নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত থাকার পাশাপাশি পুলিশে যোগ হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর-আতঙ্ক। গত ১৫ দিনে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ায় এই আতঙ্ক তীব্র হয়েছে। এই তালিকা আরও লম্বা হবে বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতি পাননি, তাঁরা সরকারের সংকটের সময় বিব্রত করতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের কার্যকলাপে যাতে সরকার বিব্রত না হয়, সে জন্য আগেই সমাধানের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। এখন প্রতিটি ব্যাচ ধরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।
সূত্রটি জানায়, ব্যাচ ধরে ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ১২, ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ থেকে বেশি বাধ্যতামূলক অবসর হতে পারে। ১২ ও ১৫তম ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি হয়েছেন। কিন্তু ওই ব্যাচের অনেকে এখনো এসপি ও অতিরিক্ত ডিআইজি রয়েছেন। যাঁদের দীর্ঘদিন পদোন্নতি হয়নি, তাঁদের মধ্য থেকে আরও কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ১৫-১৬ বছর ধরে এসপি পদমর্যাদায় রয়েছেন। তাঁদের ব্যাচমেটরা পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপি হয়েছেন। এ ছাড়া ১৭ ও ১৮তম ব্যাচে যাঁরা পদোন্নতি পাননি, জট কমাতে তাঁদেরও অবসরে পাঠানো হতে পারে।
সরকার গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। এই তিনজন হলেন পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী।
তাঁদের পর ৩১ অক্টোবর অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তাঁরা হলেন সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. আলমগীর ও টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব হাকিম।
অবসরে পাঠানো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের। আর মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী পিপিএম এবং মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী পিপিএম (সেবা) পদকপ্রাপ্ত।
অবসরের নেপথ্যের কারণ
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বড় কোনো অভিযোগ না থাকলেও সরকার মূলত তাঁদের আস্থায় নিতে পারছে না। তাদের কেউ কেউ এই সরকারের আমলে বিপিএম ও পিপিএম পেলেও তাঁদের নিয়ে সরকার নির্বাচনকালে ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ, নির্বাচনের সময় প্রশাসনে রদবদলের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকবে, তখন সরকারবিদ্বেষী কেউ যদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান, তাহলে তা গলার কাঁটা হতে পারে। তাই এই কর্মকর্তাদের এখনই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকার কাউকে বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত করবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যাঁরা পদ নিয়ে বসে আছেন, ফেসবুকে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক কথা প্রচার করছেন, নিয়মিত অফিস করছেন না, তাঁদের বাহিনীতে রেখে কোনো লাভ নেই। পদোন্নতি না পাওয়ায় তাঁদের কর্মস্পৃহা লোপ পেয়েছে, তাই সকল সুবিধা দিয়ে তাঁদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে।’
বাধ্যতামূলক অবসরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যারা নিয়মিত অফিস করেন না, কাজ করেন না, তাঁদের অবসরে পাঠানো হয়েছে।’
দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত থাকার পাশাপাশি পুলিশে যোগ হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর-আতঙ্ক। গত ১৫ দিনে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ায় এই আতঙ্ক তীব্র হয়েছে। এই তালিকা আরও লম্বা হবে বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতি পাননি, তাঁরা সরকারের সংকটের সময় বিব্রত করতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের কার্যকলাপে যাতে সরকার বিব্রত না হয়, সে জন্য আগেই সমাধানের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। এখন প্রতিটি ব্যাচ ধরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।
সূত্রটি জানায়, ব্যাচ ধরে ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ১২, ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ থেকে বেশি বাধ্যতামূলক অবসর হতে পারে। ১২ ও ১৫তম ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি হয়েছেন। কিন্তু ওই ব্যাচের অনেকে এখনো এসপি ও অতিরিক্ত ডিআইজি রয়েছেন। যাঁদের দীর্ঘদিন পদোন্নতি হয়নি, তাঁদের মধ্য থেকে আরও কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ১৫-১৬ বছর ধরে এসপি পদমর্যাদায় রয়েছেন। তাঁদের ব্যাচমেটরা পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপি হয়েছেন। এ ছাড়া ১৭ ও ১৮তম ব্যাচে যাঁরা পদোন্নতি পাননি, জট কমাতে তাঁদেরও অবসরে পাঠানো হতে পারে।
সরকার গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। এই তিনজন হলেন পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী।
তাঁদের পর ৩১ অক্টোবর অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তাঁরা হলেন সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. আলমগীর ও টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব হাকিম।
অবসরে পাঠানো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের। আর মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী পিপিএম এবং মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী পিপিএম (সেবা) পদকপ্রাপ্ত।
অবসরের নেপথ্যের কারণ
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বড় কোনো অভিযোগ না থাকলেও সরকার মূলত তাঁদের আস্থায় নিতে পারছে না। তাদের কেউ কেউ এই সরকারের আমলে বিপিএম ও পিপিএম পেলেও তাঁদের নিয়ে সরকার নির্বাচনকালে ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ, নির্বাচনের সময় প্রশাসনে রদবদলের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকবে, তখন সরকারবিদ্বেষী কেউ যদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান, তাহলে তা গলার কাঁটা হতে পারে। তাই এই কর্মকর্তাদের এখনই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকার কাউকে বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত করবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যাঁরা পদ নিয়ে বসে আছেন, ফেসবুকে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক কথা প্রচার করছেন, নিয়মিত অফিস করছেন না, তাঁদের বাহিনীতে রেখে কোনো লাভ নেই। পদোন্নতি না পাওয়ায় তাঁদের কর্মস্পৃহা লোপ পেয়েছে, তাই সকল সুবিধা দিয়ে তাঁদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে।’
বাধ্যতামূলক অবসরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যারা নিয়মিত অফিস করেন না, কাজ করেন না, তাঁদের অবসরে পাঠানো হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪