সম্পাদকীয়
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি খণ্ড খণ্ড মিছিল বের হয়েছিল। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে পুলিশ মেডিকেল ব্যারাকে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল। প্রথমে শিক্ষার্থীরা ভেবেছিলেন এটা ফাঁকা আওয়াজ। কিন্তু রফিক উদ্দিন আহমদ যখন গুলির আঘাতে পড়ে গেলেন, তাঁর মাথার খুলি উড়ে গেল, মাথা থেকে মগজ বের হয়ে ছড়িয়ে পড়ল রাস্তায়, তখনই কেবল বোঝা গেল, এটা ফাঁকা আওয়াজ ছিল না। সত্যিই গুলি ছুড়েছিল পুলিশ। সেদিন পলাশী ব্যারাকে পুলিশের গুলিতে আরও শহীদ হয়েছিলেন আবদুল জব্বার ও আবুল বরকত। গুলি লেগে হাসপাতালে থাকার পর ৭ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন আবদুস সালাম।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বিদায়ী ছাত্র। সেই ছমছমে পরিবেশে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন ভাষাশহীদ রফিকের খুলিহীন লাশ। দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে সে লাশ দেখার পর কবির মনে হয়, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখটি রক্তে রাঙানো হয়ে গেছে আমার এই ভাইয়ের শোণিত-ধারায়’। সে রাতেই কবিতাটি লিখতে শুরু করেন তিনি।
লিখতে শুরু করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু কবিতাটি সেদিনই লিখে শেষ করতে পারেননি। বেশ কয়েক দিন ধরে কবিতাটি লেখা হয়। পরে গান হিসেবে স্বীকৃত এই রচনাটির প্রথম চরণ লেখা হয়েছিল কবিতা হিসেবেই। এটিই একুশের গান: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। ১৯৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে তৎকালীন ব্রিটানিয়া সিনেমা হলে আবদুল লতিফের সুরে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক প্রকাশিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনে একুশের গান হিসেবে এটি প্রকাশিত হয় সে বছরেরই মার্চ মাসে। পরে সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি পরিণত হয় কিংবদন্তি গানে।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, এম আর মাহবুব, একুশের যত প্রথম
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি খণ্ড খণ্ড মিছিল বের হয়েছিল। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে পুলিশ মেডিকেল ব্যারাকে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল। প্রথমে শিক্ষার্থীরা ভেবেছিলেন এটা ফাঁকা আওয়াজ। কিন্তু রফিক উদ্দিন আহমদ যখন গুলির আঘাতে পড়ে গেলেন, তাঁর মাথার খুলি উড়ে গেল, মাথা থেকে মগজ বের হয়ে ছড়িয়ে পড়ল রাস্তায়, তখনই কেবল বোঝা গেল, এটা ফাঁকা আওয়াজ ছিল না। সত্যিই গুলি ছুড়েছিল পুলিশ। সেদিন পলাশী ব্যারাকে পুলিশের গুলিতে আরও শহীদ হয়েছিলেন আবদুল জব্বার ও আবুল বরকত। গুলি লেগে হাসপাতালে থাকার পর ৭ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন আবদুস সালাম।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বিদায়ী ছাত্র। সেই ছমছমে পরিবেশে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন ভাষাশহীদ রফিকের খুলিহীন লাশ। দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে সে লাশ দেখার পর কবির মনে হয়, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখটি রক্তে রাঙানো হয়ে গেছে আমার এই ভাইয়ের শোণিত-ধারায়’। সে রাতেই কবিতাটি লিখতে শুরু করেন তিনি।
লিখতে শুরু করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু কবিতাটি সেদিনই লিখে শেষ করতে পারেননি। বেশ কয়েক দিন ধরে কবিতাটি লেখা হয়। পরে গান হিসেবে স্বীকৃত এই রচনাটির প্রথম চরণ লেখা হয়েছিল কবিতা হিসেবেই। এটিই একুশের গান: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। ১৯৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে তৎকালীন ব্রিটানিয়া সিনেমা হলে আবদুল লতিফের সুরে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক প্রকাশিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনে একুশের গান হিসেবে এটি প্রকাশিত হয় সে বছরেরই মার্চ মাসে। পরে সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি পরিণত হয় কিংবদন্তি গানে।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, এম আর মাহবুব, একুশের যত প্রথম
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪