু পথ ধরে যাচ্ছিলাম। একটা হালকা কুয়াশার চাদর জড়িয়ে রেখেছে চারপাশ। তখনো সকালের সূর্য মাথা তোলেনি। কুতুবপুর নামের একটা বাজার চোখে পড়ল। কলার হাট। সেখানে থামলাম। শীতের ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মাঠের কলা পৌঁছে গেছে হাটে। কলা বছরব্যাপী উৎপাদিত ফল হলেও শীতে একটু কমই বিক্রি হয়। তারপরও কলার পরিমাণ এবং কলা ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কম নয়। সরগরম বাজারে বেচাকেনায় ব্যস্ত চাষি ও ব্যবসায়ী সবাই।
তিন দশকে বদলে গেছে টাঙ্গাইলের কৃষি। একসময় এ অঞ্চলের ভূমি ছিল চাষের অনুপযোগী। উঁচু-নিচু আর সেচ-স্বল্পতায় খুব একটা ফসল ফলানো সম্ভব হতো না। মনে আছে, আশির দশকের প্রথম দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর, ঘাটাইল, বাসাইল, সাগরদীঘি, গারোবাজার প্রভৃতি অঞ্চলের ভূমিরূপ একই রকম হওয়ায় এ অঞ্চলগুলোয় প্রথম জার্মানি সংস্থা জিটিজেড বারিড পাইপ ইরিগেশন চালু করে। ব্যয়বহুল এ সেচ ব্যবস্থাপনার কারণে টাঙ্গাইলের এই অঞ্চলগুলোতে বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষির দেখা মিলছে। সেচের অভাবে একসময় অভাবে কাটানো স্থানীয় কৃষকেরা এখন বেশ সচ্ছল। এখানকার সমতলীয় উচ্চভূমি, অর্থাৎ ছোট ছোট টিলা ও পাহাড়বেষ্টিত লাল মাটিতে শুধু কলা নয়, আনারসসহ উচ্চমূল্যের ফল-ফসল আবাদে দারুণ উপযোগী এখন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ফল, ফসলের দারুণ বৈচিত্র্য এসেছে এখানে। স্থানীয় কৃষকের কাছে আনারসের পাশাপাশি কলা হয়ে উঠেছে অর্থকরী ফসল। রাস্তার দুই পাশে বিস্তীর্ণ আবাদি এলাকায়ও দেখা মেলে কলাবাগানের। সাগরকলা, চিনিচম্পা, সবরি ও বাংলা কবরিসহ নানা রকম কলার আবাদ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত কলা ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে কুতুবপুর কলাবাজার।
দূরদূরান্ত থেকে সাইকেল অথবা ভ্যানে করে কলা বয়ে আনছেন কৃষক। সকালের সূর্যের আলোয় সেটাও দেখার মতো দৃশ্য। সারি সারি সাইকেলে কলার ছড়ি বাঁধা। ভ্যানে বা অটোরিকশায় কলা আসছে। কলা ঘিরে সকাল সকাল অন্য রকম ব্যস্ততা সেখানে দেখা যায়। কলার বর্তমান বাজারদর, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং দরপতনের নানা কারণ জানা গেল বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে। একজন কলাচাষি বললেন, একটি কলার ছড়ি উৎপাদন করতে সাকল্যে খরচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিটি কলার ছড়ি পাইকারের কাছে বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা করে। ফলে ছড়িপ্রতি লাভ থাকছে ২০০ টাকা। এক পাকি, অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ জমিতে ৫০০টি কলাগাছ রোপণ করা যায়। হিসাব করে দেখা গেল কলা চাষ করে ৩৫ শতাংশ জমি থেকে লাখের ওপর লাভ পাচ্ছেন কৃষক।
সাধারণত একেকটি ছড়িতে ২০ থেকে ২৫ হালি কলা হয়। কথা হয় এই এলাকার কৃষক মালেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর ২ হাজার ২০০টি কলাগাছ আছে। বাজারে এনেছেন ৫০ ছড়ি। সবরি কলার দর বেশি। ৮০০ টাকা ছড়িপ্রতি দাম বলে গেছেন পাইকার। অপেক্ষায় আছেন আরেকটু বেশি দাম পাওয়ার।
সেচের সুবিধা পেয়ে একসময় অল্পবিস্তরে কলার আবাদ শুরু হলেও কলা চাষের অন্যতম এক ক্ষেত্র এখন টাঙ্গাইলের সখীপুর। বছর গেছে আর একজন কৃষকের সাফল্য দেখে অন্য কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন নতুন করে কলা চাষে। সবখানেই কৃষকের নিজস্ব ও টেকসই কিছু পদ্ধতি থাকে ফল পাকানো ও বাজারজাত করার। এখানেও কলা পাকানোর জন্য রয়েছে কৃষকের নানা কৌশল। কিন্তু তা যেন বাণিজ্যিক চাহিদার দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ না হয়ে ওঠে। বাজারে উপস্থিত কলাচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য বিবেচনায় রেখেই তাঁরা কলা পাকান। মনে আছে বেশ কয়েক বছর আগেও একবার ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার স্থানীয় এক কলাবাজারে কৃষকের নিজস্ব উদ্যোগে স্বাস্থ্যকর উপায়ে কলা পাকানোর চিত্র তুলে ধরেছিলাম।
টাঙ্গাইলের কলার চাষ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আধুনিক কৃষির জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে এখানেও কলা চাষে বৈচিত্র্য এসেছে। দু-একবার কলা চাষে বিপর্যয় ঘটলেও কলার আবাদ কমেনি; বরং দিনে দিনে কলার চাষ বেড়েছে। বহু শিক্ষিত তরুণ কলাচাষে যুক্ত হয়ে পেয়েছেন সাফল্য। অনেক দিন পর আবার কুতুবপুর কলাবাজারে যাওয়ার সুযোগ হলো। সেখানে কলাচাষিদের কাছেই জানা গেল, কোনো কোনো চাষির কলা জমিতেই বিক্রি হয়। আবার অনেকের কলা বাগানসহ বিক্রি হয়ে যায়। তবে বেশির ভাগ কৃষক কলা সরাসরি বাজারেই বিক্রি করে থাকেন। একেকটি কলার ছড়িতে কমপক্ষে ১০০-১২০টি কলা রয়েছে। যার স্থানীয় পাইকারি ক্রয়মূল্য ৪০০-৪৫০ টাকা; অর্থাৎ প্রতিটি কলার পাইকারি মূল্য দাঁড়াচ্ছে গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা। অথচ একটি কলার খুচরা মূল্য কমপক্ষে ৮ বা ১০ টাকার কম নয়। কলা আবাদ করে কৃষকেরা সুখী।
কলার আবাদ পাল্টে দিয়েছে টাঙ্গাইলের একসময়ের পিছিয়ে পড়া এসব অঞ্চলকে। এখানে এখন সমৃদ্ধি। সেচ-সুবিধা আর একটু দিক-নির্দেশনা তাদের এগিয়ে নিয়েছে অনেক দূর। কলাবাজারে বসে বয়স্ক কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। পুরোনো দিনের কথা তাঁদের মনে আছে। পানির জন্য হাহাকার ছিল এই অঞ্চলগুলোতে। টাঙ্গাইল অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বারিড পাইপের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে যেন শুধু সেচ নয়, পৌঁছে দিয়েছে সমৃদ্ধির ঠিকানা। যা এখন ভোগ করছে এলাকার কৃষক সমাজ থেকে শুরু করে সবাই। বাজারে উপস্থিত চাষির মতো বহু চাষি রয়েছেন টাঙ্গাইলে, যাঁরা কলার চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। আর্থসামাজিকভাবেও নিজেদের এগিয়ে নিয়েছেন বহুদূর।
এখানে কৃষক থেকে কৃষকেই ঘটেছে কলা চাষের সম্প্রসারণ। এ ক্ষেত্রে শুধু কলা নয়, যেকোনো বাণিজ্যিক কৃষির সাফল্যই নির্ভর করে কৃষক বা উদ্যোক্তার নিজস্ব উদ্যম, পরিশ্রম এবং আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহারের ওপর। টাঙ্গাইলের কলা চাষের এই বিশাল সাফল্যের পেছনেও অনেক বড় অবদান রেখেছে একসময়ের টাঙ্গাইল অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (টিএডিপি)। একটি বাস্তবমুখী উন্নয়নের পরিকল্পনায় যে গোটা এলাকা বদলে যেতে পারে, তারও অনন্য উদাহরণ এটি। যার ধারাবাহিকতায় এখন কলার পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছে অন্যান্য ফসলও। ফলে গোটা এলাকার কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন; যা ধরে রাখতে এখন দরকার কৃষকের বাজার ব্যবস্থাপনাসহ ছোটখাটো সংকটগুলো সমাধান করা।
আমি বিশ্বাস করি, টাঙ্গাইলের পাহাড়ি মাটিতে এখন যে ধরনের উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল উৎপাদন হচ্ছে, তা দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর জন্য অনুকরণীয়। ফল আবাদি এলাকা হিসেবে এখানে আরও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর রাখবেন স্থানীয় কৃষক ভাইয়েরাও।
গত ডিসেম্বরের কথা। আমরা যাচ্ছিলাম টাঙ্গাইলের মধুপুরের গারোবাজারে। আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু পথ ধরে যাচ্ছিলাম। একটা হালকা কুয়াশার চাদর জড়িয়ে রেখেছে চারপাশ। তখনো সকালের সূর্য মাথা তোলেনি। কুতুবপুর নামের একটা বাজার চোখে পড়ল। কলার হাট। সেখানে থামলাম। শীতের ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মাঠের কলা পৌঁছে গেছে হাটে। কলা বছরব্যাপী উৎপাদিত ফল হলেও শীতে একটু কমই বিক্রি হয়। তারপরও কলার পরিমাণ এবং কলা ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কম নয়। সরগরম বাজারে বেচাকেনায় ব্যস্ত চাষি ও ব্যবসায়ী সবাই।
তিন দশকে বদলে গেছে টাঙ্গাইলের কৃষি। একসময় এ অঞ্চলের ভূমি ছিল চাষের অনুপযোগী। উঁচু-নিচু আর সেচ-স্বল্পতায় খুব একটা ফসল ফলানো সম্ভব হতো না। মনে আছে, আশির দশকের প্রথম দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর, ঘাটাইল, বাসাইল, সাগরদীঘি, গারোবাজার প্রভৃতি অঞ্চলের ভূমিরূপ একই রকম হওয়ায় এ অঞ্চলগুলোয় প্রথম জার্মানি সংস্থা জিটিজেড বারিড পাইপ ইরিগেশন চালু করে। ব্যয়বহুল এ সেচ ব্যবস্থাপনার কারণে টাঙ্গাইলের এই অঞ্চলগুলোতে বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষির দেখা মিলছে। সেচের অভাবে একসময় অভাবে কাটানো স্থানীয় কৃষকেরা এখন বেশ সচ্ছল। এখানকার সমতলীয় উচ্চভূমি, অর্থাৎ ছোট ছোট টিলা ও পাহাড়বেষ্টিত লাল মাটিতে শুধু কলা নয়, আনারসসহ উচ্চমূল্যের ফল-ফসল আবাদে দারুণ উপযোগী এখন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ফল, ফসলের দারুণ বৈচিত্র্য এসেছে এখানে। স্থানীয় কৃষকের কাছে আনারসের পাশাপাশি কলা হয়ে উঠেছে অর্থকরী ফসল। রাস্তার দুই পাশে বিস্তীর্ণ আবাদি এলাকায়ও দেখা মেলে কলাবাগানের। সাগরকলা, চিনিচম্পা, সবরি ও বাংলা কবরিসহ নানা রকম কলার আবাদ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত কলা ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে কুতুবপুর কলাবাজার।
দূরদূরান্ত থেকে সাইকেল অথবা ভ্যানে করে কলা বয়ে আনছেন কৃষক। সকালের সূর্যের আলোয় সেটাও দেখার মতো দৃশ্য। সারি সারি সাইকেলে কলার ছড়ি বাঁধা। ভ্যানে বা অটোরিকশায় কলা আসছে। কলা ঘিরে সকাল সকাল অন্য রকম ব্যস্ততা সেখানে দেখা যায়। কলার বর্তমান বাজারদর, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং দরপতনের নানা কারণ জানা গেল বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে। একজন কলাচাষি বললেন, একটি কলার ছড়ি উৎপাদন করতে সাকল্যে খরচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিটি কলার ছড়ি পাইকারের কাছে বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা করে। ফলে ছড়িপ্রতি লাভ থাকছে ২০০ টাকা। এক পাকি, অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ জমিতে ৫০০টি কলাগাছ রোপণ করা যায়। হিসাব করে দেখা গেল কলা চাষ করে ৩৫ শতাংশ জমি থেকে লাখের ওপর লাভ পাচ্ছেন কৃষক।
সাধারণত একেকটি ছড়িতে ২০ থেকে ২৫ হালি কলা হয়। কথা হয় এই এলাকার কৃষক মালেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর ২ হাজার ২০০টি কলাগাছ আছে। বাজারে এনেছেন ৫০ ছড়ি। সবরি কলার দর বেশি। ৮০০ টাকা ছড়িপ্রতি দাম বলে গেছেন পাইকার। অপেক্ষায় আছেন আরেকটু বেশি দাম পাওয়ার।
সেচের সুবিধা পেয়ে একসময় অল্পবিস্তরে কলার আবাদ শুরু হলেও কলা চাষের অন্যতম এক ক্ষেত্র এখন টাঙ্গাইলের সখীপুর। বছর গেছে আর একজন কৃষকের সাফল্য দেখে অন্য কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন নতুন করে কলা চাষে। সবখানেই কৃষকের নিজস্ব ও টেকসই কিছু পদ্ধতি থাকে ফল পাকানো ও বাজারজাত করার। এখানেও কলা পাকানোর জন্য রয়েছে কৃষকের নানা কৌশল। কিন্তু তা যেন বাণিজ্যিক চাহিদার দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ না হয়ে ওঠে। বাজারে উপস্থিত কলাচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য বিবেচনায় রেখেই তাঁরা কলা পাকান। মনে আছে বেশ কয়েক বছর আগেও একবার ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার স্থানীয় এক কলাবাজারে কৃষকের নিজস্ব উদ্যোগে স্বাস্থ্যকর উপায়ে কলা পাকানোর চিত্র তুলে ধরেছিলাম।
টাঙ্গাইলের কলার চাষ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আধুনিক কৃষির জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে এখানেও কলা চাষে বৈচিত্র্য এসেছে। দু-একবার কলা চাষে বিপর্যয় ঘটলেও কলার আবাদ কমেনি; বরং দিনে দিনে কলার চাষ বেড়েছে। বহু শিক্ষিত তরুণ কলাচাষে যুক্ত হয়ে পেয়েছেন সাফল্য। অনেক দিন পর আবার কুতুবপুর কলাবাজারে যাওয়ার সুযোগ হলো। সেখানে কলাচাষিদের কাছেই জানা গেল, কোনো কোনো চাষির কলা জমিতেই বিক্রি হয়। আবার অনেকের কলা বাগানসহ বিক্রি হয়ে যায়। তবে বেশির ভাগ কৃষক কলা সরাসরি বাজারেই বিক্রি করে থাকেন। একেকটি কলার ছড়িতে কমপক্ষে ১০০-১২০টি কলা রয়েছে। যার স্থানীয় পাইকারি ক্রয়মূল্য ৪০০-৪৫০ টাকা; অর্থাৎ প্রতিটি কলার পাইকারি মূল্য দাঁড়াচ্ছে গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা। অথচ একটি কলার খুচরা মূল্য কমপক্ষে ৮ বা ১০ টাকার কম নয়। কলা আবাদ করে কৃষকেরা সুখী।
কলার আবাদ পাল্টে দিয়েছে টাঙ্গাইলের একসময়ের পিছিয়ে পড়া এসব অঞ্চলকে। এখানে এখন সমৃদ্ধি। সেচ-সুবিধা আর একটু দিক-নির্দেশনা তাদের এগিয়ে নিয়েছে অনেক দূর। কলাবাজারে বসে বয়স্ক কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। পুরোনো দিনের কথা তাঁদের মনে আছে। পানির জন্য হাহাকার ছিল এই অঞ্চলগুলোতে। টাঙ্গাইল অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বারিড পাইপের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে যেন শুধু সেচ নয়, পৌঁছে দিয়েছে সমৃদ্ধির ঠিকানা। যা এখন ভোগ করছে এলাকার কৃষক সমাজ থেকে শুরু করে সবাই। বাজারে উপস্থিত চাষির মতো বহু চাষি রয়েছেন টাঙ্গাইলে, যাঁরা কলার চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। আর্থসামাজিকভাবেও নিজেদের এগিয়ে নিয়েছেন বহুদূর।
এখানে কৃষক থেকে কৃষকেই ঘটেছে কলা চাষের সম্প্রসারণ। এ ক্ষেত্রে শুধু কলা নয়, যেকোনো বাণিজ্যিক কৃষির সাফল্যই নির্ভর করে কৃষক বা উদ্যোক্তার নিজস্ব উদ্যম, পরিশ্রম এবং আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহারের ওপর। টাঙ্গাইলের কলা চাষের এই বিশাল সাফল্যের পেছনেও অনেক বড় অবদান রেখেছে একসময়ের টাঙ্গাইল অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (টিএডিপি)। একটি বাস্তবমুখী উন্নয়নের পরিকল্পনায় যে গোটা এলাকা বদলে যেতে পারে, তারও অনন্য উদাহরণ এটি। যার ধারাবাহিকতায় এখন কলার পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছে অন্যান্য ফসলও। ফলে গোটা এলাকার কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন; যা ধরে রাখতে এখন দরকার কৃষকের বাজার ব্যবস্থাপনাসহ ছোটখাটো সংকটগুলো সমাধান করা।
আমি বিশ্বাস করি, টাঙ্গাইলের পাহাড়ি মাটিতে এখন যে ধরনের উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল উৎপাদন হচ্ছে, তা দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর জন্য অনুকরণীয়। ফল আবাদি এলাকা হিসেবে এখানে আরও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর রাখবেন স্থানীয় কৃষক ভাইয়েরাও।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে