সম্পাদকীয়
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। তিনি কল্লোল যুগের অন্যতম লেখক ছিলেন।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী শহরে। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল মাদারীপুরে। তাঁর শৈশবজীবন কাটে নোয়াখালীতে। পিতার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় বড় দাদার কাছে চলে যান। সেখানকার সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ এবং ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ও পরে বিএল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯২৫ সালে তিনি ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। কিছুদিন কাজ করেছেন ‘বিচিত্রা’য়ও। ১৯৩১ সালে মুন্সেফ হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে সাবজজ, জেলা জজ এবং ল কমিশনের স্পেশাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর নেন ১৯৬০ সালে।
কলেজে পড়াকালীন সাহিত্যচর্চা শুরু করেন অচিন্ত্যকুমার। তখন তাঁর লেখা ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় পাঠাতে শুরু করেন। কিন্তু লেখা তো আর প্রকাশ হয় না। বারবার নাকচ হয়ে যায়। এরপর কৌশল করে এক বন্ধুর কথামতো নারীর নামে কবিতা পাঠান! তিনি নিজের নাম রাখেন ‘নীহারিকা দেবী’। এরপর তাঁর ‘প্রভাতে’ কবিতাটি পত্রিকায় পাঠালেন ওই ছদ্মনামে। আশ্চর্যজনকভাবে এবার তাঁর কবিতাটি পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যায় প্রকাশিত হলো। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৭০। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কাকজ্যোৎস্না, বিবাহের চেয়ে বড়, প্রাচীর ও প্রান্তর, প্রথম কদমফুল। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অমাবস্যা, আমরা, প্রিয়া ও পৃথিবী, নীল আকাশ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তরায়ণ। লিখেছেন জীবনীগ্রন্থও, যেমন পরম পুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, বীরেশ্বর বিবেকানন্দ। বাদ দেননি গল্পগ্রন্থ—টুটাফুটা, কাঠ খড় কেরোসিন, চাষাভূষা, একরাত্রি ইত্যাদি। লিখেছেন নাটকের বই—একাঙ্ক নাট্য-সংকলন। তাঁর স্মৃতিচারণামূলক রচনা ‘কল্লোল যুগ’ পাঠক মহলে বেশ সাড়া জাগায়।
১৯৭৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। তিনি কল্লোল যুগের অন্যতম লেখক ছিলেন।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী শহরে। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল মাদারীপুরে। তাঁর শৈশবজীবন কাটে নোয়াখালীতে। পিতার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় বড় দাদার কাছে চলে যান। সেখানকার সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ এবং ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ও পরে বিএল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯২৫ সালে তিনি ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। কিছুদিন কাজ করেছেন ‘বিচিত্রা’য়ও। ১৯৩১ সালে মুন্সেফ হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে সাবজজ, জেলা জজ এবং ল কমিশনের স্পেশাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর নেন ১৯৬০ সালে।
কলেজে পড়াকালীন সাহিত্যচর্চা শুরু করেন অচিন্ত্যকুমার। তখন তাঁর লেখা ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় পাঠাতে শুরু করেন। কিন্তু লেখা তো আর প্রকাশ হয় না। বারবার নাকচ হয়ে যায়। এরপর কৌশল করে এক বন্ধুর কথামতো নারীর নামে কবিতা পাঠান! তিনি নিজের নাম রাখেন ‘নীহারিকা দেবী’। এরপর তাঁর ‘প্রভাতে’ কবিতাটি পত্রিকায় পাঠালেন ওই ছদ্মনামে। আশ্চর্যজনকভাবে এবার তাঁর কবিতাটি পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যায় প্রকাশিত হলো। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৭০। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কাকজ্যোৎস্না, বিবাহের চেয়ে বড়, প্রাচীর ও প্রান্তর, প্রথম কদমফুল। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অমাবস্যা, আমরা, প্রিয়া ও পৃথিবী, নীল আকাশ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তরায়ণ। লিখেছেন জীবনীগ্রন্থও, যেমন পরম পুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, বীরেশ্বর বিবেকানন্দ। বাদ দেননি গল্পগ্রন্থ—টুটাফুটা, কাঠ খড় কেরোসিন, চাষাভূষা, একরাত্রি ইত্যাদি। লিখেছেন নাটকের বই—একাঙ্ক নাট্য-সংকলন। তাঁর স্মৃতিচারণামূলক রচনা ‘কল্লোল যুগ’ পাঠক মহলে বেশ সাড়া জাগায়।
১৯৭৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে