অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

সম্পাদকীয়
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮: ০৮

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। তিনি কল্লোল যুগের অন্যতম লেখক ছিলেন।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী শহরে। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল মাদারীপুরে। তাঁর শৈশবজীবন কাটে নোয়াখালীতে। পিতার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় বড় দাদার কাছে চলে যান। সেখানকার সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ এবং ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ও পরে বিএল ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯২৫ সালে তিনি ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। কিছুদিন কাজ করেছেন ‘বিচিত্রা’য়ও। ১৯৩১ সালে মুন্সেফ হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে সাবজজ, জেলা জজ এবং ল কমিশনের স্পেশাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর নেন ১৯৬০ সালে।

কলেজে পড়াকালীন সাহিত্যচর্চা শুরু করেন অচিন্ত্যকুমার। তখন তাঁর লেখা ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় পাঠাতে শুরু করেন। কিন্তু লেখা তো আর প্রকাশ হয় না। বারবার নাকচ হয়ে যায়। এরপর কৌশল করে এক বন্ধুর কথামতো নারীর নামে কবিতা পাঠান! তিনি নিজের নাম রাখেন ‘নীহারিকা দেবী’। এরপর তাঁর ‘প্রভাতে’ কবিতাটি পত্রিকায় পাঠালেন ওই ছদ্মনামে। আশ্চর্যজনকভাবে এবার তাঁর কবিতাটি পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যায় প্রকাশিত হলো। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৭০। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কাকজ্যোৎস্না, বিবাহের চেয়ে বড়, প্রাচীর ও প্রান্তর, প্রথম কদমফুল। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অমাবস্যা, আমরা, প্রিয়া ও পৃথিবী, নীল আকাশ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তরায়ণ। লিখেছেন জীবনীগ্রন্থও, যেমন পরম পুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, বীরেশ্বর বিবেকানন্দ। বাদ দেননি গল্পগ্রন্থ—টুটাফুটা, কাঠ খড় কেরোসিন, চাষাভূষা, একরাত্রি ইত্যাদি। লিখেছেন নাটকের বই—একাঙ্ক নাট্য-সংকলন। তাঁর স্মৃতিচারণামূলক রচনা ‘কল্লোল যুগ’ পাঠক মহলে বেশ সাড়া জাগায়।

১৯৭৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত