সম্পাদকীয়
জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়ে গেছে। এ সময়টা আমাদের দেশে আম-কাঁঠাল-জামের মৌসুম। এ সময়ে সারা দেশের মানুষ প্রিয় ফল খাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দিয়ে দেশের অধিকাংশ চাহিদা পূরণ হয়। তবে কয়েক বছর হলো এখানকার আমবাগানে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এখানে একদিকে যেমন এখন আম বিক্রির উৎসব ভাব বিরাজ করছে, অপরদিকে অনেক আমগাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে। মূলত ‘কালটার’ নামে একধরনের রাসায়নিক বছরের পর বছর ধরে আমগাছে ব্যবহারের কারণে সেই গাছগুলোয় আর আম ধরছে না। কালটার মূলত ফলন বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এখান বিঘার পর বিঘা জমির আমগাছে আর ফল আসছে না। তাই চাষিরা বাধ্য হয়ে গাছ কেটে ফেলছেন। এ নিয়ে ১৪ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, এই রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে কয়েক বছর ভালোই আম পাওয়া গেছে। কিন্তু এখন আর সেভাবে ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত কালটার অতিরিক্ত ব্যবহারের মাশুল দিতে হচ্ছে এখন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এখন শুধু আমবাগান ধ্বংসের চিত্রই চোখে পড়ছে। অপরদিকে গাছ কাটার কারণে কাঠ চেরাইয়ের জন্য জেলাজুড়ে বাগানের ভেতরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য করাতকল।
কালটার রাসায়নিক ভারত থেকে চোরাই পথে এসব এলাকায় আসে। ওই এলাকার বাগানমালিকেরা নিজেরা আমের চাষ করেন না, তাঁরা ব্যবসায়ীদের কাছে বাগান বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের লোভে পড়ে বেশি ফলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন। ব্যবসায়ীরা বাগানমালিকদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ অপকর্মটি করেছেন। রাসায়নিক ব্যবহারেরও নিয়ম আছে। কিন্তু তাঁরা সেটা মানেননি। সঠিক মাত্রায় এই রাসায়নিক ব্যবহার না করার কারণে গাছ দিন দিন ফল ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের আমবাগান উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় ইতিমধ্যে অনেক গাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে। অবৈধ পথে আসা এই কালটার ভারতে বিভিন্ন এক বা দুই ফসলি জমিতে অধিক ফলনের জন্য ব্যবহার করা হয়; বিশেষ করে বেগুন, টমেটো, মরিচ, সরিষা, মিষ্টিকুমড়া প্রভৃতি এক ফসলের খেতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমগাছের মতো বহু বছর ধরে ফল দেয়—এমন গাছের জন্য এটি ভয়ানক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক নিয়মে এক বছর আমের বাম্পার ফলন হলে পরের বছর ফলন হয় কম। তাই বলে ফলন বাড়ানোর জন্য আমের বাগানে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে শুধু গাছের নয়, বরং ওই সব গাছের ফল খেলে মানুষেরও ক্ষতি হতে পারে।
এখন দরকার কালটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কালটার ব্যবহার নিয়ে চাষিদের সচেতন করাও দরকার।
জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়ে গেছে। এ সময়টা আমাদের দেশে আম-কাঁঠাল-জামের মৌসুম। এ সময়ে সারা দেশের মানুষ প্রিয় ফল খাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দিয়ে দেশের অধিকাংশ চাহিদা পূরণ হয়। তবে কয়েক বছর হলো এখানকার আমবাগানে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এখানে একদিকে যেমন এখন আম বিক্রির উৎসব ভাব বিরাজ করছে, অপরদিকে অনেক আমগাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে। মূলত ‘কালটার’ নামে একধরনের রাসায়নিক বছরের পর বছর ধরে আমগাছে ব্যবহারের কারণে সেই গাছগুলোয় আর আম ধরছে না। কালটার মূলত ফলন বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এখান বিঘার পর বিঘা জমির আমগাছে আর ফল আসছে না। তাই চাষিরা বাধ্য হয়ে গাছ কেটে ফেলছেন। এ নিয়ে ১৪ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, এই রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে কয়েক বছর ভালোই আম পাওয়া গেছে। কিন্তু এখন আর সেভাবে ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত কালটার অতিরিক্ত ব্যবহারের মাশুল দিতে হচ্ছে এখন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এখন শুধু আমবাগান ধ্বংসের চিত্রই চোখে পড়ছে। অপরদিকে গাছ কাটার কারণে কাঠ চেরাইয়ের জন্য জেলাজুড়ে বাগানের ভেতরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য করাতকল।
কালটার রাসায়নিক ভারত থেকে চোরাই পথে এসব এলাকায় আসে। ওই এলাকার বাগানমালিকেরা নিজেরা আমের চাষ করেন না, তাঁরা ব্যবসায়ীদের কাছে বাগান বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের লোভে পড়ে বেশি ফলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন। ব্যবসায়ীরা বাগানমালিকদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ অপকর্মটি করেছেন। রাসায়নিক ব্যবহারেরও নিয়ম আছে। কিন্তু তাঁরা সেটা মানেননি। সঠিক মাত্রায় এই রাসায়নিক ব্যবহার না করার কারণে গাছ দিন দিন ফল ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের আমবাগান উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় ইতিমধ্যে অনেক গাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে। অবৈধ পথে আসা এই কালটার ভারতে বিভিন্ন এক বা দুই ফসলি জমিতে অধিক ফলনের জন্য ব্যবহার করা হয়; বিশেষ করে বেগুন, টমেটো, মরিচ, সরিষা, মিষ্টিকুমড়া প্রভৃতি এক ফসলের খেতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমগাছের মতো বহু বছর ধরে ফল দেয়—এমন গাছের জন্য এটি ভয়ানক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক নিয়মে এক বছর আমের বাম্পার ফলন হলে পরের বছর ফলন হয় কম। তাই বলে ফলন বাড়ানোর জন্য আমের বাগানে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে শুধু গাছের নয়, বরং ওই সব গাছের ফল খেলে মানুষেরও ক্ষতি হতে পারে।
এখন দরকার কালটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কালটার ব্যবহার নিয়ে চাষিদের সচেতন করাও দরকার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে