Ajker Patrika

হাওয়ায় ভেসে ভেসে

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, ০৮: ৫৭
হাওয়ায় ভেসে ভেসে

শুক্রবার দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে ৬৬টি শো নিয়ে মুক্তি পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। মুক্তির আগে থেকেই সিনেমাটি নিয়ে ছিল দর্শকের প্রবল আগ্রহ। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দুই দিনের দর্শক-সাড়া দেখে বোঝা যাচ্ছে, ‘হাওয়া’র বেগ শিগগিরই থামবে না। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সিনেপ্লেক্সগুলো আগাম টিকিট বিক্রিতে চমক দেখাচ্ছে। সিনেমাটি দেখে বেশির ভাগ দর্শক ইতিবাচক মতামত দিচ্ছেন। দর্শকদের পাশাপাশি তারকারাও মুগ্ধ ‘হাওয়া’য়। ব্যবসা ভালো যাচ্ছে, তাই খুশি সিনেমা হলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও।

প্রথম দুই দিন মধুমিতা হলের প্রতিটি শো হাউসফুল গিয়েছে। ‘হাওয়া’ সত্যিই বাজিমাত করল। গত ৫-৬ বছরে মধুমিতা হলে এমন রেকর্ড আর কোনো সিনেমা করেনি। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। এভাবে যদি দর্শক হলমুখী হন, তাহলে বাংলাদেশের সিনেমার দৃশ্য বদলে যাবে। প্রযোজকেরা নতুন করে ভাববেন। দর্শকেরা ভালো গল্পের সিনেমা চান। আর হাওয়া সিনেমায় ভালো গল্প আছে বলেই তাঁরা এত বেশি বেশি আসছেন। 
ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, মধুমিতা হলের কর্ণধার 

আমরা দিনে চারটি শো পরিচালনা করি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিটি শোর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। এমন ঘটনা সিনেস্কোপের ইতিহাসে আর ঘটেনি। পরের সপ্তাহের টিকিট নিতেও দর্শক সিনেস্কোপে আসছেন। বাংলা সিনেমার জন্য এমন দৃশ্য অভাবনীয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তৃতীয় সপ্তাহেও হাওয়া চালাতে হবে। —মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্মাতা নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ হল

 ৫০ জন মিলে ‘হাওয়া’ দেখতে গিয়েছিলাম। ৩টার শো দেখব। ২টায় শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি, বাজ পড়ছিল। কিন্তু অদ্ভুত, এর মাঝেও আসছে সবাই। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে আগেই পৌঁছে গেছে। এটা শুধু একটা সিনেমা দেখার গল্প না, এটা বন্ধুত্ব। অনেক ভালো লাগছে হাওয়া। তবে দশে সাত। সেটা কেন বোঝার জন্য হলে যেতে হবে। —কাব্য কবীর, সাধারণ দর্শক বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে হাওয়া দেখা শেষে 

সিনেমা দেখেছি সেই দুপুরে, তারপর বিকেল হলো, সন্ধ্যা, আরেকটি দিন ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু মাথা থেকে, চোখ থেকে কিছুই মুছতে পারছি না। ‘হাওয়া’ আজ রাতে আমার ঘুম কেড়ে নিল। ‘হাওয়া’র দল সেই মিথটা তোমাদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে করছে। আসলে আমরা বাঙালিরা ইচ্ছা করলে সব পারি। জয় হোক তোমাদের। নৌকার পালে যখন একবার হাওয়া লেগেছে, এ হাওয়া আমাদের নিয়ে যাবে অনেকদূর। —শিমূল ইউসুফ, অভিনেত্রী

আমার স্ত্রী, মেয়ে, মেয়ের জামাই সবাই মিলে ‘হাওয়া’ দেখেছি। পরিচালক সুমনের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। অভিনয়শিল্পী যারা, প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে নাজিফা তুষির কথা বলতেই হয়। আমার খুবই ভালো লাগছে, কারণ দর্শকের যে জোয়ার, তাঁরা যে বাংলা সিনেমা দেখার জন্য হলে ভিড় করছেন, এটা আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা ইতিবাচক দিক। —আজিজুল হাকিম, অভিনেতা ও নির্মাতা

‘হাওয়া’ সিনেমাটির দ্বিতীয় শো দেখেছি। এটা তো হাওয়া না, ঝড় কিংবা টর্নেডো...! হলভর্তি দর্শক, প্রতিটি সিনে, প্রতিটি ডায়লগে দর্শকের উত্তেজনা, হাসি, শিষ, তালি…আর কী লাগে! পয়সা তো ষোলো আনাই উশুল। এমন দিনের অপেক্ষা বহুদিনের! পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন মধ্যসাগরে এক উন্মাদনার ঝড় তুলেছেন। প্রতিটি চরিত্র সেই ঝড়কে টর্নেডোতে রূপান্তরিত করেছে! —গোলাম ফরিদা ছন্দা, অভিনেত্রী

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত