সম্পাদকীয়
হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলেন তাঁদের কোনো জায়গাজমি কিংবা ঘরবাড়ি নেই। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাঁদের বাড়িতেই সন্তানসহ থাকতে হতো তাঁকে। একজন মানুষ এ রকম পরজীবী হয়ে থাকলে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন।
মুজিববর্ষ আকতার বানুকে একটা চমক উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ মুজিববর্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা করলেও করোনা মহামারির কারণে তার কিছু কিছু বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ফলে সেই বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর আবাসন কার্যক্রমে শামিল হয়েছে এবং গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। বহু নিরানন্দ খবরের পাশে এ খবরটি স্বস্তি দেয়।
অনেকেরই মনে হতে পারে এ আর এমন কী। সরকারি টাকাই তো খরচ করেছে পুলিশ। এতে বাহ্বা দেওয়ার কী আছে? ঠান্ডা মাথায় একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’—প্রচলিত এ বাক্যটি এখনো তার তাৎপর্য হারায়নি। সরকারি টাকা মেরে খাওয়ার নজির খুঁজতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। কাজের চেয়ে কথায় পারদর্শী হলে উন্নয়নকাজ থাকে সংখ্যায়, বাস্তবে তার দেখা পাওয়া যায় না। সে রকম ঘটনা ঘটানোর জন্য কত ধুরন্ধর মানুষই না চেষ্টা করে যাচ্ছে! পুলিশ কর্তৃপক্ষ যদি বেঁচে যাওয়া এই টাকাগুলো হাপিস করে দিত, তাহলে কেউ সে খবর রাখত না। দরিদ্রের জন্য কাজ করার কথা বলে কত মানুষ বড়লোক হয়ে গেল, অথচ দরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন হলো না। বিভিন্ন এনজিও-মারফত দিন বদলানোর স্বপ্ন যারা দেখেছে, তাদের হতাশ্বাসের শব্দ এখনো পাওয়া যায়। এ রকম ঘটনাও অনেক। তাই নিঃসম্বল নিঃসহায় আকতার বানু পুলিশের অর্থায়নে ছোট একটি বাড়ি পেয়েছেন, এ খবরটির ব্যাপ্তি মোটেই ছোট নয়।
একটি আপাত দূরবর্তী উদাহরণ দিই। আমরা খেয়াল করে দেখিনি, কী অসাধ্যসাধন করছেন আমাদের কৃষকেরা। ছোট্ট একটি জনবহুল দেশকে যেভাবে খাদ্যসম্ভার দিয়ে ভরিয়ে রেখেছেন তাঁরা, তার খবর কে রাখে? একেবারেই দরিদ্র অবস্থায় বসবাস করে দেশবাসীর জন্য বছর ধরে এই ফলন উপহার দেন কৃষক। তাঁরাই সাহস করে জানিয়ে দেন, একেবারে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু মাঠের সেই নায়ক আমাদের সমগ্র ভাবনাজগৎ থেকে নির্বাসিতপ্রায়। ছোট ছোট জমিতে চাষ করে তাঁরা যে বাংলাদেশকে পাল্টে দিচ্ছেন, তাতে এ দেশের নায়ক খুঁজতে কি দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন আছে? এই দিক বিবেচনা করে দেখলে ছোট ছোট সুসংবাদ কেন আমাদের জীবনের পাথেয় হওয়ার ক্ষমতা রাখে, সে কথা বোঝা যাবে।
আকতার বানুর মতো আরও অনেক ভূমিহীন নিঃসম্বল মানুষের ভাগ্য ইতিবাচকভাবে বদলে যাক, শুরু হোক সেই প্রক্রিয়া।
হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলেন তাঁদের কোনো জায়গাজমি কিংবা ঘরবাড়ি নেই। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাঁদের বাড়িতেই সন্তানসহ থাকতে হতো তাঁকে। একজন মানুষ এ রকম পরজীবী হয়ে থাকলে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন।
মুজিববর্ষ আকতার বানুকে একটা চমক উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ মুজিববর্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা করলেও করোনা মহামারির কারণে তার কিছু কিছু বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ফলে সেই বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর আবাসন কার্যক্রমে শামিল হয়েছে এবং গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। বহু নিরানন্দ খবরের পাশে এ খবরটি স্বস্তি দেয়।
অনেকেরই মনে হতে পারে এ আর এমন কী। সরকারি টাকাই তো খরচ করেছে পুলিশ। এতে বাহ্বা দেওয়ার কী আছে? ঠান্ডা মাথায় একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’—প্রচলিত এ বাক্যটি এখনো তার তাৎপর্য হারায়নি। সরকারি টাকা মেরে খাওয়ার নজির খুঁজতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। কাজের চেয়ে কথায় পারদর্শী হলে উন্নয়নকাজ থাকে সংখ্যায়, বাস্তবে তার দেখা পাওয়া যায় না। সে রকম ঘটনা ঘটানোর জন্য কত ধুরন্ধর মানুষই না চেষ্টা করে যাচ্ছে! পুলিশ কর্তৃপক্ষ যদি বেঁচে যাওয়া এই টাকাগুলো হাপিস করে দিত, তাহলে কেউ সে খবর রাখত না। দরিদ্রের জন্য কাজ করার কথা বলে কত মানুষ বড়লোক হয়ে গেল, অথচ দরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন হলো না। বিভিন্ন এনজিও-মারফত দিন বদলানোর স্বপ্ন যারা দেখেছে, তাদের হতাশ্বাসের শব্দ এখনো পাওয়া যায়। এ রকম ঘটনাও অনেক। তাই নিঃসম্বল নিঃসহায় আকতার বানু পুলিশের অর্থায়নে ছোট একটি বাড়ি পেয়েছেন, এ খবরটির ব্যাপ্তি মোটেই ছোট নয়।
একটি আপাত দূরবর্তী উদাহরণ দিই। আমরা খেয়াল করে দেখিনি, কী অসাধ্যসাধন করছেন আমাদের কৃষকেরা। ছোট্ট একটি জনবহুল দেশকে যেভাবে খাদ্যসম্ভার দিয়ে ভরিয়ে রেখেছেন তাঁরা, তার খবর কে রাখে? একেবারেই দরিদ্র অবস্থায় বসবাস করে দেশবাসীর জন্য বছর ধরে এই ফলন উপহার দেন কৃষক। তাঁরাই সাহস করে জানিয়ে দেন, একেবারে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু মাঠের সেই নায়ক আমাদের সমগ্র ভাবনাজগৎ থেকে নির্বাসিতপ্রায়। ছোট ছোট জমিতে চাষ করে তাঁরা যে বাংলাদেশকে পাল্টে দিচ্ছেন, তাতে এ দেশের নায়ক খুঁজতে কি দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন আছে? এই দিক বিবেচনা করে দেখলে ছোট ছোট সুসংবাদ কেন আমাদের জীবনের পাথেয় হওয়ার ক্ষমতা রাখে, সে কথা বোঝা যাবে।
আকতার বানুর মতো আরও অনেক ভূমিহীন নিঃসম্বল মানুষের ভাগ্য ইতিবাচকভাবে বদলে যাক, শুরু হোক সেই প্রক্রিয়া।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪