আদানির সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা উচিত বাংলাদেশের, পরামর্শ ভারতের 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ০৫
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৪৪

বাংলাদেশের উচিত আদানির সঙ্গে বসে বিদ্যুতের বিল বকেয়াসংক্রান্ত যে সমস্যা আছে, তা সমাধান করা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এই পরামর্শ দিয়েছে। সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জ্যাসওয়াল এই পরামর্শ দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

রণধীর জ্যাসওয়াল বলেন, আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং তাই বিষয়টি সেভাবেই মোকাবিলা করা উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যেটি উল্লেখ করছেন, তা একটি বেসরকারি প্রকল্প। এটি দুটি পক্ষের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতা চুক্তি দ্বারা সীমাবদ্ধ। এখানে একটি পক্ষ ভারতীয়, অপর পক্ষ বাংলাদেশি। এই চুক্তি বা ব্যবস্থা কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে এ দুই পক্ষ।’ 

বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যে চুক্তি, সেটির শর্তাবলি পর্যালোচনা করতে প্রস্তুত। এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি করেছিলেন। 
 
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে তা তাদেরই (বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপ) বসে সমাধান করতে হবে।’ 

আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ২৫ বছরের জন্য ১৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তি করেছিল। চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ আদানির গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতভাগ কিনবে বলে আশা করা হয়েছিল। গোড্ডা প্ল্যান্ট ২০২৩ সালের এপ্রিলে চালু হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আদানি ঢাকাকে জানিয়েছে তারা বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলার এখনো পায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত