সম্পাদকীয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘লাইব্রেরি’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেউ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই পাঠাগারের তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে। মানবাত্মার অমর আলোক কাল অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।’ তাঁর এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, একটি গ্রন্থাগার আমাদের সামাজিক জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে বইয়ের ভূমিকা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। একটি সমাজকাঠামো বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
কোনো একটি এলাকার গ্রন্থাগারের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গণগ্রন্থাগার যে ২৯ বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে, তা দুঃখজনক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে মধুপুর গণগ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয়, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পরেই এর ওপর যেন শনির দশা পড়ে! ২৯ বছরে তিনবার স্থান বদল হলেও এটি কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থাগারের মর্যাদা পায়নি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, গ্রন্থাগারটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এবং সরকারি বরাদ্দ পেলেও পাঠকদের জন্য এর দরজা এখনো বন্ধ রয়েছে!
ইন্টারনেটের এই সময়ে মানুষ অবসরের বেশির ভাগটাই ব্যয় করছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা এই মাধ্যমে নিমগ্ন হয়ে থাকছে। শুধু সময় ব্যয়ই নয়, ক্ষতিকর অনেক সাইট বা অ্যাপে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হয়ে উঠছে অনেকে। এ সময়টাতে তারা যদি গ্রন্থাগারের মাধ্যমে বই পড়ায় মনোনিবেশ করত, তাহলে তাদের বিপথগামী না হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে খারাপ নেশা থেকে তাদের বের করে এনে উন্নত মনের মানুষে পরিণত করা সম্ভব ছিল।
দেশের প্রায় অনেক জায়গায় সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। কিন্তু এগুলো ভালোভাবে চলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এসব গ্রন্থাগারে বই ও অর্থ অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তার পরেও দেশের অনেক জায়গায় এই সরকারি গ্রন্থাগারগুলো ভালোভাবে চলছে না। প্রশাসনিক অবহেলা এর অন্যতম কারণ।
৫ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। জাতীয়ভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জনগণের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। কিন্তু দিবসটি এলে আমরা বরং দেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারের জীর্ণ দশাই দেখতে পাই।
মধুপুর গণগ্রন্থাগারটি এত বছর ধরে বন্ধ থাকার অন্যতম কারণ হলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অবহেলা। তাই বন্ধ গ্রন্থাগার চালু করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সেটাই আমাদের একান্ত চাওয়া।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘লাইব্রেরি’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেউ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই পাঠাগারের তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে। মানবাত্মার অমর আলোক কাল অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।’ তাঁর এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, একটি গ্রন্থাগার আমাদের সামাজিক জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে বইয়ের ভূমিকা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। একটি সমাজকাঠামো বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
কোনো একটি এলাকার গ্রন্থাগারের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গণগ্রন্থাগার যে ২৯ বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে, তা দুঃখজনক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে মধুপুর গণগ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয়, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পরেই এর ওপর যেন শনির দশা পড়ে! ২৯ বছরে তিনবার স্থান বদল হলেও এটি কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থাগারের মর্যাদা পায়নি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, গ্রন্থাগারটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এবং সরকারি বরাদ্দ পেলেও পাঠকদের জন্য এর দরজা এখনো বন্ধ রয়েছে!
ইন্টারনেটের এই সময়ে মানুষ অবসরের বেশির ভাগটাই ব্যয় করছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা এই মাধ্যমে নিমগ্ন হয়ে থাকছে। শুধু সময় ব্যয়ই নয়, ক্ষতিকর অনেক সাইট বা অ্যাপে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হয়ে উঠছে অনেকে। এ সময়টাতে তারা যদি গ্রন্থাগারের মাধ্যমে বই পড়ায় মনোনিবেশ করত, তাহলে তাদের বিপথগামী না হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে খারাপ নেশা থেকে তাদের বের করে এনে উন্নত মনের মানুষে পরিণত করা সম্ভব ছিল।
দেশের প্রায় অনেক জায়গায় সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। কিন্তু এগুলো ভালোভাবে চলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এসব গ্রন্থাগারে বই ও অর্থ অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তার পরেও দেশের অনেক জায়গায় এই সরকারি গ্রন্থাগারগুলো ভালোভাবে চলছে না। প্রশাসনিক অবহেলা এর অন্যতম কারণ।
৫ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। জাতীয়ভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জনগণের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। কিন্তু দিবসটি এলে আমরা বরং দেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারের জীর্ণ দশাই দেখতে পাই।
মধুপুর গণগ্রন্থাগারটি এত বছর ধরে বন্ধ থাকার অন্যতম কারণ হলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অবহেলা। তাই বন্ধ গ্রন্থাগার চালু করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সেটাই আমাদের একান্ত চাওয়া।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪