সাজিদ মোহন
আবাসভূমি তথা বাসস্থান ধ্বংস হওয়া, খাদ্যসংকট, মাংসের লোভে নির্বিচার শিকার ও বাসা বেঁধে ডিম ফোটানোর অনুকূল পরিবেশের অভাবে কিছু প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাখির বর্তমান অবস্থা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। বিপদগ্রস্ত পাখির বিপদের ধরন বোঝানোর জন্য ‘সংকটাপন্ন’, ‘বিপন্ন’, ও ‘মহাবিপন্ন’ শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়। আবার যেসব পাখি এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে, আর কখনো দেখা যাবে না, তাদের বলা হয় ‘বিলুপ্ত’ পাখি। প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের মতে, বিলুপ্ত পাখি তিন ধরনের। যে পাখিগুলো পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে সেগুলো; যেগুলো প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেলেও আবদ্ধাবস্থায়, যেমন চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক ইত্যাদিতে বেঁচে আছে, সেগুলো বুনো অবস্থায় বিলুপ্ত এবং যেগুলো বিশ্বের কোনো এক স্থানে বিলুপ্ত হলেও অন্য স্থানে বেঁচে আছে, সেগুলো স্থানীয়ভাবে বিলুপ্ত।
‘মহাবিপন্ন’ পাখির মধ্যে যেগুলো বিলুপ্তির দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে, সেগুলো ‘বিলুপ্তপ্রায়’ পাখি। যেসব কারণে একটি পাখি একটি দেশ বা সেই দেশের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চল বা একটি উপজেলা বা গ্রাম থেকে বিলুপ্ত হয়, বিলুপ্ত হয় দেশটি থেকেই; সেসব কারণে আজও বাংলাদেশে বিলুপ্ত হয়নি বটে, তবে হওয়ার পথে অথবা চলে গেছে দেশ ছেড়ে। মাঝেমধ্যে হঠাৎ আসে বেড়াতে। বলা যায় জন্মমাটির টানে, সেগুলোই বিলুপ্তপ্রায় পাখি। যেমন মানিকজোড়।
প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ প্রজাতির মধ্যে ৫৬৬ প্রজাতির পাখির অবস্থা সম্পর্কে জরিপ করে দেখেছে, বর্তমানে ১৯ প্রজাতির পাখিই এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে ২৯ প্রজাতি প্রায়-বিপদগ্রস্ত, ৩৯ প্রজাতি বিপদগ্রস্ত, ৫৫ প্রজাতির তথ্য-অপ্রতুল ও ৪২৪ প্রজাতি ঝুঁকিসম্পন্ন। আইইউসিএন বিলুপ্ত হিসেবে উল্লেখ করেনি এমন একটি পাখি (কাগ বা ব্রাউন ক্রেইগ) ১৬৬ বছর পর ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবুডাইংয়ে দেখা গিয়ে সুসংবাদ জানাল, পাখিটি আসলে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি!
কাগের ফিরে আসা প্রশান্তির সুবাতাস দিলেও সম্প্রতি কাক কমে যাওয়ার প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে, যা শঙ্কা জাগায় প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে। অতিপরিচিত, সহজপ্রাপ্য কাক যদি কমতে শুরু করে, অন্য পাখিগুলোর জীবন না জানি কতটা বিপন্ন!
ঢাকা শহরে কাক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগরায়ণকে। যেমন ধানমন্ডিতে সব ছিল একতলা বা দোতলা বাড়ি, সঙ্গে গাছ-গাছালি। দুই দশকে উঁচু ভবন বেশি নির্মাণ হওয়ায় অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, সেই সঙ্গে পাখিদের বসতিও।
কাককে আমরা ‘হেলথ ইন্সপেক্টর’ বলি। স্বভাবতই পাখিটি পরিবেশে দূষণ ছড়ায় এমন সব উপকরণ খুঁজে বেড়ায় এবং নিজে সেগুলো গ্রহণ করে। এখন সিটি করপোরেশন বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য জমাকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। বর্জ্যে এখন প্লাস্টিক বা ধাতব পদার্থের ভাগ আগের তুলনায় নাকি কয়েকগুণ বেশি। সেগুলো কাকের দেহে বিষক্রিয়া ঘটাবে। এ ছাড়া কীটনাশক বা ইনসেকটিসাইড বেশি ছিটানো হয় জমে থাকা বর্জ্যের ওপরই। সেগুলোও কাকের শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কাকের প্রয়োজনীয়তা কি তাহলে ফুরিয়ে গেছে?
বেতন ছাড়া ঝাড়ুদার কাক পরিবেশের জন্য কতটা দরকারি, তা হিসাব কষে বলা সম্ভব না হলেও এ ক্ষেত্রে ভারতের বাঘ প্রকল্পের একটি ঘটনা উদাহরণ হিসেবে যথাযোগ্য। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতে ব্যাঘ্র প্রকল্প চালু করেছিলেন। ভারতে তখন বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছিল। বিলুপ্ত হওয়ার অবস্থা। পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ১৯৪৭ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪০ হাজার, ১৯৭০ সালে নেমে দাঁড়ায় মাত্র ২ হাজারে। উদ্বেগ তীব্র হয় যখন আইইউসিএন বাঘকে বিপন্ন প্রজাতি ঘোষণা করে। ১৯৭২ সালে আবার গুনে দেখা যায় বাঘের সংখ্যা আরও ২০০ কমে গেছে। তাই ১৯৭৩ সালে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ব্যাঘ্র প্রকল্প হাতে নেয় ভারত সরকার। তারপর কেটে যায় ৪ বছর। সরকারে পালাবদল ঘটে। মোরারজি দেশাই হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছিলেন দরিদ্রবান্ধব। সাধারণ মানুষ যখন খেতে পায় না, তখন বাঘের জন্য এত অর্থ খরচ করা হবে কেন, এ প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন।
প্রখ্যাত পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী সালিম আলীর সমীপে প্রশ্নটি হাজির করা হয়। সালিম আলী তখন বলেছিলেন, বাঘের জন্য অর্থ খরচ করা কেন জরুরি, সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে বাঘ কেন জরুরি তা জানা দরকার। প্রকৃতির নিজস্ব যে চক্র তাতে বাঘও অংশী। এই চক্রে পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ, মৎস্য, স্তন্যপায়ী, বৃক্ষ ইত্যাদি আছে। এটাকে মালা হিসেবে চিন্তা করলে বুঝতে সহজ হবে, কোনো একটি প্রাণী যদি মালাটি থেকে খসে পড়ে, তবে স্থানটি শূন্য হয় এবং আর কোনো কিছু দিয়েই তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণের প্রয়োজনীয়তা অপরিমাপযোগ্য বা ইনট্যানজিবল এবং মূল্য অপরিসীম। তাই বাঘ সংরক্ষণে অর্থ ব্যয় বাজে খরচ হিসেবে ধরা যাবে না। কথাটি প্রযোজ্য কাকের ক্ষেত্রে, হাতির ক্ষেত্রে, চড়ুই বা প্রজাপতির ক্ষেত্রেও।
লেখক: সাজিদ মোহন, শিশুসাহিত্যিক
আবাসভূমি তথা বাসস্থান ধ্বংস হওয়া, খাদ্যসংকট, মাংসের লোভে নির্বিচার শিকার ও বাসা বেঁধে ডিম ফোটানোর অনুকূল পরিবেশের অভাবে কিছু প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাখির বর্তমান অবস্থা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। বিপদগ্রস্ত পাখির বিপদের ধরন বোঝানোর জন্য ‘সংকটাপন্ন’, ‘বিপন্ন’, ও ‘মহাবিপন্ন’ শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়। আবার যেসব পাখি এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে, আর কখনো দেখা যাবে না, তাদের বলা হয় ‘বিলুপ্ত’ পাখি। প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের মতে, বিলুপ্ত পাখি তিন ধরনের। যে পাখিগুলো পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে সেগুলো; যেগুলো প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেলেও আবদ্ধাবস্থায়, যেমন চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক ইত্যাদিতে বেঁচে আছে, সেগুলো বুনো অবস্থায় বিলুপ্ত এবং যেগুলো বিশ্বের কোনো এক স্থানে বিলুপ্ত হলেও অন্য স্থানে বেঁচে আছে, সেগুলো স্থানীয়ভাবে বিলুপ্ত।
‘মহাবিপন্ন’ পাখির মধ্যে যেগুলো বিলুপ্তির দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে, সেগুলো ‘বিলুপ্তপ্রায়’ পাখি। যেসব কারণে একটি পাখি একটি দেশ বা সেই দেশের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চল বা একটি উপজেলা বা গ্রাম থেকে বিলুপ্ত হয়, বিলুপ্ত হয় দেশটি থেকেই; সেসব কারণে আজও বাংলাদেশে বিলুপ্ত হয়নি বটে, তবে হওয়ার পথে অথবা চলে গেছে দেশ ছেড়ে। মাঝেমধ্যে হঠাৎ আসে বেড়াতে। বলা যায় জন্মমাটির টানে, সেগুলোই বিলুপ্তপ্রায় পাখি। যেমন মানিকজোড়।
প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ প্রজাতির মধ্যে ৫৬৬ প্রজাতির পাখির অবস্থা সম্পর্কে জরিপ করে দেখেছে, বর্তমানে ১৯ প্রজাতির পাখিই এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে ২৯ প্রজাতি প্রায়-বিপদগ্রস্ত, ৩৯ প্রজাতি বিপদগ্রস্ত, ৫৫ প্রজাতির তথ্য-অপ্রতুল ও ৪২৪ প্রজাতি ঝুঁকিসম্পন্ন। আইইউসিএন বিলুপ্ত হিসেবে উল্লেখ করেনি এমন একটি পাখি (কাগ বা ব্রাউন ক্রেইগ) ১৬৬ বছর পর ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবুডাইংয়ে দেখা গিয়ে সুসংবাদ জানাল, পাখিটি আসলে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি!
কাগের ফিরে আসা প্রশান্তির সুবাতাস দিলেও সম্প্রতি কাক কমে যাওয়ার প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে, যা শঙ্কা জাগায় প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে। অতিপরিচিত, সহজপ্রাপ্য কাক যদি কমতে শুরু করে, অন্য পাখিগুলোর জীবন না জানি কতটা বিপন্ন!
ঢাকা শহরে কাক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগরায়ণকে। যেমন ধানমন্ডিতে সব ছিল একতলা বা দোতলা বাড়ি, সঙ্গে গাছ-গাছালি। দুই দশকে উঁচু ভবন বেশি নির্মাণ হওয়ায় অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, সেই সঙ্গে পাখিদের বসতিও।
কাককে আমরা ‘হেলথ ইন্সপেক্টর’ বলি। স্বভাবতই পাখিটি পরিবেশে দূষণ ছড়ায় এমন সব উপকরণ খুঁজে বেড়ায় এবং নিজে সেগুলো গ্রহণ করে। এখন সিটি করপোরেশন বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য জমাকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। বর্জ্যে এখন প্লাস্টিক বা ধাতব পদার্থের ভাগ আগের তুলনায় নাকি কয়েকগুণ বেশি। সেগুলো কাকের দেহে বিষক্রিয়া ঘটাবে। এ ছাড়া কীটনাশক বা ইনসেকটিসাইড বেশি ছিটানো হয় জমে থাকা বর্জ্যের ওপরই। সেগুলোও কাকের শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কাকের প্রয়োজনীয়তা কি তাহলে ফুরিয়ে গেছে?
বেতন ছাড়া ঝাড়ুদার কাক পরিবেশের জন্য কতটা দরকারি, তা হিসাব কষে বলা সম্ভব না হলেও এ ক্ষেত্রে ভারতের বাঘ প্রকল্পের একটি ঘটনা উদাহরণ হিসেবে যথাযোগ্য। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতে ব্যাঘ্র প্রকল্প চালু করেছিলেন। ভারতে তখন বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছিল। বিলুপ্ত হওয়ার অবস্থা। পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ১৯৪৭ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪০ হাজার, ১৯৭০ সালে নেমে দাঁড়ায় মাত্র ২ হাজারে। উদ্বেগ তীব্র হয় যখন আইইউসিএন বাঘকে বিপন্ন প্রজাতি ঘোষণা করে। ১৯৭২ সালে আবার গুনে দেখা যায় বাঘের সংখ্যা আরও ২০০ কমে গেছে। তাই ১৯৭৩ সালে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ব্যাঘ্র প্রকল্প হাতে নেয় ভারত সরকার। তারপর কেটে যায় ৪ বছর। সরকারে পালাবদল ঘটে। মোরারজি দেশাই হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছিলেন দরিদ্রবান্ধব। সাধারণ মানুষ যখন খেতে পায় না, তখন বাঘের জন্য এত অর্থ খরচ করা হবে কেন, এ প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন।
প্রখ্যাত পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী সালিম আলীর সমীপে প্রশ্নটি হাজির করা হয়। সালিম আলী তখন বলেছিলেন, বাঘের জন্য অর্থ খরচ করা কেন জরুরি, সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে বাঘ কেন জরুরি তা জানা দরকার। প্রকৃতির নিজস্ব যে চক্র তাতে বাঘও অংশী। এই চক্রে পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ, মৎস্য, স্তন্যপায়ী, বৃক্ষ ইত্যাদি আছে। এটাকে মালা হিসেবে চিন্তা করলে বুঝতে সহজ হবে, কোনো একটি প্রাণী যদি মালাটি থেকে খসে পড়ে, তবে স্থানটি শূন্য হয় এবং আর কোনো কিছু দিয়েই তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণের প্রয়োজনীয়তা অপরিমাপযোগ্য বা ইনট্যানজিবল এবং মূল্য অপরিসীম। তাই বাঘ সংরক্ষণে অর্থ ব্যয় বাজে খরচ হিসেবে ধরা যাবে না। কথাটি প্রযোজ্য কাকের ক্ষেত্রে, হাতির ক্ষেত্রে, চড়ুই বা প্রজাপতির ক্ষেত্রেও।
লেখক: সাজিদ মোহন, শিশুসাহিত্যিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে