লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার তবুও মিলছে না সার

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৫৬

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে রোপা আমন মৌসুমে সারসংকট দেখা দিয়েছে। ডিলারদের কাছে সার নিতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। তাঁদের দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে সার না পেয়ে ফিরে যান। খোলাবাজারে প্রয়োজনের তুলনায় সার পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও তা তুলনামূলক কম।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সারের সংকট নেই। কৃষকেরা এ সংকট তৈরি করছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। ওই পরিমাণ জমিতে প্রয়োগের জন্য সারের কোনো কমতি নেই। এ উপজেলায় ২০ জন সার ডিলার রয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে গত মাসে ৫৭৬ টন সার বিক্রি করা হয়েছে। চলতি মাসে সারের বরাদ্দ রয়েছে ৪২৭ টন। প্রত্যেক সার ডিলার পয়েন্টে কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে সার বিক্রি করছেন।

কৃষকেরা জানান, এখন মাঠপর্যায়ে কাজের সময়। কাজ রেখে ডিলারদের দোকানে সার কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই সার না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যাঁরা সার পাচ্ছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যার প্রয়োজন চার বস্তা তিনি পাচ্ছেন মাত্র এক বস্তা। তিন থেকে চার দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সার পাননি বলে দাবি করছেন কৃষকেরা।

চর ডাকাতিয়াপাড়ার কৃষক নুন্দু মিয়া জানান, এ বছর আট বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন তিনি। তিন দিন ডিলারের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার পাননি। গত বৃহস্পতিবার লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র এক বস্তা সার পেয়েছেন। অথচ তাঁর প্রয়োজন চার বস্তা সার।

পূর্ব কাজলাপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘তিন দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার পাইনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সার না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় আমন চাষ পিছিয়েছে। সার না পেলে রোপা আমনের আবাদ ভালো হবে না।’

বিসিআইসি ডিলারের প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চাষিপ্রতি এক বস্তা করে ৪০০ চাষির মধ্যে ৪০০ বস্তা সার বিক্রি করেছি। আমার গুদামে আর সার নেই। শুক্রবার ২৫০ বস্তা সার বরাদ্দ পাব।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ উপজেলায় গত বছরের সমপরিমাণ বরাদ্দ সার এ বছরও বরাদ্দ পাচ্ছেন ডিলারলা। সুষ্ঠুভাবে সার বিক্রির জন্য কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকছেন। সার সংকটের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা জানান, কৃষকদের অভিযোগ সত্যি নয়। এ উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে সার বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষকেরা পরে সারের দাম বৃদ্ধি পাবে ও সংকট দেখা দেবে ভেবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার কিনে রাখতে চান।

প্রত্যেক কৃষক তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সার পাবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত