চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি আসনের উপনির্বাচনেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। উভয় আসনে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ। এ আসনে নৌকার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন।

আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান। এ আসনে নৌকার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খুরশিদ আলম বাচ্চু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল ওদুদের সঙ্গে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের।ভোটাররাও দুজনকে নিয়ে মুখ খুলছেন না।

আব্দুল ওদুদ বলেন, সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েই নৌকার বিজয় হবে। যাঁরা ষড়যন্ত্র করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দলের একটি অংশের ইন্ধনে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক প্রার্থী হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সদর আসনে ১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ জয় পায় আব্দুল ওদুদের হাত ধরেই। তিনি প্রথম ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।

নির্বাচনের মাঠে দুটি বিষয় মাথায় রেখে এগোচ্ছেন সামিউল হক লিটন। একটি হলো স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে যাঁরা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের বিরোধী পক্ষ আছেন, তাঁদের সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ভোট আদায় করতে পারলে জয়ের হাওয়া তাঁর পালে লাগার আশা করছেন।

সামিউল হক লিটন বলেন, পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা করার ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমা পাওয়ার জন্য তিনি দরখাস্ত করেননি। তাই এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খুরশিদ আলম বাচ্চু বিএনপি-জামায়াতের ভোটের আশা করছেন। তিনি গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে ওই আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

 মু. খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমি এমপি হয়ে জনসেবা করার জন্য রাজনীতি করি। এ জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলাম। দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে পাইনি। তাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া অন্যায়। দল বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তারপরও তাঁরা আবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপির সংসদ সদস্য 
হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় আসন দুটি শূন্য হয়।