শাইখ সিরাজ
কৃষিকে যাঁরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে বরণ করেছেন, তাঁদের কাছে কৃষি শুধু লাভজনকই নয়, জীবন পাল্টে দেওয়ারও একটি খাত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বহুবার। এ ক্ষেত্রে বয়স কোনো বিষয় নয়, ইচ্ছাশক্তিই বড়। দেশে এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে, যাঁরা সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে কৃষিকে ঢেলে সাজিয়ে সফল হয়েছেন, কৃষি উদ্যোগ নিয়ে ভালো আছেন।
এমনই একজন টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার জসিহাটি গ্রামের আজহারুল ইসলাম তালুকদার। ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফিরে এসেছেন নিজ গ্রামে, মাটির কাছে। আর এখন কৃষির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবসরজীবনকে ভরে তুলেছেন ফল-ফসলে। কৃষি তাঁর সারা জীবন ধরে বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে অবসর সময়টা ঢেলে দিয়েছেন ফসলের মাঠে। মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে ফলানো ফল-ফসলের মাঠ হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক এক ক্ষেত্র। তিনি প্রমাণ করেছেন বুদ্ধি আর প্রাণ লাগিয়ে কৃষি করলে মাটি কখনো বিমুখ করে না। ঠিকই সোনার ফসল তুলে দেয় কৃষকের হাতে। তবে বাণিজ্যিক লাভ পেতে কৃষিকে শুধু মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলেই হবে না, হতে হবে একটু কৌশলী, বুঝতে হবে কৃষি বাজার।
আজহারুল ইসলাম তালুকদার ২০১৬ সালে ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসরে যান। তাঁর সঙ্গে অবসরে যাওয়া সহকর্মীদের অনেকেই যুক্ত হয়েছেন অন্য চাকরিতে। কিন্তু তিনি ফিরেছেন মাটির কাছে। কৃষিবিষয়ক নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না, তা নিয়েই ভেবেছেন। সেই ভাবনা থেকে শুরু করলেন ক্যাপসিকাম চাষ। বাজারে বিদেশি এই ফসলের চাহিদা যেমন আছে, আমাদের দেশে এর ফলনও ভালো হয়। প্রথম বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছিলেন আজহারুল। ফলনও ভালো পেয়েছেন।
‘প্রথমবার ফসল তুলে নিজেই নিয়ে গেছি ঢাকার কারওয়ান বাজারে’—স্মৃতি থেকে বলছিলেন আজহারুল। ‘মনে আছে সে সময় রোজা চলছিল। বাজার ভর্তি ছিল ইন্ডিয়ান ক্যাপসিকামে। সেগুলো আকারে ছোট। আড়তদারেরা আমার ক্যাপসিকামের আকার বড় দেখে আগ্রহী হলো। ভালো দামেই কিনে নিল তারা। এরপর আর আমাকে আড়তে যেতে হয়নি। তারাই আসল আমার এখানে। সে বছর ৫২০ কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি।’ তবে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না বলে গতবার ভালো লাভ আসেনি। তারপরও লাভ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। অসময়ে বৃষ্টিটা না হলে লাভ থাকত লাখ দুয়ের ওপরে।
তাতে হাল ছাড়েননি আজহারুল তালুকদার। সত্তরের কাছাকাছি বয়সেও কৃষিকে উপভোগ করতে পরিশ্রম করছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। ক্যাপসিকামের মতো বিদেশি সবজি উৎপাদন করতে রপ্ত করেছেন প্রয়োজনীয় কৌশল। এবার প্রতিকূল আবহাওয়াকে অনুকূলে রেখে উৎপাদন নিশ্চিত করতে গড়েছেন পলিনেট হাউস। এই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রঙিন ক্যাপসিকাম উৎপাদনে দারুণ আশাবাদী আজহারুল ইসলাম তালুকদার।
এই উদ্যোক্তাকে দেখে মনে পড়ল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আনছার আলীর কথা। দেড় দশক আগে গ্রামের এক সাধারণ কৃষক যুক্ত হয়েছিলেন আধুনিক কৃষিচর্চায়। এখন প্রবীণ বয়সেও সাফল্যের সঙ্গে ক্যাপসিকামসহ বিদেশি সবজি চাষ করছেন। শুধু আনছার আলী নন, দেশে ক্যাপসিকাম উৎপাদন সাফল্যের চিত্র অনেকবারই তুলে ধরেছি। গাজীপুরের দেলোয়ার, সাভারের রাজিয়া ও কুব্বাত হোসেন, মুন্সিগঞ্জের রাসেলসহ একাধিক খামারি ক্যাপসিকাম উৎপাদন করছেন। তাঁরা সবাই প্রগতিশীল কৃষক। পরিকল্পিতভাবে এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা উৎপাদনের সাফল্যকে ধরে রেখেছেন।
টাঙ্গাইলের আজহারুল ইসলাম তালুকদারের রঙিন ক্যাপসিকাম চাষও রীতিমতো আকর্ষণীয়। সারি সারি গাছে ধরে আছে লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাপসিকাম। এ নিয়েই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে তাঁর। নতুন এই বিদেশি সবজি আর এর বাণিজ্যিক দিক নিয়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর পরিশ্রম ও আগ্রহ দেখে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি আধুনিক পলিনেট হাউস সরবরাহ করেছে তাঁকে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ফসলকে যেমন সুরক্ষা করে, একই সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে আধুনিক সেচব্যবস্থাও। ফলে আধুনিক এই পলিনেট হাউসটি বছরব্যাপী ফসল উৎপাদনে অনেক বেশি সহায়ক।
আজহারুল তালুকদারের ক্যাপসিকাম উৎপাদনের খবরটি এখন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। উৎসাহ ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীর মাঝে। অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন ক্যাপসিকাম চাষে। এলাকার অনেক তরুণ এসে দেখে যাচ্ছেন তাঁর এই উদ্যোগ।আজহারুল তালুকদার মনে করেন, গ্রামের সব কৃষকই তাঁর মতো করে এগিয়ে আসবেন আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে।
কৃষিতে আজহারুল তালুকদারের সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে তাঁর কর্মময় জীবন। এই কর্মব্যস্ততা অক্ষুণ্ন রেখেছে শারীরিক সুস্থতা। ফল-ফসলের সান্নিধ্য দিচ্ছে মানসিক প্রশান্তি। কৃষি নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় মগ্ন আজহারুলের নেই দুদণ্ড অবসর। তাঁর জীবনের অবসর সময়ের এই অবসরহীনতাই তাঁকে সচল রেখেছে আশ্চর্য গতিময়তায়।
কৃষিতে সাফল্য যেমন আছে, তেমনি আছে ব্যর্থতার গভীর শঙ্কা। কৃষি চুলচেরা হিসাবের একটি খাত—সেটা মাথায় রেখে বুঝেশুনে করতে হবে চাষাবাদ। তবেই সাফল্য আসবে। কৃষি বরাবরই সম্ভাবনাময় একটি খাত। এখানে জেনেবুঝে বিনিয়োগে ক্ষতি নেই। বেকার তরুণেরা হতাশ না হয়ে ধৈর্য নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে কৃষির কোনো খাতে মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করলে সাফল্য আসবেই। আর তাঁদের সাফল্যেই বেগবান হবে দেশের অর্থনীতি।
দেশের মাটিতেও বিদেশি ফল-ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে—এটা বহুভাবে প্রমাণিত। তবে এই অভিযানে বৃদ্ধ বয়সেও চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আজহারুল ইসলাম তালুকদারের সাফল্যটি ভিন্নতা বহন করে। তাঁর এই অদম্য ইচ্ছেটি তরুণ, মধ্যবয়সী কিংবা অবসরগ্রহণকারী সব বয়সীদেরই কৃষিতে বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাবে। লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকামের মতো রঙিন সবজি ও উচ্চমূল্যের ফসলগুলোই গোটা দেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে আলাদা এক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
কৃষিকে যাঁরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে বরণ করেছেন, তাঁদের কাছে কৃষি শুধু লাভজনকই নয়, জীবন পাল্টে দেওয়ারও একটি খাত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বহুবার। এ ক্ষেত্রে বয়স কোনো বিষয় নয়, ইচ্ছাশক্তিই বড়। দেশে এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে, যাঁরা সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে কৃষিকে ঢেলে সাজিয়ে সফল হয়েছেন, কৃষি উদ্যোগ নিয়ে ভালো আছেন।
এমনই একজন টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার জসিহাটি গ্রামের আজহারুল ইসলাম তালুকদার। ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফিরে এসেছেন নিজ গ্রামে, মাটির কাছে। আর এখন কৃষির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবসরজীবনকে ভরে তুলেছেন ফল-ফসলে। কৃষি তাঁর সারা জীবন ধরে বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে অবসর সময়টা ঢেলে দিয়েছেন ফসলের মাঠে। মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে ফলানো ফল-ফসলের মাঠ হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক এক ক্ষেত্র। তিনি প্রমাণ করেছেন বুদ্ধি আর প্রাণ লাগিয়ে কৃষি করলে মাটি কখনো বিমুখ করে না। ঠিকই সোনার ফসল তুলে দেয় কৃষকের হাতে। তবে বাণিজ্যিক লাভ পেতে কৃষিকে শুধু মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলেই হবে না, হতে হবে একটু কৌশলী, বুঝতে হবে কৃষি বাজার।
আজহারুল ইসলাম তালুকদার ২০১৬ সালে ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসরে যান। তাঁর সঙ্গে অবসরে যাওয়া সহকর্মীদের অনেকেই যুক্ত হয়েছেন অন্য চাকরিতে। কিন্তু তিনি ফিরেছেন মাটির কাছে। কৃষিবিষয়ক নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না, তা নিয়েই ভেবেছেন। সেই ভাবনা থেকে শুরু করলেন ক্যাপসিকাম চাষ। বাজারে বিদেশি এই ফসলের চাহিদা যেমন আছে, আমাদের দেশে এর ফলনও ভালো হয়। প্রথম বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছিলেন আজহারুল। ফলনও ভালো পেয়েছেন।
‘প্রথমবার ফসল তুলে নিজেই নিয়ে গেছি ঢাকার কারওয়ান বাজারে’—স্মৃতি থেকে বলছিলেন আজহারুল। ‘মনে আছে সে সময় রোজা চলছিল। বাজার ভর্তি ছিল ইন্ডিয়ান ক্যাপসিকামে। সেগুলো আকারে ছোট। আড়তদারেরা আমার ক্যাপসিকামের আকার বড় দেখে আগ্রহী হলো। ভালো দামেই কিনে নিল তারা। এরপর আর আমাকে আড়তে যেতে হয়নি। তারাই আসল আমার এখানে। সে বছর ৫২০ কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি।’ তবে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না বলে গতবার ভালো লাভ আসেনি। তারপরও লাভ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। অসময়ে বৃষ্টিটা না হলে লাভ থাকত লাখ দুয়ের ওপরে।
তাতে হাল ছাড়েননি আজহারুল তালুকদার। সত্তরের কাছাকাছি বয়সেও কৃষিকে উপভোগ করতে পরিশ্রম করছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। ক্যাপসিকামের মতো বিদেশি সবজি উৎপাদন করতে রপ্ত করেছেন প্রয়োজনীয় কৌশল। এবার প্রতিকূল আবহাওয়াকে অনুকূলে রেখে উৎপাদন নিশ্চিত করতে গড়েছেন পলিনেট হাউস। এই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রঙিন ক্যাপসিকাম উৎপাদনে দারুণ আশাবাদী আজহারুল ইসলাম তালুকদার।
এই উদ্যোক্তাকে দেখে মনে পড়ল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আনছার আলীর কথা। দেড় দশক আগে গ্রামের এক সাধারণ কৃষক যুক্ত হয়েছিলেন আধুনিক কৃষিচর্চায়। এখন প্রবীণ বয়সেও সাফল্যের সঙ্গে ক্যাপসিকামসহ বিদেশি সবজি চাষ করছেন। শুধু আনছার আলী নন, দেশে ক্যাপসিকাম উৎপাদন সাফল্যের চিত্র অনেকবারই তুলে ধরেছি। গাজীপুরের দেলোয়ার, সাভারের রাজিয়া ও কুব্বাত হোসেন, মুন্সিগঞ্জের রাসেলসহ একাধিক খামারি ক্যাপসিকাম উৎপাদন করছেন। তাঁরা সবাই প্রগতিশীল কৃষক। পরিকল্পিতভাবে এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা উৎপাদনের সাফল্যকে ধরে রেখেছেন।
টাঙ্গাইলের আজহারুল ইসলাম তালুকদারের রঙিন ক্যাপসিকাম চাষও রীতিমতো আকর্ষণীয়। সারি সারি গাছে ধরে আছে লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাপসিকাম। এ নিয়েই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে তাঁর। নতুন এই বিদেশি সবজি আর এর বাণিজ্যিক দিক নিয়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর পরিশ্রম ও আগ্রহ দেখে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি আধুনিক পলিনেট হাউস সরবরাহ করেছে তাঁকে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ফসলকে যেমন সুরক্ষা করে, একই সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে আধুনিক সেচব্যবস্থাও। ফলে আধুনিক এই পলিনেট হাউসটি বছরব্যাপী ফসল উৎপাদনে অনেক বেশি সহায়ক।
আজহারুল তালুকদারের ক্যাপসিকাম উৎপাদনের খবরটি এখন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। উৎসাহ ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীর মাঝে। অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন ক্যাপসিকাম চাষে। এলাকার অনেক তরুণ এসে দেখে যাচ্ছেন তাঁর এই উদ্যোগ।আজহারুল তালুকদার মনে করেন, গ্রামের সব কৃষকই তাঁর মতো করে এগিয়ে আসবেন আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে।
কৃষিতে আজহারুল তালুকদারের সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে তাঁর কর্মময় জীবন। এই কর্মব্যস্ততা অক্ষুণ্ন রেখেছে শারীরিক সুস্থতা। ফল-ফসলের সান্নিধ্য দিচ্ছে মানসিক প্রশান্তি। কৃষি নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় মগ্ন আজহারুলের নেই দুদণ্ড অবসর। তাঁর জীবনের অবসর সময়ের এই অবসরহীনতাই তাঁকে সচল রেখেছে আশ্চর্য গতিময়তায়।
কৃষিতে সাফল্য যেমন আছে, তেমনি আছে ব্যর্থতার গভীর শঙ্কা। কৃষি চুলচেরা হিসাবের একটি খাত—সেটা মাথায় রেখে বুঝেশুনে করতে হবে চাষাবাদ। তবেই সাফল্য আসবে। কৃষি বরাবরই সম্ভাবনাময় একটি খাত। এখানে জেনেবুঝে বিনিয়োগে ক্ষতি নেই। বেকার তরুণেরা হতাশ না হয়ে ধৈর্য নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে কৃষির কোনো খাতে মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করলে সাফল্য আসবেই। আর তাঁদের সাফল্যেই বেগবান হবে দেশের অর্থনীতি।
দেশের মাটিতেও বিদেশি ফল-ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে—এটা বহুভাবে প্রমাণিত। তবে এই অভিযানে বৃদ্ধ বয়সেও চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আজহারুল ইসলাম তালুকদারের সাফল্যটি ভিন্নতা বহন করে। তাঁর এই অদম্য ইচ্ছেটি তরুণ, মধ্যবয়সী কিংবা অবসরগ্রহণকারী সব বয়সীদেরই কৃষিতে বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাবে। লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকামের মতো রঙিন সবজি ও উচ্চমূল্যের ফসলগুলোই গোটা দেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে আলাদা এক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে